প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার রনজয় কান্ড!
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে একটি টি২০ ম্যাচ হয়েছে। খেলাটা মোটামুটি বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল। আর অস্ট্রেলিয়া যেমন বড় টিম, তেমন দক্ষিণ আফ্রিকা টিমও অনেক শক্তিশালী। যদিও এইসব টিমের ভিত কখনো ভাঙে না তেমন। তবে আগেকার যেসব প্লেয়ার ছিল, তাদের ব্যাপার একটা আলাদা ছিল, সেটা দক্ষিণ আফ্রিকা হোক বা অস্ট্রেলিয়া। এখন এমনিতেই যেসব প্লেয়ার নিয়ে খেলা হচ্ছে, তা অধিকাংশই নতুন প্রজন্মের প্লেয়ার। ফলে এদের বিষয়টা ধীরে ধীরে রপ্ত হবে, তবে সময় লাগবে।
কিন্তু এদের মধ্যে একটা আলাদা জোশ আছে, যেটা খেলার মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। অস্ট্রেলিয়া টিমে ৩-৪ জন প্লেয়ার বাদে বাকি সবাই নতুন একদম। আগে যেমন সবাই সব ফরম্যাট-এ খেলা করতো, এখন সেইরকম নেই। সব ফরম্যাট এর জন্য টিম আলাদা আলাদা। যাইহোক, এই ম্যাচ ছিল প্রথম আর দক্ষিণ আফ্রিকা টস জিতে আগে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠায়। যদিও এই পিচ ব্যাটিং এর দিক থেকে একদম উপযুক্ত ছিল, তবে বোলিং এর ক্ষেত্রে লেন্থ বেশ কার্যকরী ছিল। অস্ট্রেলিয়ার টি২০ ফরম্যাট এর ক্ষেত্রে মিশেল মার্শ আর হেড দুর্দান্ত ওপেনার। বিশেষ করে হেড তো টি২০ ফরম্যাট-এ একজন তুলকালাম ব্যাটসম্যান।
হেড ক্ষেপে গেলে কি হয় সেটা কারো অজানা নয়। কারণ এইসব প্লেয়ার একটা গোটা ম্যাচের রূপ যেমন বদলে দিতে পারে, তেমনি একটা শেষ হয়ে যাওয়া ম্যাচকেও জিতিয়ে আনার মতো ক্ষমতা রাখে। কিছু কিছু দেশের ওপেনার ব্যাটসম্যান আছে, যারা একবার দাঁড়িয়ে গেলে বোলারদের ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক হয়ে যায়। তবে যাইহোক, এই ম্যাচে দুইজনের একজনও রান করতে পারেনি। গ্রিন নামের এই প্লেয়ারও যথেষ্ট উচ্চমানের ব্যাটসম্যান। প্রথম তিনজনের এই বেহাল অবস্থায় একপ্রকার রান রেট দুর্বল হয়ে পড়েছিলো।
প্রথম ৬ ওভার ছিল রান করার ওভার আর সেই ওভারেই পুরো ডাউন গিয়েছে। তবে তাও গ্রিন এর প্রচেষ্টায় আর সাথে ডেভিড এর পার্টনারশিপ ভালো একটা পজিশন গড়ে তুলেছিল। ১১৮ রানের এই দুর্দান্ত ইনিংস পুরো খেলার রূপ চেঞ্জ করে দিয়েছিলো। কিন্তু এই ম্যাক্সওয়েল যে কি করলো, এ রান ৩০ এর মতো করে দিলে একটা মিরাক্কেল এর মতো ম্যাচ হতো। কারণ অস্ট্রেলিয়ার এই ইনিংস ছিল একদম মৃত, সেখান থেকে টেনে তুলে ১৭৮ রানের একটা পাহাড় গড়েছিলো, যদিও উইকেট হারাতে হয়েছিলো সব। এই রান এই পিচ এর কন্ডিশন-এ তেমন সমস্যা ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকার এক ওপেনার মার্করম আর রিকেলটন ছাড়া বাকি সবাই নতুন।
তবে এদের এই দুইজনের ক্ষমতাও যথেষ্ট। তবে এই রান চেজ এর ক্ষেত্রে শুরুটা এক দিক থেকে করেছিলো ভালোই। রিকেলটন অনেক ভালো করেছে, একার দমে রান যথেষ্ট ভালো তুলে দিয়েছিলো। কিন্তু বাকিরা কি করলো সেটাই অবাক করার বিষয় ছিল। কেউই এসে দাঁড়াতে পারেনি, কিন্তু তাও টেনেটুনে অনেক কাছে নিয়ে গেছিলো। মাত্র অল্প কয়েকটা রানের কারণে হারতে হলো তাদের, অন্যরা একটু টেনে দিলে ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার হতো। আসলে ফিল্ডিংও ছিল মারাত্মক। যাইহোক, সামনে আরো ম্যাচ আছে, ভালো হবে আশা করা যায়।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.