চন্দ্রহাসি বাংলো ( পর্ব ১ )

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago (edited)
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

ChatGPT Image Aug 6, 2025, 03_09_12 AM.png

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করে নেবো। এই গল্পটির নাম হলো "চন্দ্রহাসি বাংলো"। এই গল্পটি ভৌতিক এবং রহস্যময়। সুধীর মন্ডল নামের একজন কলকাতা নিবাসী বিরাট বড়ো শিল্পপতি। কলকাতায় বলতে গেলে তার অনেকগুলো ব্যবসা আছে। তো তার এই কর্মজীবনে এবং ব্যস্ততার মধ্যে সময় বের করে একটু নির্জন জায়গায় ভ্রমণ করতে বা ঘুরতে যেতে চায়। তো একদিন ছুটি কাটাতে উত্তরবঙ্গের কোথাও একটা জায়গায় যাওয়ার জন্য জায়গা খুঁজতে লাগে। আর তার হঠাৎ মনে পড়ে যে, তার এক বন্ধু উত্তরবঙ্গে পাহাড়ের কাছে একটি বাংলো কিনেছে। তা প্রায় অনেকদিন আগে কেনা এই বাংলো আর তার নাম দেয় এই "চন্দ্রহাসি বাংলো"। তো সুধীর মন্ডল একদিন তার সেই বন্ধুকে ফোন করে বলে যে তোর ওই বাংলোতে আমি কিছুদিনের জন্য এসে থাকতে চাই এবং ছুটি কাটাতে চাই।

তার বন্ধু শুনে খুশি হয় আর সেখানে চাইলে মাসখানেক থেকে যেতে বলে। পাহাড়ের নির্মল প্রকৃতি উপভোগ করতে পাবে আবার তার সমস্ত কাজকর্মও চাইলে সেখানে থেকে করতেও পারে। এই প্রস্তাব সুধীর মন্ডলের কাছে ভালো লাগে, তো ওখানেই যাওয়ার চিন্তা করলো শেষমেষ। দুইদিন পরে সেখানে তার পার্সোনাল গাড়ি নিয়ে রওনা শুরু করলো এবং একদিন পুরো লেগে যায়। তো রাস্তার ধারে একটা হোটেলে সুধীর মন্ডল রাতটুকু কাটায় এবং পরেরদিন সকালে রওনা দিয়ে ঘন্টা তিনেক এর মধ্যে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করে এবং পাহাড়ি রাস্তা ধরে তার সেই বন্ধুর বাংলোতে পৌঁছে যায়। তবে এই বাংলোটা তার বন্ধুর হলেও আসলে এখানে বেশিদিন কেউ থাকে না। আর সেও নিজে থাকে না, ফলে বাংলোটা পুরো খালিখালি লাগে, শুধু একজন দারোয়ান ছাড়া।

বাংলোটির চারিপাশ যেন একদম কুয়াশায় আচ্ছন্ন ভাব আর একদম নির্জন, যেন কোনো সাড়াশব্দ নেই। বাংলোতে অনেকদিন কেউ না থাকলে যা হয়, সব যেন ধুলো জমে গেছে। এছাড়া ভেতরে জানালার কাঁচ ভাঙা ইত্যাদি সবকিছু এলোমেলো অবস্থা। সুধীর বাবু এসে আরো চিন্তায় পড়ে গেলো, যে এতদূর জার্নি করে এসে এইসব আবার পরিষ্কার করতে হবে! সেখানে দারোয়ান এর কাছে সুধীরবাবু এই বাংলোর খালিপনা ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে বলে-আগে তেমন খালি থাকতো না, আশা যাওয়া থাকতো। কিন্তু কেউ বেশিদিন থাকতো না, এখানে একা একা কেমন যেন গা ছমছম করে। আর কলকাতা শহরের লোক বলে কথা, তারা এইসব-বিশেষ করে সুধীর মন্ডল তো এইসব কথা বিশ্বাসই করে না, হেসে উড়িয়ে দেওয়ার মতো।

যাইহোক, এরপর সেই দারোয়ান আর সুধীর মন্ডল মিলে বাংলোর চারিপাশ এবং ভেতরে পরিষ্কার করে। এরপর দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলে, সেখানে আবার ইলেক্ট্রিসিটির প্রব্লেম, যাওয়া আসা করে থাকে। বাংলোতে যার জন্য মোমবাতি বেশি থাকে। এরপর রাত ৮ টা বাজলে সুধীর মন্ডল রাতের খাবারটা খেয়ে নেয় এবং বাংলোর ভেতরটা ঘুরে দেখতে লাগে। এরপর রুমে এসে কিছু আর্ট এর কাজ করলো সময় কাটানোর জন্য। এরপর দারোয়ানকে পরেরদিন জিজ্ঞাসা করলো-এই বাংলোর নাম (চন্দ্রহাসি বাংলো )এতো অদ্ভুত কেন?.....


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.