কালীপুজো ২০২৪ ( পর্ব ১২ )

in আমার বাংলা ব্লগ19 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পুজোটা দেখেছিলাম মধ্যমগ্রামের একটি জায়গা থেকে। মধ্যমগ্রামের সোদপুর লাইনের দিকে বেশ কিছু স্থানে পুজোটা বেশ ভালো করে থাকে। এখানেই এই পুজোর প্যান্ডেলটা করেছিল অনেক সুন্দর করে। এখানে প্যান্ডেল দেখে মনে হচ্ছে যেন ইট-পাথরে তৈরি করা কোনো প্রাসাদ। আসলে এর ডিজাইনটা এমন ভাবে ধরেছে, যেটা বাস্তবের সাথে মিল রেখে তৈরি করা। তবে এখানে এই প্যান্ডেলটা কোন থিমের উপর বেস করে তৈরি করেছে, সেটা মনে নেই, তবে কোনো একটা মধ্যে প্রাচীর বা কিছু একটা প্রাচীন পরিকাঠামোর উপর ভিত্তি করে এইটা করা। এই প্যান্ডেলের বাইরের ডিজাইনে আসলে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যেতে হয়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

শিল্পীদের হাতের কাজ কত নিখুঁত হয়ে থাকে, যে একটা বাঁশ বা কাপড় এর মাধ্যমে একটি প্যান্ডেলের ডিজাইনকে কত সৌন্দর্যপূর্ণ স্থানে নিয়ে গেছে। লোকজন মনে হচ্ছে যেন, কোনো একটা ঐতিহাসিক রাজপ্রাসাদের ভিতরে পরিদর্শন করতে যাচ্ছে। আরো একটা আকর্ষণীয়, যেটা সব ধরণের প্যান্ডেলে লক্ষ্য করা যায়। আর সেটা হলো লাইটিং, এখানে আসলে কালী পুজোতে লাইটিং এর ব্যাপারটা একটা কমন, কিন্তু কিছু কিছু প্যান্ডেলের উপর এইধরণের ভিন্ন ভিন্ন লাইটিং এর ব্যাপার যদি দেওয়া হয়, তাহলে এর সৌন্দর্য আরো বেশি বেড়ে যায়। আর এই প্যান্ডেলের প্রতিটি সেক্টরে যে লাইটিং এর ব্যাপারটা করেছে, তা অসম্ভব সুন্দর ছিল, কারণ এখানে এক একটা স্থানে এক একটা কালার ইফেক্ট পড়ছিলো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

লাইটিংগুলো স্লোলি চেঞ্জ হচ্ছিলো, যেটা আরো ভালো লাগছিলো। কিন্তু এই ধরণের লাইটিং এর ব্যাপারটা আবার অনেক প্যান্ডেলে এমনভাবে দেয় অর্থাৎ এতো ঘন ঘন চেঞ্জ হয়, যে দেখতে একপ্রকার অস্বস্তি হয়, কারণ লাইটগুলো চোখের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এছাড়া এই প্যান্ডেলের বাইরে বিভিন্ন জায়গাতে হাতির কিছু দৃশ্যও তৈরি করেছে। তবে এইগুলোতে আবার লাইটিংগুলো দিয়েছে, যেখানে যেমনটা মানায় আর কি। এছাড়া আরো বিনোদনের জন্য এখানে একটা টেডি বিয়ারের বেশে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলো। অনেকে এটার সাথে সেলফি তোলায় বেশ মজে থাকে। বাচ্চাদের এইগুলো বিশেষ করে অনেক প্রিয়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

যাইহোক, এরপর আমরা ধীরে ধীরে প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করছিলাম। এখানে প্রথমেই ঢুকে ঝাড়বাতির দৃশ্যটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই ঝাড়বাতির ডিজাইনটা ছিল অনেক সৌন্দর্যমন্ডিত। এরপর প্যান্ডেলের দেয়ালের বিভিন্ন স্তরে অনেক আকর্ষণীয় আকর্ষণীয় নকশার ডিজাইন করা ছিল। মোটামুটি এই প্যান্ডেলের ভিতরে তেমন বিশেষ কোনো ডিজাইন ছিল না, যা ছিল সব প্যান্ডেলের বাহ্যিক অংশে। যাইহোক, এরপর মায়ের মণ্ডপের কাছে চলে গিয়েছিলাম দর্শনের জন্য। মায়ের সহ আশেপাশে মূর্তিগুলোও অনেক সুন্দর তৈরি করেছিল। সবমিলিয়ে বেশ ভালো ছিল।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.