মুভি রিভিউ: ফাইটার

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটির নাম হলো "ফাইটার"। এই মুভিটি মিলিটারি বেস করে তৈরি করা, একপ্রকার যুদ্ধের কাহিনী অবলম্বনে। কাহিনীটা তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

মুভির নাম
ফাইটার
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
পরিচালকের নাম
সিদ্ধার্থ আনন্দ
অভিনয়
হৃতিক রোশন, দীপিকা পাড়ুকোন, অক্ষয় ওবেরয়, করণ সিং গ্রোভার, অনিল কাপুর ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ( ইন্ডিয়া )
সময়
২ ঘন্টা ৪০ মিনিট
ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


☫মূল কাহিনী:☫


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

প্রথমত কাহিনীটা কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে শুরু হয় অর্থাৎ ওখানে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স কমান্ড অফিসারদের নিয়ে। এখানে জেট বিমান, হেলিকপ্টার এর সমস্ত অফিসারদের স্পেশ্যাল ট্রেইনিং দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এখানে আগে থেকে কেউ কারো সাথে তেমন পরিচিত ছিল না যেমন, প্যাটি আর মিনি দুইজনই আলাদা আলাদা জায়গার থেকে আসে। যদিও এখানে প্যাটি অনেক আগে থেকেই এই এয়ার ফোর্স এর টিম লিডার হিসেবে যেকোনো যুদ্ধের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে। আর তার নিজের বাড়িও এই কাশ্মীরের শ্রীনগরে। রকি নামের একজন তাদের প্রধান ছিল এর মধ্যে যার নির্দেশে সবকিছু হতো। কিন্তু প্যাটি কারো কোনো কথাই শুনতো না, সে সবসময় নিজের মতো চলতো অর্থাৎ তার যদি loc ক্রস করতে মানা করা হতো, তাও সে সেই loc ক্রস করে চলে যেত। আর এই নিয়ে অনেকবার সমস্যাও হয়েছে, এমনকি কয়েকজনের জীবনও চলে গিয়েছে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এখন তাদের আসলে স্পেশ্যাল ট্রেইনিং দিয়ে যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে বলে, কারণ পাকিস্তান একটা প্ল্যান করে রয়েছে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় হামলা করতে পারে আর সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর এতে তো পাকিস্তান এর আর্মিদের বড়ো হাত থাকে জঙ্গিদের সাথে। এখানে একজন জেরিনা নামের মহিলা বেশে তাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে কিন্তু বাস্তবে সে একজন পুরুষ ছিল, জাস্ট অভিনয় করে চলতো যাতে কেউ টের না পায়। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের এক জঙ্গি সদস্য rdx নিয়ে কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে, তার প্রধান টার্গেট ছিল একসাথে অনেকগুলো জায়গা উড়ানো বিস্ফোরণের মাধ্যমে। তবে সে টার্গেট করে সেদিন, যেদিন একসাথে অনেকগুলো বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এর গাড়ি সীমান্ত দিয়ে ক্রস করছিলো, ঠিক ওই মুহূর্তেই একসাথে অনেকগুলো গাড়ি উড়িয়ে দেয় আর নিজেও মরে যায়। এতে অনেকজন ফোর্স বিনা যুদ্ধ করেই প্রাণ হারায় আর অসংখ্য আহত হয়। এদিকে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স পাকিস্তান সীমান্তে ঢুকে তাদের সমস্ত ডেরা ধংস করে দেয় এবং সেই সাথে তাদের অনেকগুলো ব্যাংকারও ধংস করে দেয়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

জঙ্গিদের সাথে যেহেতু পাকিস্তানের এয়ার ফোর্সেরও ভালো যোগাযোগ আছে, তাই তাদের সাথে সংবাদ পাঠিয়ে দিলে তাদের মারার জন্য স্পেশাল ফোর্স পাঠায়, কিন্তু প্যাটিও কম না, সে তাদের লক করে দেয় আর জেট বিমানগুলোতে লক করে দিলে আর কিছুই করতে পারে না সে। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সরা একপ্রকার জিতে যায়। কিন্তু এখানে বিষয়টা আরো গম্ভীর হয়ে যায় অর্থাৎ পাকিস্তান পরবর্তী দিনে একইভাবে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের উপরে হামলা করে অনেক কিছু ধংস করে দেয়, তবে তাদের আরো প্ল্যান ছিল অর্থাৎ প্যাটি আর তার বন্ধু তাজ কে মারার জন্য রাগান্বিত করে তোলে আর তাদের ধরার জন্য পিছু পিছু loc ক্রস করে দেয়, যেখানে তাকে যেতে বারবার মানা করে। কিন্তু সেখানে জালে ফেঁসে যায়, তার বন্ধুকে একপ্রকার সেখান থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, তবে প্রথমে ভেবেছিলো মারা গিয়েছে, কারণ বিমানে আগুন লেগে গিয়েছিলো মিসাইল লাগার কারণে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

তো যাইহোক, এই নিয়ে কোর্ট মার্শাল হয়ে যায় প্যাটি এর বিরুদ্ধে, কারণ লিডার হওয়া সত্বেও রুলস ব্রেক করে চলে যায় যার ফলস্বরূপ জীবন চলে যায়। তবে তাকে শাস্তি স্বরূপ সেখান থেকে বদলি করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয় একজন ট্রেইনার হিসেবে। কিন্তু পরবর্তীতে সে নিজে এই চাকরি থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়, কারণ সে নিজে নিজেকে পরে রিয়ালাইজ করে যে, তার জন্য কত জনের জীবন গিয়েছে। এরপরে সে পুনরায় আবার শ্রীনগর ব্যাক করে এবং পরে জানতে পারে তারা দুইজন মারা যায়নি, আর পাকিস্তান থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে, কিন্তু বশির নামের একজনকে জঘন্য ভাবে মেরে তাদের কাছে পাঠিয়ে দেয় এবং অন্য জনকে সেইভাবে আটকে অত্যাচার করতে লাগে। প্যাটি সবার সাথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও বোর্ড তাকে অনুমতি দেয়নি, কিন্তু পরে রকি এর নির্দেশে সে পাকিস্তানে ঢুকে তার বন্ধুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করে আর সেটা পরিপূর্ণও করে।


☫ব্যক্তিগত মতামত:☫

এই মুভিটা মূলত কাশ্মীর দখল নিয়ে, পাকিস্তান বলে কাশ্মীর পুরোটা তাদের, সেই রক্ষার্থে সবাই জীবন দিচ্ছে। কাশ্মীর পুরোটাই ইন্ডিয়ার ভিতরে, বরং তার থেকে কিছু অংশ পাকিস্তান চলে গিয়েছে, এখন তাদের পুরোটাই দিতে হবে। এই নিয়ে যত খুনোখুনি বোমা বাজি চলছে। ইন্ডিয়া এক্ষেত্রে বহুদিন চুপচাপ তাদের এইসব অন্যায় অত্যাচার মেনে চুপচাপ বসে থাকে, কিন্তু সবকিছুর একটা লিমিট আছে, অতিরিক্ত যখন করে ফেললো, তখন ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স ভাবলো না এইবার মুখ্যম জবাব দিতে হবে। এরপরে সীমান্তে ঢুকে ঢুকে মারা শুরু করলো সব জঙ্গিদের। আসলে এখানে যে এজেন্ট হিসেবে ছিল সে ডবল গেম খেলেছে একপ্রকার। মানে একদিকে পাকিস্তান জঙ্গিদের হয়ে কাজ করেছে আবার একদিকে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স হিসেবে। মানে এই গেমটা পাকিস্তানের সাথেই খেলেছে। এই মুভিগুলো আসলে একপ্রকার দেখতে ভালো লাগে, গানগুলো শুনলে মনের ভিতরে আলাদা একটা শিহরণ জেগে ওঠে। এইটা ভেবেছিলাম হলে গিয়ে থ্রি ডি তে দেখবো, কিন্তু যাবো যাবো করে আর যাওয়া হয়নি। এইসব মিলিটারি জাতীয় মুভিগুলো বড়ো পর্দায় দেখলে দারুন লাগে। যাইহোক, মুভিটা আমার কাছে সর্বোপরি ভালো লেগেছিলো।


☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৮.৮/১০


☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

দাদা মুভির রিভিউটি পড়ে মুভিটি দেখার ইচ্ছে জাগলো খুব।এক সময় অনিল কাপুর, ঋতিক রোশনের মুভি খুব বেশীই দেখা হতো।এখন আর সময়ের জন্য দেখা হয়ে উঠে না।কাশ্মীরকে নিয়ে পাকিস্তান আর ইন্ডিয়ার মাঝে এই যে একটা দ্বন্দ্ব চলছে তা নিয়েই মূলত মুভির কাহিনী।আমি দেখেছিলাম পাকিস্তানের একটি বাচ্চা মেয়ে ইন্ডিয়া চলে এসেছিল, সালমান খানের এই মুভিটি আমি কয়েকবার দেখেছি।খুব ভালো লেগেছিল।অন্য রকম এক অনুভূতি মনের মাঝে বিরাজ করে।আপনার আজকের মুভির রিভিউটি আপনি চমৎকার ভাবে করলেন।আর গানগুলো শুনলে মনে শিহরণ জাগে বললেন।তবে তো সময় করে দেখতেই হয় মুভিটি।ধন্যবাদ দাদা আপনাকে খুব সুন্দর একটি মুভির রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

দাদা এই ফাইটার মুভিটি আমি দেখেছি, অসাধারণ একটি মুভি আসলে কাশ্মীরের দ্বন্দ্ব অনেক আগে থেকে লেগে রয়েছে। পাকিস্তান আর ভারতের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব যেন ক্রমশাই বৃদ্ধি পায়। আসলে পাকিস্তান মনে করে কাশ্মীর আমাদের আর ইন্ডিয়া মনে করে আমাদের, আসলে এই দ্বন্দ্ব কবে শেষ হবে সেটা বলা যায় না। যার কারণে পাকিস্তান মাঝে মধ্যে ইন্ডিয়ার উপরে মাঝে মাঝে গোলাগুলি হয়।পাকিস্তান প্রতিনিয়ত ভারতের সাথে এই অন্যায় যুদ্ধ চালিয়ে যায়। যার কারণে ভারত এই অন্যায় যুদ্ধকে মেনে নিয়ে তারা সহ্য করতে না পেরে তারাও চড়া হয়। এই জঙ্গিদের উপরে আসলে জঙ্গির একটা এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। যার কারণে এই সমস্যাটা হচ্ছে। আসলে এই কাশ্মীর দ্বন্দ্ব নিয়ে আরো মুভি আমি দেখেছি। সালমান খানেরও একটা রয়েছে। যাই হোক এই মুভি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে কারণ মুভি গুলো ইতিহাস কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যাই হোক এই মুভির গানগুলো অসাধারণ ছিল। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন রিভিউ পড়র ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

যুদ্ধ বা মিলিটারি জাতীয় মুভিগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে দাদা। এটা ঠিক, এই ধরনের মুভিগুলো বড় পর্দায় দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক এই মুভিটা আমার দেখা হয়নি, তবে সালমান খানের বাজরাঙ্গি ভাইজান মুভিটা দেখেছিলাম এবং মুভিটা দারুণ লেগেছিল। কাশ্মীর নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের যুদ্ধ মনে হয় কখনোই শেষ হবে না। তবে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের দোষ পুরোপুরি। অযৌক্তিক আবদার কখনোই রাখা সম্ভব হয় না। তাছাড়া ভারতেরও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। হৃতিক রোশন এবং দীপিকার অসংখ্য মুভি আমি দেখেছি। তাদের অভিনয় বরাবরই দুর্দান্ত হয়। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো ফাইটার মুভির রিভিউ পড়ে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি মুভির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

দাদা আপনি আজকে এত সুন্দর করে একটা মুভির রিভিউ পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন দেখা, আমার কাছে পুরোটা পড়তে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমার কাছে এই ধরনের মুভি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগ এমনকি এই রিভিউ পোস্ট পড়তে তো আরো বেশি পছন্দ করি। আমি যখন সময় পাই তখন মুভি দেখার চেষ্টা করি। ফাইটার মুভিটার কাহিনী একটু ভিন্ন ছিল দেখছি। কাশ্মীর দখল নিয়েই পুরো টা করা হয়েছে। পুরো কাশ্মীরকে পাকিস্তান নিজের দখলেই চাইত। কিন্তু বেশিরভাগ অংশ ছিল ভারতে। ভারত যদিও প্রথম প্রথম কিছুই বলেনি, কিন্তু পাকিস্তান ধৈর্যের সীমা পার করে ফেলেছিল। তাই তো ভারতও শুরু করেছিল এতসব কিছু্। আর একরকম যুদ্ধের মত হয়েছে পুরোটা। হৃতিক রোশন আর দীপিকার মুভি তো সবাই পছন্দ করে। হলে গিয়ে দেখার যদিও ইচ্ছা ছিল, আপনার কিন্তু এখনো পর্যন্ত যেতে পারেননি শুনে খারাপ লাগলো দাদা। এই মুভিটা আমি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো কারণ এটার কাহিনী আমার কাছে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা পুরো মুভিটার রিভিউ লিখে সবার মাঝে সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

 last year 

এই জাতীয় মুভি গুলোর হিরো অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্যাটি এর মতোই হয়।তারা তাদের নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে।কোনো রুল মনে না।ঠিক তেমনটাই প্যাটি ও করেছে।তবে তার বার বার এরকম ভুলের জন্যে অনেক মানুষের প্রাণ ও চলে গেছে।তাই তাকে অন্য জায়গায় ট্রেইনার হিসেবে পাঠানোই যথার্থ হয়েছে।কিন্তু সে তার ভুল বুঝতে পেরে নিজেই পদত্যাগ করে।কিন্তু পরে পুনরায় রকির সাহায্যে নিয়ে তার বন্ধুদের নিয়ে আসে যদিও তাকে আইন গতভাবে অনুমতি দেয়নি।আপনি ঠিকই বলেছেন দাদা এরকম মুভি গুলো বড় পর্দায় দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।

 last year 

দাদা আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ফাইটার মুভিটি কভার করেছেন। আসলে এই ফাইটার মুভি দেখার খুব ইচ্ছে করছে। আসলে এই মুভিটি অসাধারণ একটি মুভি। আসলে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে এই কাশ্মীর নিয়ে অনেক দ্বন্দ্ব রয়েছে। আর এই রকম এর আগে সালমান খানের একটি ছবি আমি দেখেছি। তবে এটা যেন একটা বাস্তব কাহিনীর আলোকে ছবিগুলো করা। পাকিস্তান আর ভারতের মধ্যে এই কাশ্মীর নিয়ে নানা দ্বন্দ্ব। তারা একে অপরকে কোন ভাবে ছাড় দেয় না। যাই হোক এরকম মুভি দেখলে খুবই ভালো লাগে।

 last year 

দাদা আমার কাছে আপনার প্রত্যেকটা মুভির রিভিউ সব সময় খুব ভালো লাগে। আর আমি মুভি গুলোর রিভিউ পোস্ট পড়ার চেষ্টা করি। কারণ সময়ের কারণে মুভি খুব একটা দেখা হয় না আমার। তাই রিভিউ পোস্ট পড়ার চেষ্টা করি। কারণ রিভিউ পোস্ট পড়লে মুভি আর দেখাই লাগেনা। দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে হৃতিক রোশন আর দীপিকা পাড়ুকোনের সুন্দর একটা মুভির রিভিউ শেয়ার করেছেন। যুদ্ধের মতোই এই মুভিটার কাহিনী ছিল। কাশ্মীর দখল নিয়েই পুরোটা হয়েছে দেখছি এখানে। পাকিস্তান বেআইনিভাবে কাশ্মীর দখল করার চেষ্টা করছে। যদিও সম্পূর্ণ কাশ্মীর ছিলই ভারতের ভিতর। আসলে বেশি সময়ের জন্য এত কিছু মেনে নেওয়া সম্ভব হয় না, আর তেমনি ইন্ডিয়া ও মেনে নিতে পারেনি শেষ পর্যন্ত তারাও যুদ্ধে নেমেছিল। বড় পর্দায় কখনো মুভি দেখা হয়নি আমার। এমনিতেই মুভি থাকা হয়েছে অনেকবার। বুঝতেই পারছি বড় পর্দায় এরকম মুভি দেখার মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি আছে। তেমনি এই ফাইটার মুভিটাও কিন্তু বড় পর্দায় মনে হচ্ছে ভালো লাগবে। বড়পর্দায় না দেখতে পারলেও মোবাইলে দেখার চেষ্টা করব। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

দাদা আপনি যখনই মুভি রিভিউ শেয়ার করেন তখন আমি পড়ার চেষ্টা করি। সময় সুযোগ পেলেই দেখার চেষ্টা করি। এক সময় আমার খুবই প্রিয় ছিল মুভি দেখা। বাংলা মুভি কিংবা হিন্দি মুভি সব মুভি আমার অনেক পছন্দের। কিন্তু এখন দেখার সুযোগ হয় না। এত ব্যস্ততার মাঝেও একটু বিনোদন নিতে ইচ্ছে করে দাদা। যখন আপনার মুভি রিভিউ গুলো দেখি শর্টকাটের মধ্যেই দেখার চেষ্টা করি। তিনজনই অভিনেতা আমার খুব পছন্দের। অনেক ভালো লেগেছে দাদা অসংখ্য ধন্যবাদ ফাইটার মুভি রিভিউ শেয়ার করার জন্য।

 last year 

দাদা ফাইটার মুভিটা দেখছি যুদ্ধের কাহিনীর মতোই ছিল। এরকম মুভিগুলো আগে আমি অনেক বেশি দেখতাম তবে এখন খুব একটা দেখি না। আমি এমনিতে বেশিরভাগ সময় হিন্দি মুভি গুলো দেখি। আর যখন সময় পাই তখনই দেখার চেষ্টা করি। অনেক সময় তো দেখা যায় এক সপ্তাহ জুড়ে একটাই মুভি দেখেছি। পাকিস্তান এক কথায় অবৈধভাবেই কাশ্মীরকে নিজের দখলে আনতে চেয়েছে, কিন্তু সম্পূর্ণ কাশ্মীর ছিল ইন্ডিয়ার ভিতর। প্রথম প্রথম যদিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া কোনরকম অ্যাকশন নেয়নি কিন্তু তারা লিমিট ক্রস করার কারণেই ইন্ডিয়া তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। আসলে বসে বসে তো অত্যাচার এরকম ভাবে সহ্য করা সম্ভব না। তাই তারা পরবর্তীতে অ্যাকশন নিয়ে ভালোই করেছে। আসলেই এ ধরনের মুভি গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। আমি তো মনে করি শুধু বড়পর্দায় না, টিভির মধ্যে সবাই একসাথে বসে মুভি গুলো দেখতেও ভালো লাগে। অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে পুরোটা।