মহা প্রসাদ যখন কপালে নেই
নমস্কার বন্ধুরা,
কালীপুজো থেকে সরস্বতী পুজো বাঙালির যেকোনো পুজোতে খিচুড়ি এবং আলুর দম অপরিহার্য অংশ। মহা শিব রাত্রিতেও তার ভিন্নতা নেই। আমাদের মন্দিরে প্রতি বছর তাই হয়ে আসে। আমিও খিচুড়ি হওয়ার কথাই জানতাম। শেষ মুহূর্তে জানতে পারলাম এবারে তাতে কিছুটা বদল এসেছে। গতবার খিচুড়ি প্রসাদ হলেও এইবার তা বদলে বাসন্তী পোলাও হয়েছে তবে তার সাথে আলুর দম একই রকম ভাবে থাকছে। ভোগের কথা না হয় হলো তবে পুজোর ভোগ পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের। যেমন গত বছর শিব রাত্রি খুব নিরস ভাবে কাটলেও, শিবরাত্রির পর দিন খিচুড়ি ভোগ তৈরীতে সক্রিয়ভাবে থেকেছিলাম। আর এইবার হলো ঠিক উল্টো, মহা শিবরাত্রির পুজোর পুরো সময়টা মন্দিরে কাটিয়ে ভোগ তৈরীর মাঝ সময়ে এসে উঠে যেতে হলো।
আমার দায়িত্ব সকাল থেকে ছিলো যদিও তার আগেই পোলাও হওয়ার কথা আমি জেনে গিয়েছিলাম। আগে বলতে মহা শিবরাত্রির রাতেই জানতে পারি। সে যাই হোক। ঠাকুরের প্রসাদ খিচুড়ি হোক কিংবা পোলাও সমস্যা নেই। সকাল সকাল দায়িত্ত্ব পেয়ে ভোগ রান্নায় সক্রিয়ভাবে যোগ দিয়ে দিলাম।
সক্রিয়ভাবে যোগ দেওয়ার অর্থ ভোগ রান্না হওয়া দেখা 😆। কারণ গতবার যেমন বাজার করতে যেতে হয়েছিল এবারে তার কিছুই হয়নি। বাসন্তী পোলাওয়ের জন্য চাল, মশলা, ঘী হোক কিংবা আলুর দমের জন্য যা কিছু সবই কিনে রাখা ছিলো। আমার দায়িত্ব হলো বসে থাকা।
যাওয়া মাত্র দেখি চাল ভিজিয়ে রেখে আলুর দম বানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আমি সব দেখে কাছেই বসে পড়লাম। আহা। সেকি সুগন্ধ। যদিও সেখানে বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারিনি, টুকটাক বাজার করার জন্য দৌড়েই বেড়াচ্ছিলাম। দৌড়ের উপরেই আছি এমন সময় হঠাৎ এক বিশেষ কাজে যাওয়ার ফোন এলো। তখনও ভাবিনি যে প্রসাদ গ্রহণ করার সুযোগ পাবো না। কিন্তু ওই যে প্রসাদ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেই ভাগ্য এ বছর আর হলো না। রাতে ফিরতে ফিরতে প্রসাদ বিতরণ কখন শেষ হয়ে গিয়েছে।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা ভাই বাসন্তী পোলাও শুনেই তো মনট ভরে গেলো ৷ এর এটা ঠিক যে কোনো পুজোতে খিচুড়ি আর আলুর দম যা লাগে না ৷ তবে শুনে অনেক খারাপ লাগলো শেষমেষ আপনি প্রসাদ পান নি ৷ তবে ঠিকি বলেছেন প্রসাদ পাওয়া অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার ৷
আমারও তাই হোয় হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যে ছিলো না।
পূজোর প্রসাদ যদি খিচুড়ি আর আলুর দম হয় তবে খেতে তো অমৃতের মত লাগে। কিন্তু কথায় আছে যে প্রসাদ তো প্রসাদ এই হয় তা হোক না বাসন্তী পোলাও। পূজোর থেকে পূজোর প্রসাদ বানানোটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। কারণ পুজো শেষে ভক্তরা প্রসাদের জন্যই বসে থাকে আর আপনি সেই কাজটাই করেছেন ভক্তদের সেবা দেওয়ার জন্য। শুনে খুবই খারাপ লাগলো সারাদিন ভক্তদের সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করলেন আর অবশেষে আপনি প্রসাদ পেলেন না।
আহা। সে কি স্বাদ। বলে বোঝানো সম্ভব নয়।