ভারতীয় চ্যাম্পিয়ন্সদের রোমাঞ্চকর জয়!
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। তবে এই খেলাটা আমাদের বয়স্কদের মধ্যে অর্থাৎ এর আগে খেলে যারা অবসরপ্রাপ্ত হয়ে গেছে। সচিন, যুবরাজ সহ অনেকে। তবে এই খেলায় সচিন খেলছে না, প্রতিবছর খেলা হয়ে থাকে। এই খেলাটা আসলে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ডস দের মধ্যে হচ্ছে, যেটা প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে থাকে। গতকাল ইন্ডিয়া আর ওয়েস্টইন্ডিজ এর মধ্যে খেলাটা ছিল। খেলাটা একপর্যায়ে ভালো হয়েছে আবার তেমন একটা ভালো হয়নি। আসলে এটা যদিও ওয়েস্টইন্ডিজ এর দিক থেকে একটু খারাপ হয়েছে। ইন্ডিয়া টসে জিতে আগে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
ওয়েস্টইন্ডিজের রেকর্ড ইতিহাস আছে টি২০ লীগ এর ক্ষেত্রে। তারা এক সময়ে এমন টি২০ টিম ছিল যে, তাদের কোনো টিম হারাতে পারতো না, বিশেষ করে যদি কোনো পিচ বোলিং হয়ে থাকে, তাও কোনো না কোনোভাবে ম্যাচ জিতে বের করে ফেলে। এইরকম একটা ওয়ার্ল্ড কাপ এর ফাইনালে হয়েছিল। তো যাইহোক, এখানে এই লিজেন্ডস দের খেলায় তারাও সেইসব প্লেয়ার আছে। এখানে গেইল এর মতো ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান আছে এবং অন্যদিকে স্মিথ এর মতো একজন ঝড়ো ব্যাটসম্যান আছে। এখানে স্মিথ কিন্তু একপ্ৰকার ওপেনিং ব্যাটসম্যান, যা আগেও যখন ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলতো, তখন ওপেনে কি ঝড়টাই না তুলতো। একপ্রকার বলা যায় গেইল আর স্মিথ ছিল রান মেশিন। সাইমন্স এরাও খুব স্ট্রং ব্যাটার সেইদিক থেকে আবার।
তবে এখানে চাওলা আর বিন্নি এর বোলিং এর কাছে হার মেনে গেছে। তাদের দুইজনের টোটাল ৮ ওভারে ৫ উইকেট এবং রানও দিয়েছে মাত্র ৩৫ রান। এখানেই তারা ধরা খেয়ে গেছে বলতে গেলে। ওপেনে গেইল আর সাইমন্সতো এসেই আউট হয়ে যায়। মোট কথা তাদের প্রথমেই ভরাডুবি। ওয়াল্টনও শূন্য রানে ফিরে যায়। ব্রাভো, কেউই খেলতে পারেনি। রান রেট খুবই করুন ছিল প্রথমের থেকে ১১ ওভার অব্দি। পরে এক পোলার্ড এসে একাই একটু পিটিয়ে রান তোলে, নাহলে ১০০ রান হওয়াও দুষ্কর ছিল। টি যাইহোক, কোনোমতে টেনেটুনে ১৪৪ এর মতো রান করে তারা। কিন্তু ইন্ডিয়ার কাছে এটা জল-ভাতের মতো ছিল। আসলে এটা যদিও তেমন কোনো ব্যাপার ছিল না এই পিচে, অনেকটা টার্নিং ছিল তাদের দিকে।
কিন্তু এদেরও ওপেনে খারাপ ছিল, তবে মোটামুটি একটু ব্যালান্স ছিল। ধাওয়ান একটু টেনে দিয়েছিলো ওপেনে। তবে তাও যথেষ্ট ছিল না। এরপরে সুরেশ রায়নাও এসে আউট হয়ে যায়। তবে এই ম্যাচটা জায়গামতো ফিরিয়ে এনেছে বিন্নি আর যুবরাজ, তাও আবার মাত্র কয়েক ওভারে। বিন্নি এসেই বাউন্ডারি লাগাতার, বিশেষ করে ৬। আসলে এরা অলরাউন্ডার হওয়ায় একদিকে সুবিধা আছে, আর বিন্নি এরা কোনো ডিফেন্স প্লেয়ার না, এসেই মার শুরু করে দেয়। যুবরাজ এসে রান করতে লাগলেও লাস্টে একটু lbw এর চক্রে পড়ে যায়। তবে ইউসুফ পাঠান একাই রাজা এই ম্যাচে। ম্যাচ কোথার থেকে কোথায় নিয়ে চলে যায়। এই রান তুলতে মাত্র ১৩ ওভার লেগেছে। অনেক ওভার আগেই ম্যাচ জিতে গেছে, সেই হিসেবে পয়েন্ট এর দিক থেকেও অনেকটা এগিয়ে আছে। মোটামুটি বেশ ভালো খেলা হয়েছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.