শেষ ট্রেনের যাত্রী ( পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে "শেষ ট্রেনের যাত্রী" গল্পটির চতুর্থ পর্ব শেয়ার করে নেবো। তো এরপরে সঞ্চিতা দাস ট্রেন থেকে নামার পরে স্টেশনের এক বেঞ্চে বসে ছিলেন। তাঁহার যেন চোখেমুখে এক চরম বিষণ্ণতা কাজ করতে লাগে। সময়টা কম নয়, দীর্ঘ ৫০ বছর আগের কথা। তিনি যে শাড়িতেই রওনা দিয়েছিলেন, সেই একই শাড়ি তার পরনে, কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে তাতে কোনো ছাপ পড়িনি। স্টেশন মাস্টার সেখান থেকে সামনের একটি দোকান থেকে বিস্কুট আর জল নিয়ে তার কাছে আসলেন। এরপর স্টেশন মাস্টার সেখানে বসে ধীরেসিস্তে বিষয়টা জানতে চাইলেন অর্থাৎ কিভাবে এতো বছর পরে? ওই মহিলা ( সঞ্চিতা ) বললেন- আমি নিজেও বুঝিনি বিষয়টা।
আমি ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ যেতে যেতে অন্ধকার হয়ে গেলো চারিদিকে। জানালার বাইরেও কিছু নেই, বাকি সব যাত্রীরাও যেন হাওয়ায় বিলীন হয়ে গেলো। তারপর সব নিস্তব্ধ, কারণ তখন যেন একটা গভীর নিদ্রায় শুয়ে পড়েছিলাম অজান্তেই। আর এই ঘুমের ঘোরে কেউ যেন ডেকে বলছে-সময় শেষ হয়নি। আমি বেঁচে আছি, কিন্তু কোথায় তা জানি না। সঞ্চিতা আরো বললেন - সেখানে একটি ছেলে ডেকে বারবার বলছিলেন যে, ভয় পাবেন না, এইবার আপনি ফিরতে পারবেন। ওই ছেলেটার নাম ছিল রাকেশ। স্টেশন মাস্টার এই নামটা শুনে শিউরে উঠলেন। রাকেশ! আবার! এদিকে সমস্ত শহর জুড়ে একটা কোলাহলের সৃষ্টি হয়েছে।
সবাই বলে বেড়াচ্ছে-গঙ্গারামপুর স্টেশনে ভুতুড়ে ট্রেন ফিরে এসেছে, আর সেই ট্রেন হারিয়ে যাওয়া মানুষদের এক এক করে ফিরিয়ে আনছে। এই শুনে শহরের বা আশেপাশের অনেক লোকজনই অর্থাৎ যাদের আত্মীয়-পরিজন হারিয়ে গিয়েছে, তাদের ফিরে আসার একটা পথ পেয়েছে বলে ধারণা। তাই তাদের এই ট্রেনের উপরে একটা আস্থা তৈরি হয় যে, তাদেরও আত্মীয়, স্বজন এই ট্রেনে ফিরে আসতে পারে। তাই এর পরের থেকে গঙ্গারামপুর স্টেশনে রাতের দিকে অর্থাৎ রাত ১১ টা ২০ মিনিটের এই ভুতুড়ে ট্রেনের অপেক্ষায় লোকজন জমা হতে থাকে। পরের দিন এই একই সময়ে ট্রেন আবার আসলো আর লোকজনের তো অসম্ভব ভীড়।
তো ওই ট্রেন থেকে নামলো একটা অল্প বয়েসের ছেলে অর্থাৎ কিশোর যাকে বলে। ছেলেটা ট্রেন থেকেই স্টেশনে নামতেই চিৎকার করে উঠলো বাবা-মা বলে, যে তোমরা সবাই কোথায় ? সেই ছেলেটার সেখানে কেউ ছিল না, কিন্তু পাশে একমাত্র স্টেশন মাস্টার ছিল তাকে সাহায্য করার জন্য। ছেলেটির চোখে-মুখে এমনিতেই একটু কৌতূহলী ভাব। তো স্টেশন মাস্টার ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করলো, তুমি কে? ছেলেটি বললো-আমি রাহুল, আমি ২০০১ সালের দিকে হারিয়ে গিয়েছিলাম। দার্জিলিং যাচ্ছিলাম ট্রেনে করে, কিন্তু যেতে যেতে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপর.....
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ @winkles, "শেষ ট্রেনের যাত্রী" গল্পের চতুর্থ পর্বটি সত্যিই অসাধারণ! Such a chilling tale! I'm thoroughly enjoying this suspenseful narrative about the mysterious train and the people it brings back from the past. The image you've included perfectly sets the eerie mood.
The way you've woven the elements of mystery and the reactions of the townspeople is captivating. I'm especially intrigued by the character of রাকেশ and the reappearance of Rahul. It leaves me eagerly anticipating the next installment!
বন্ধুরা, are you also following this thrilling story? Share your thoughts and theories in the comments! What do you think will happen next at গঙ্গারামপুর স্টেশন? Let's discuss! And @winkles, keep up the fantastic work! I'm already waiting for the next পর্ব!