দুর্দান্ত ইনিংস এবং দুর্দান্ত কামব্যাক
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ইন্ডিয়া আর ইংল্যান্ড এর মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে। দুই টিমের মধ্যে সিরিজগুলো বেশ রোমান্টিক আর আকর্ষণীয় হচ্ছে। গত তিনটি টেস্ট সিরিজগুলোও শেষ পর্যন্ত দারুন হয়েছিল। এই চতুর্থ টেস্ট ম্যাচটা আরো সৌন্দর্যে ভরে গিয়েছে যেন। বরাবরের মতো ইংল্যান্ড টস করে তারাই জিতে যায় আর তাদের মাঠের সুবিধা মতো তারাই সিদ্ধান্ত নেয়। এই পিচে সাধারণত পরে ব্যাট করলে টার্নিংটা বেশ ভালো পাবে যেকোন ব্যাটসম্যান। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড আগে ফিল্ডিং নিয়ে এই সুবিধাটা কাজে লাগাতে চায়। তো যাইহোক, ইন্ডিয়া আগে ব্যাট করতে নামে। তবে এখানে তেমন সুবিধা কেউ করে উঠতে পারিনি।
ওপেনে যাইস্বল আর রাহুল মোটামুটি শুরু করেছিল ঠিকই, কিন্তু বেশিক্ষন টিকতে পারেনি অর্থাৎ যে পজিশনে নিয়ে যাওয়ার কথা, সেটা আগেই পার্টনারশীপ ভেঙে যায়। সাই সুদর্শন এখানে আবার একটু ভালো ভূমিকা রেখেছিলো, মোটামুটি বেশ খানিকটা রান করে যায়। তবে গিল এখানে একদম একটা ফালতু lbw হয়ে রানের পজিশনটা নষ্ট হয়ে যায়। যদিও এই lbw এর বিষয়ে কিছু বলার নেই, যখন তখন এই ঘটনা ঘটেই থাকে ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে। আমাদের ঋষভ খুব ভালো খেলছিল এখানে, কিন্তু এখানেও একটা দুর্ঘটনা ঘটে। পায়ে হঠাৎ ইনজুরির কারণে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় এবং সমস্যাটা হয় এখানে, একজন ভালো ব্যাটসম্যান রান করা অবস্থায় যদি বেরিয়ে যায়, তাহলে খুব বাজে ইফেক্ট পড়ে রানের উপরে এবং পরের ব্যাটসম্যানের উপরে।
জাডেজাও বেশ সুবিধা করতে পারেনি এখানে। শার্দুল এসে আবার একটু মোটামুটি ব্যালান্স মতো রান করেছিল। কিন্তু এখানে যদিও ঋষভ তার ওই পায়ের অবস্থা নিয়ে লাস্টে ব্যাট করতে নেমে অন্তত হাফ সেঞ্চুরিটা করেছিল। অনেক্ষন ওই অবস্থায় ক্রিজে ছিল। সর্বদলীয় রান ৩৫৮ তোলে। কিন্তু এটা যথেষ্ট ছিল না। ইংল্যান্ড তো এসে যেন ওয়ানডে ম্যাচ খেলা শুরু করে দিয়েছিলো। মানে এদের অনেক বড়ো একটা রানের লিড দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, যাতে দ্বিতীয় ইনিংস আর খেলা না লাগে আর ইন্ডিয়াও যাতে এই রান কভার করতে না পারে । ওপেনের থেকে শুরু করে পরপর সব যেন রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। রুট আর স্টকস এখানে প্রায় ৩০০ রানের এক অসাধারণ ব্যাকআপ রান গঠন করে, যা তাদের একটা ব্রহ্মাস্ত্র এর মতো কাজ দিয়েছিলো।
ইন্ডিয়ার দেওয়া ওই ৩৫৮ রান তো তুলেছেই, সাথে আরো ৩০০ রানের লিড দিয়েছে। হাতে মাত্র আছে আর একদিন সময়। যদিও এখানে ইংল্যান্ড বেশি সময় নিয়ে খেলার কারণে এই সময়ের ঘাটতি হয়েছে। ইন্ডিয়ার হাতে সময় ছিলোই না বলতে গেলে। কারণ এই ৩০০ রান তুলে আবার তাদের টার্গেট দেওয়া অসম্ভব ছিল একপ্রকার। আমিতো ভাবছিলাম এই রান করবে কখন আর টার্গেট দেবে কখন। তার উপর আবার শূন্য রানে আসতেই দুইজন আউট। পুরো হেরে যাওয়া ম্যাচ ছিল ইন্ডিয়ার জন্য, হেভি প্রেসার ছিল তাদের উপর। কিন্তু তারা যে অকল্পনীয় কাজ সাধন করেছে, সেটা অবিস্মরণীয়। মানে এইভাবে যে কামব্যাক করা যায়, সেটা ইংল্যান্ড এরও ভাবনার বাইরে ছিল।
এখানে পরপর তিনজনের সেঞ্চুরি একটা মহা ভূমিকা রেখেছিলো। আর ইন্ডিয়া আবার টার্গেটও দিয়েছিলো ১০০ এর উপরে। কিন্তু তখন হাতে যে সময় ছিল, তাতে ইংল্যান্ড এর ক্ষেত্রেও এই রান তোলা একটা প্রেসারের ছিল। ফলে এখানে উভয় টিম একটা ভীষণ টেনশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলো। ফলে স্টোকস পরে আম্পয়ার আর গিল এর সাথে পরামর্শ করে এই সিরিজ এখানেই ড্র এর ঘোষণা করে দেয়। আসলে সত্যি বলতে ইংল্যান্ডই ঘাবড়ে গিয়েছিলো যে, এতো বড়ো রান তুলে এতো কম সময়ে আবার টার্গেট দিয়ে দিলো, চিন্তার তো একটা বিষয় থাকবেই। লাস্টের সিরিজটা তাহলে আরো বেশি ইন্টারেষ্টিং হবে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.