গিলের ব্যাটিং ঝড়ে ইংল্যান্ড টিম বিপর্যস্ত!
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ইন্ডিয়া আর ইংল্যান্ড এর মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়েছে। এই টেস্ট ম্যাচটা আরো আকর্ষণীয় ছিল প্রথমটার থেকে। এই টেস্ট ম্যাচটাও একটি সম্পূর্ণ ব্যাটিং পিচের আন্ডারে হয়েছে বলতে গেলে। ইংল্যান্ড এমনিতেও প্রথম টেস্ট জিতে মনোবল বেশি পেয়ে গেছিলো, ফলে সেই সূত্র ধরে এই ম্যাচেও তারা টসে জিতে পরে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইন্ডিয়া সেই হিসেবে ব্যাট করতে নেমে পারফরম্যান্স ওপেনের থেকে ভালো ছিল না একপ্রকার। রাহুলকে এই ম্যাচে ওপেনে পাঠায়, কিন্তু সেই তুলনায় খুব বাজে একটা পারফরম্যান্স ছিল তার। যদিও রাহুল ওপেনের ব্যাটসম্যান না, সে বেশিরভাগ সময়ে অনডাউনে আসে। তবে এইবার একটু প্ল্যান চেঞ্জ করে খেলেছে।
রাহুলকে আগে পাঠিয়ে গিল পরে এসেছে। এখানে মোট খেলায় একটা বিষয় দেখলাম যে, ওপেনে দুই সিরিজেই ওপেনে চেন্জিং এনেছিল। কখনো করুন নাইর তো কখনো রাহুলকে। তবে রাহুল আর করুন নাইর প্রথম সিরিজে ব্যাটিং বাজে করলেও যাইস্বল মোটামুটি বেশ ভালো খেলে গিয়েছিলো অর্থাৎ টেস্টের ভাষায় যেটাকে মোটামুটি পারফরম্যান্স বলে। তবে এখানে গিলের সাথে যে পার্টনারশিপটা করেছিল যাইস্বল, তা অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খেলার শুরু দেখে মনে হয়েছিল, বেশি একটা রান করতে পারবে না এই পারফরম্যান্স ধরে রাখলে। তবে এখানে সব ব্যাটসম্যান যাওয়া আসা করলেও তার মাঝে একটা ব্যাটসম্যানই সুপার লেভেলে ব্যাট করে গিয়েছে একটানা।
এইরকম ধৌর্য সত্যি বলতে এই জেনারেশনে অনেক কম দেখা যায়। এতক্ষন ক্রিসে টিকে থাকা আর ব্যাটিং করা সহজ একটা কথা না। এই ব্যাটিং দেখে আমার সেই পুজারার কথা স্মরণে চলে আসে, যে টানা দুইদিন ক্রিসে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং করেছে। এখানে গিল একটা চিরস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। আমিতো শেষে আর খেলা দেখতে পারিনি, কিন্তু ভেবেছিলাম ইন্ডিয়া অলআউট হয়ে গিয়েছে, কিন্তু গিল যে একাই দ্বিশত রান করে এগিয়ে গিয়েছে, সেটা অবাক লেগেছিলো। যেখানে একা আড়াইশো+ রান করেছে, সেখানে আর কিছুই বলার থাকে না। তবে আমি ভেবেছিলাম ৩০০ করবে সম্ভবত, কারণ যখন এতক্ষন টিকে খেলে গিয়েছে আর আড়াইশো ক্রস করেছে, সেখানে সে ৩০০ করার চেষ্টা করবে।
তবে লাস্টে ব্যাট ছাড়তে হবে, বিধায় সবাই দ্রুত খেলে আউট হয়ে যায়। এখানে এতটাই রানের লিড দিয়েছে, যে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে সেটা তুলতেই পারেনি। আমি ভেবেছিলাম যদি, ইন্ডিয়া ইংল্যান্ডকে ১০০ রান পিছনে ফেলে অলআউট করতে পারে, তাহলে একটা বিগ চান্স থাকবে এই ম্যাচ জেতার। আর সেটা করেও দেখিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে এসেও গিল এক অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। যদিও এই ইনিংসে সময় কম ছিল তাদের হাতে, তাও এখানে রাহুল আবার একটু ভালো খেলেছিল আর সাথে ঋষভ আর জাডেজা। গিল এই ইনিংসেও আরেকটু ধৌর্য ধরে খেলার সময় পেলে দ্বিশত করতে পারতো, কিন্তু দ্রুত মেরে তাদের টার্গেট দেওয়ার তালে ১৬১ রানে আউট হয়ে যায়।
সবমিলিয়ে ৬০০+ রানের এক বড়ো টার্গেট ছুড়ে দেয় ইংল্যান্ড এর দিকে। ইংল্যান্ড এই রান যে এতো কম সময়ে তুলতে পারবে না, সেটা ধারণা করেছিলাম। কিন্তু এতো কম রানে আউট হবে, সেটা ভাবতে পারিনি। আকাশ দ্বীপ একাই সব ব্যাটসম্যানদের ধরাশায় করে দিয়েছে। বিশাল রানের ব্যবধানে হেরেছে ইংল্যান্ড, একদম পুরো ৩৩৬ রানে হেরেছে। গিল একাই ইংল্যান্ড এর মাটিতে একটার পর একটা রেকর্ড অর্থাৎ সেঞ্চুরির বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। একটাও এমন কোনো ব্যাটিং পারফরম্যান্স নেই, যেখানে অর্ধশত রান থেকে শুরু করে দ্বিশত+ রানের রেকর্ড নেই। একপর্যায়ে এই দ্বিশত রানের পাশাপাশি তার সিনিয়রদেরও ছাড়িয়ে গিয়েছে। সর্বচ্চো ২৩৪ অব্দি রেকর্ড আছে মনে হয়। তো যাইহোক, বিশাল একটা ব্যবধানে জয়ের মাধ্যমে অনেক পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছে। ব্যবধান যদিও দুই ম্যাচে সমান সমান, কিন্তু পয়েন্টের দিক থেকে এক লাফে অনেকদূর এগিয়ে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.