চন্দ্রহাসি বাংলো ( পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে "চন্দ্রহাসি বাংলো" গল্পটির চতুর্থ পর্ব শেয়ার করে নেবো। তো সুধীর আয়নায় চন্দ্রা দেবীর আত্মা ছায়ারূপে দেখার পরে সেখান থেকে পিছিয়ে এসে আবার চোখ খুলে দেখে আয়নায় আর কারো প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে না , সেখানে শুধু তার নিজের প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে। এরপর সুধীর বিষয়টা নিয়ে একটু ঘাবড়ে যায় এবং মনে মনে ভাবতে লাগে যে, এটা তার নিজের মনের ভুল হবে হয়তো। এরপর বিষয়টা নিয়ে অনেক ভাবতে লাগলে সে বুঝে নেয় যে, এই বিশাল বাংলো শুধুমাত্র ফাঁকা নয়, এর মধ্যে আছে অনেক স্মৃতি আর অতৃপ্ত আত্মা। কিন্তু একটা প্রশ্ন সুধীরের মনে ঘুরপাক খেতে থাকে যে, এখানে এই চন্দ্রা দেবী আত্মহত্যা কেন করেছিল?
আর এই আয়নায় তার আত্মা কেন দেখা গেলো! চন্দ্রা দেবীর আত্মা শুধু আয়নার ভেতরে নয়, সমস্ত বাংলোতে যেন ঘুরে বেড়াচ্ছে। সারাদিন শেষে এই ঘটনার তলব করতে করতে রাত নেমে আসে এবং সুধীর তার নিজের রুমে চলে যায়। বাংলোর চারিদিকে কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে, যেন একটা ধোঁয়া ধোঁয়া ভাব চারিদিকে। সুধীর নিজের রুমে একটু টুকটাক কাজ সেরে শুয়ে রেস্ট নিতে যায়, কিন্তু তখনই সেই ফিসফিসানি আওয়াজ তার কানে বাজতে লাগে-আমার ঘর ফিরিয়ে দাও, এটা আমার জায়গা। সুধীর মনে মনে ভয়ে কাতর হয়ে যাচ্ছে, মাঝে মাঝে ভাবছে যে, সে এই বাংলো ছেড়ে কলকাতায় ফিরে যাবে। কিন্তু পরে আবার ভাবলো যে, আমি কেন ফিরে যাবো!
ভয় পেলে চলবে না, আমি এর সত্য ঘটনা বের করেই ছাড়বো, যে এর রহস্যটা আসলে কি। তাই এইবার তার মিশন হয় এই বাংলোর ভেতরে ঘটে যাওয়া অতীতকে সে খুঁজে বের করতে চায় এবং সেই সাথে জানতে-বুঝতে চায়। পরেরদিন সকালে আর কোথাও যাননি, দুপুরের দিকে সে চিন্তা করলো এই বাংলোতে যে নেকটা লাইব্রেরি পড়ে আছে, ওখান থেকে শুরু করবে। তো সেই লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ে, সেখানে পুরোনো কাঠের তাকে এবং তাতে বেশ কিছু ধুলোমাখা বই আর চিঠি আছে। সেখানে সে এমন কোনো লেখা বা ডায়েরি খুঁজতে লাগে, যার মাধ্যমে চন্দ্রা দেবীর অতীতকে খুঁজে পেতে চায়।
অনেক্ষন খোঁজ করতে করতে একটা অনেক পুরোনো খাম পেলো এবং তার মধ্যে একটা চিঠি ছিল। তবে চিঠির হাতের লেখা কেমন যেন একটা বেখাপ মতো অর্থাৎ এমন ভাবে লেখা যেন হাত কাঁপা অবস্থায় লেখা। তো এই চিঠি খুবই ইমোশনাল ভাবে লেখা অর্থাৎ-সে তার প্রিয় মানুষের কথা লিখেছে। এই চন্দ্রা দেবী মূলত একটা ছেলেকে ভালোবাসতো, কিন্তু কখনো চোখে দেখেনি। এখন সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তার সাথে কথা বলতো অর্থাৎ তাকে সে আয়নায় দেখতে পেতো।
এইসব ঘটনায় বাড়ির লোকজন তাকে পাগলী বলতো একপ্রকার। তাই সে তার প্রিয় মানুষের নাম এই চিঠিটা লেখে যে, তুমি আমার কাছে আর আসলে না, তাই আমি আজ রাতে চিরতরে ঘুমোতে যাচ্ছি। ফলে সুধীর এটা বুঝতে পারে যে, এখানে চন্দ্রা দেবীর আত্মহত্যার পেছনে আসল কারণটা কি! এরপর হঠাৎ একটা দমকা হাওয়ার মতো বয়ে গেলো আর সেই হাওয়ায় সুধীরের হাত থেকে খামটা উড়ে চলে গেলো এবং সেই সাথে বইয়ের পাতা উল্টে একজায়গায় থেমে গেলো।....
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@winkles, this latest installment of "চন্দ্রহাসি বাংলো" is gripping! The suspense is building beautifully as Sudhir delves deeper into the mystery of Chandra Devi. I'm particularly intrigued by the letter and the revelation of Chandra's tragic love story. The imagery of the foggy night and the whispering voice is incredibly atmospheric. You've really captured a sense of unease and intrigue. I am eagerly waiting to see what Sudhir uncovers next and how the story unfolds! For other readers, what are your theories about the mystery of চন্দ্রহাসি বাংলো? Let's discuss!