মাইক্রোবায়োম
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে মাইক্রোবায়োম বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আসলে এই মাইক্রোবায়োম জিনিসটা কি? এই মাইক্রোবায়োম মূলত একধরণের অনুজীব। তবে এই অণুজীব কিন্তু দৃশ্যমান নয়, অদৃশ্য অণুজীব হিসেবে আমাদের শরীরে বসবাস করে। এর সংখ্যা কিন্তু অসংখ্য, প্রায় ৩৯ ট্রিলিয়ন এর মতো, যা আমাদের শরীরের মানব কোষের থেকেও বেশি। তবে এরা আমাদের শরীরে অদৃশ্য হিসেবে থাকলেও এর প্রভাব আমাদের শরীরে অনেক বেশি। একধরণের অণুজীব আমাদের শরীরকে যেমন নিয়ন্ত্রিত করে আবার তেমনি নানা খারাপ প্রভাব থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এই মাইক্রোবায়োম ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি এইরকম আরো নানা অণুজীব এর একটি সম্প্রদায়।
আর এরা কিন্তু মূলত আমাদের ত্বক, অন্ত্র, মুখ এবং আমাদের শরীরের আরো নানা জায়গায় বাস করে। এইসব যে কোটি কোটি অণুজীব আছে, তার মধ্যে সব ভালো না, তবে অধিকাংশই ভালো, যা আমাদের জটিল খাবার হজম করতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য এর ক্ষেত্রেও অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। এই মাইক্রোবায়োম সম্প্রদায়ের মধ্যে আবার বড়ো-ছোটো ক্যাটাগরি আছে। এর মধ্যে বড়ো যে মাইক্রোবায়োম আছে, সেটা আমাদের আন্ত্রিকতন্ত্রে পাওয়া যায়। এটার মূলত কাজ হলো হজম ও মেটাবলিজম এর ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
তবে এটি আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম এর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এই মাইক্রোবায়োম এর কিন্তু আবার আরো একটা কাজ আছে। যেমন আমাদের হজম, রোগ প্রতিরোধ, মানসিক স্বাস্থ্য এর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, তেমনি আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ন ভিটামিন উৎপাদন এর কাজেও অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন বি আর কে। তবে এই মাইক্রোবায়োম আমাদের শরীরে শুধু থাকলেই হয় না, এটি আমাদের শরীরের ভিতরে অনেক কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু এটাকে চাইলে ভালো রাখা যায়, কিন্তু তার জন্য স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খেতে হবে। এর মধ্যে যেমন- প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিক জাতীয় যেসব খাদ্য আছে, সেগুলো গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে দই, ঘোল এবং ফারমেন্টেড জাতীয় অনেক খাবার আছে, যেগুলো খেতে হবে। এরপর ফাইবার জাতীয় খাবার, যেমন- এইগুলো শাকসবজী এবং ফলমূল এইসব এর মধ্যেই পাওয়া যায়। তবে একটা বিষয় হলো, আমাদের শরীর খারাপ হলে অনেক সময় আমরা অ্যান্টিবায়োটিক খাই, কিন্তু অতিরিক্ত সেবন করলে কিন্তু আবার আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়।
সেটা খারাপ ব্যাকটেরিয়া হোক বা ভালো ব্যাকটেরিয়া। উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে গেলে শরীরে যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। আসলে এইসব বিষয় নিয়ে ভাবলেও অবাক লাগে, কারণ এইসব অদৃশ্য ক্ষুদ্রঋণ ক্ষুদ্র অণুজীবরা যে কত বড়ো ভূমিকা রাখছে তা আমাদের ধারণার বাইরে। কাজেই আমাদের এইসব বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে যে মাইক্রোবায়োম এতো বড়ো ভূমিকা রাখছে, তাকে ভালো রাখাটাও আমাদের কাজ।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.