কালীপুজো ২০২৪ ( পর্ব ১৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে কালী পুজোর আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পুজোটা আমাদের এদিকেই একটি পাড়ার ভেতরে দেখেছিলাম। এই পুজোটার থিমটা আসলে ঠিক জানলেও, এর ডিজাইন আর কারুকার্য দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, এটি কোনো আদিবাসী মানব সমাজের একটি দৃশ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। কারণ এখানে জঙ্গলের ভেতরে থাকা যাযাবর ওরা যেভাবে তাদের অনুসারে মায়ের পুজো করতো, ঠিক সেইভাবেই এখানে সেই বিষয়টাকে অবিকল তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। এই পুজোর মেইন আকর্ষণ এটাই ছিল এখানে। তবে এই পুজোটা দেখতে আসলে অনেক ভীড় হয়েছিল। এখানে প্যান্ডেলটি আসলে এইরকমই দেখতে তৈরি করেছিল। সবকিছুতে যেন একটা আলাদা ইউনিক মোডিফিকেশন ছিল। এখানে পুরো প্যান্ডেল জুড়ে ডিজাইনের মাধ্যমে যেন একটা আদিবাসী ভাবধারা ফুটে উঠেছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এখানে বিভিন্ন ডিজাইনের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, এখানে বিভিন্ন মুখোশ, পালক, পাথর ও কাঠের মাধ্যমে বিভিন্ন কারুকার্য। এখানে যে পালকের ডিজাইন দেখতে পাবেন, তা মূলত আদিবাসী যাযাবর দের মাথার মুকুটের এক পাশে বা সামনের দিকে লাগানো থাকে। এছাড়া এই প্যান্ডেলের উপরের দিকে তিনটি বড়ো বড়ো মূর্তি রয়েছে। এই মূর্তিগুলো মূলত তাদের সমাজের নাগস হিসেবে তৈরি করেছে। আর মাঝখানে একটা সন্যাসীর মূর্তি দেখতে পাবেন, যেখানে এই সন্যাসীটা ধ্যানমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। আলোকসজ্জার দিকে ধ্যান দিলে প্যান্ডেলের সামনের দিকে আসলে বিভিন্ন ধরণের রঙ্গিন আলো ব্যবহার করা হয়েছে। সামনের দিকের এই আলোর জন্য সৌন্দর্যটা আরো বেশি ভালো লাগছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আরো বেশি আকর্ষণীয় যে ব্যাপারটা এখানে ফুটে উঠেছে, সেটা হলো এই যে বিভিন্ন কালারের মুখোশ আর পালকের ব্যবহারটা করেছে। এরপরে আরো কিছু মূর্তির দৃশ্য দেখতে পাবেন, যা ভয়ঙ্কর একপ্রকার বলা যায়। অতি ভয়ঙ্কর চেহারার আদিবাসীদের এই মূর্তি এখানে তুলে ধরেছিলো। আসলে কস্টিউম আর বিভিন্ন ডিজাইনের মাধ্যমে যে ভাবে তুলে ধরেছে, তা যেন একজন সত্যিকারের আদিবাসী লোক বা বনবাসী। শুধু একজন লোক বললে ভুল হবে, এখানে এই দৃশ্যের মাধ্যমেএকজন আদিবাসী যোদ্ধাদের বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। এরা আসলে বাস্তবে খুবই হিংস্র মতো হয়ে থাকে আর এদের এলাকায় কাউকেই ছাড় দেয় না। এছাড়া ভেতরের দিকে আরো কিছু ডেকোরেশন করা হয়েছে বিভিন্ন গাছ, পালা, মুখোশ এবং বিভিন্ন ধরণের হস্তশিল্পের একটা দৃষ্টান্ত উদাহরণস্বরূপ বিষয়গুলোকে ফুটিয়ে তুলেছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এখানে আসলে সবকিছুর মাধ্যমে একটি জঙ্গল ও আদিবাসী উপজাতিদের পরিবেশ তৈরি করেছে। এছাড়া একটা ভয়ংকর প্রাণীর ছবি এখানে আছে, যেটা শিল্পের ডিজাইনের মাধ্যমে এমনভাবে দিয়েছে, যেন একটা জঙ্গলের ভিলায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখানে একটা গণেশের মূর্তি আছে, তবে এই মূর্তিটি এখনকার বর্তমান সময়ের মূর্তির মতো দেখতে না, এটা আদিবাসী উপজাতিদের সমাজের লোকজন যেভাবে গণেশের মূর্তি বানিয়ে পুজো করতো, এটা সেই প্রাচীন একটা মূর্তি। সবকিছুর ডিজাইনের মাধ্যমে একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। আসলে এই প্যান্ডেলের সবকিছু বিবেচনা করলে দেখা যাবে যে, এটি সম্পূর্ণ প্রথাগত ভাবনার বাইরে গিয়ে এক অন্যধারার পরিবেশ ও সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছে। এখানে যে শুধু দেবী মায়ের আরাধনার বিষয়কে তুলে ধরেছে, তা নয়,এখানে প্রাচীন আদি সমাজের সংস্কৃতির প্রতিও একটা গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়েছে। এই পুজোটা অনেক আকর্ষণীয় ছিল।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.