আসসালামুআলাইকুম/আদাব
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভাল আছি। আমি @srshelly0399
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থান করছি ।

আজকে আমি আপনাদের সামনে অন্যরকম একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রায় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু আনা।পরিবারের বড় মেয়ের দায়িত্ব একটু অন্যরকম হয়। আমার পরিবারের আমি বড় মেয়ে তাই আমার মা যদি অসুস্থ থাকে বা কোন কাজে দূরে যায় তাহলে সমস্ত দায়িত্ব আমার উপরে পড়ে। আমার আম্মু হুট করে অসুস্থ হয়ে যায় যেহেতু আবহাওয়াটা একটু খারাপ। জ্বর এবং হাত পা ব্যথা হয় বিছানা থেকে উঠতেই পারছে না তার উপর আমার ঘটে বিপত্তি, বিছানা থেকে উঠে টেবিলের পাশে কেচি রাখা ছিল না দেখাতে সেটা একদম পায়ের ভিতর গেঁথে যায়। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছিল, দেখে এত খারাপ লাগছিল বলার বাহিরে আমার পড়াশোনার মন-মানসিকতা ছিল না আর। রান্নাবান্নাতো করতেই হবে, ছোট বোনেদের স্কুল, প্রাইভেট সব মিলিয়ে রান্না করার জন্য চলে গেলাম রান্না ঘরে। দেখি আব্বু মুরগি এনেছে পরে আমাকে আব্বু বলছে তুমি কি পারবা রান্না করতে! আসলে মেয়েরা বাবার কাছে আজীবন সেই ছোটই থেকে যায়। যাই হোক আসল কথায় আসি।আজকে আমি আপনাদের সামনে দেশি মুরগির রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। মুরগি এর আগে আমি কখনো রান্না করিনি অন্য সবকিছু রান্না করেছি। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি মুরগি রান্না করেছি।

উপাদান | পরিমাণ |
১)পেঁয়াজ | ৪টি। |
২) মরিচ | ৫/৬ টি। |
৩) মুরগি | ১কেজি। |
৪) আলু | ২টি। |
৫) টমেটো | ২টি। |
৬) আদাবাটা | পরিমাণ মতো। |
৭) পেঁয়াজ বাটা | পরিমাণ মতো। |
৮) জিরা বাটা | পরিমাণ মতো। |
৯) লবন | পরিমাণ মতো। |
১০) হলুদের গুঁড়া | ২চামচ। |
১১) মরিচের গুঁড়া | ৩ চামচ। |
১২ ) দাড়চিনি ও এলাচ | ২/৩টি। |
১৩) তেজপাতা | ১টি। |
১৪) জিরা এবং সরিষার তেল | পরিমাণ মতো। |

- প্রথমেই মুরগির মাংস তে হলুদ, লবন এবং মরিচের গুঁড়ো দিয়ে সাথে একটু সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে রেখে দিব ১০ মিনিট। এতে করে কি হবে মুরগির ভিতরে মসলা গুলো যাবে আর খেতেও ভালো লাগবে।

- এখন চুলোয় প্যান বসিয়ে তাতে সরিষার তেল দিয়ে একে একে পেঁয়াজ,মরিচ,তেজপাতা,জিরা দিয়ে পেঁয়াজের রঙ বাদামি না হওয়া অব্দি ভেজে নিব।
- আদা,পেঁয়াজ,জিরা সব বাটা প্যানে দিয়ে মসলা গুলোর কাচা ভাব দূর করে নিব।সাথে আলু দিয়ে নিব এতে আলুগুলো ভাজা হয়ে যাবে।তারপর মুরগি দিয়ে দিব ভালো করে মাখিয়ে ঢাকা দিয়ে রেখে দিব কিছুক্ষন এবং মাঝে মাঝে নেড়ে দিব যেন প্যানে লেগে না যায়।

- ঢাকনা খুলে দেখি মাংসের অনেক পানি বের হয়েছে।ভালো করে নেড়ে দিয়ে এবার ঝোল দেবার পালা।আসলে মুরগির মাংসের রান্নার ক্ষেত্রে যার মাংস কষানো ভালো হবে তার রান্না মজা বেশি হবে বলে আমি মনে করি তাই একটু বেশি সময় নিয়ে কষিয়ে নিলাম।
- এবার পরিমাণ মতো ঝোল দিয়ে ঢেকে দিব।এখন কেটে রাখা টমেটো গুলো দিয়ে দিব। তারপর পানি ফুটতে শুরু করলে ২৫ মিনিট এভাবে রাখলে আর মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দিতে হবে।


- এখন সুন্দর একটা বাটিতে পরিবেশন করে নিব।এইতো এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মুরগির মাংসের ঝোল।তার পর সবাইকে খেতে দিলাম। সবাই খেতে পেরেছে তবে যতই আমি রান্না করিনা কেন মায়ের হাতের রান্নার স্বাদের মতো কখনোই হবে নাহ!
এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি আবার অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

ধন্যবাদ সকলকে✨💖


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi note 9 |
ধরণ | রেসিপি🥙। |
ক্যামেরা.মডেল | note9 |
কভার ফটো | ক্যানভা অ্যাপ। |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |


আমার পরিচয়
আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।🌼💖🌼 |
👉সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।
দেশি মুরগির ঝোল রান্নার খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। দেশি মুরগির মাংস সব সময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনিও অনেক লোভনীয় পদ্ধতিতে রেসিপিটা তৈরি করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
দেশি মুরগির মাংস রেসিপি বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে তৈরি করা যায়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে দেশি মুরগির মাংসের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
প্রথমবার রান্না করলাম ভাইয়া।চেষ্টা করেছি ভালো করার।
দেশি মুরগির মাংস আমার অনেক বেশি ফেভারিট। একটু ঝাল ঝাল করে দেশি মুরগির মাংস রান্না করলে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। এই শীতের সময় অনেক মজা করে খাওয়া যায় দেশি মুরগির মাংস। আপনার রেসিপিটা আমার তো অনেক পছন্দ হয়েছে। এই দুপুর বেলায় কেন যে এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করলেন। আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই নিয়ে খেয়ে ফেলতে।
আপনার সাথে যদি দেখা হওয়ার সুযোগ থাকে অবশ্যই খাওয়াবো আপু।আপনাকে খাওয়াতে পারলে আমার ভালো লাগবে।
নিজের হাতে দেশি মুরগি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন। যেটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে খেতে। রান্নার কালারটাও অনেক সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ ভাইয়া শুভকামনা রইল।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দেশি মুরগির মাংস খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ অনেক কম রয়েছে। আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি অনেক মজাদার ভাবে আজকের এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন। এই রেসিপিটা দেখেই বুঝতে পারছি অনেক মজা করে খেয়েছিলেন।
আমারও বেশ ভালো লাগে এই দেশি মুরগি। জি ভাইয়া আসলেই অনেক মজা হয়েছিল খেতে।
ঠিক বলেছেন আপু বড় মেয়েদের দায়িত্ব অনেক বেশি।মায়ের কিছু হলে সব দায়িত্ব এসে বড়ো মেয়ের কাঁধে পড়ে।আন্টির সুস্থতা কামনা করছি।বাবাদের কাছে মেয়ে আজীবন ছোরই থাকে।আপনি চমৎকার সুন্দর করে করেছেন রেসিপিটি।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
জি আপু বড় মেয়েদের দায়িত্ব এবং স্যাক্রিফাইজ সব কিছুই বেশি থাকে। ধন্যবাদ আমার রেসিপিটি আপনাদের কাছে যে ভালো লেগেছে এটাই অনেক।
বাবা মায়ের কাছে ছেলে মেয়ে সব সময়ই ছোট। দেশি মুরগির মাংসের ঝোল বাহ্ দারুন রান্না করেছেন। আশাকরি আপনার বাবা জমিয়ে খেয়েছেন। আপনার রেসিপি পোস্ট দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া সবাই খুব ভালোভাবেই খেয়েছে প্রথমে তো ভেবেছিল কি না কি হয় নতুন নতুন শিখছিতো রান্না।