এক নাটকীয় এবং রুদ্ধশ্বাস টেস্ট সিরিজ!

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

जडेजा का आकर्षक शॉट, लार्ड्स में.png

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল তৃতীয় টেস্ট সিরিজের শেষ দিন ছিল। খেলাটা বলতে গেলে এই সিরিজে খুবই জটিল এবং প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। লর্ডস এর পিচ খুবই জটিল ছিল। তবে প্রথম ইনিংসে এতটা খারাপ পিচ ছিল না, যতোটা দ্বিতীয় ইনিংসে পিচ জটিল ছিল। তবে এই সিরিজের কোনো ইনিংসে কেউই ভালো মতো খেলতে পারেনি। লর্ডস এর পিচটা একটু সমস্যা ছিল, প্রথম ইনিংসে পিচ এর পরিস্থিতি খারাপ থাকলেও ব্যাটিং এর দিকে ৫০% ছিল।

কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে পুরো ৯০% বোলিং সাইটে ছিল। তাও ইন্ডিয়া প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ভালোই চাপে রেখেছিলো। ৪০০ রান ক্রস করতে দেয়নি, এটা একটা প্লাস পয়েন্ট ছিল ইন্ডিয়ার জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে। এই টেস্টে ইংল্যান্ড টস-এ জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, ওপেন এর দুইজনকেই চাপে রেখেছিলো ভীষন, বিশেষ করে বুমরাহ আর সিরাজ। ফাস্ট বলেই বেশি কাজ করেছে এই পিচ-এ, যেটা দুই টিমের ব্যাটিং এর দিক থেকে বোঝা গিয়েছিলো। ওপেনার এর মধ্যে ডাকেট একজন বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান ছিল, তাকেই দ্রুত আউট করতে পেরেছিল।

কিন্তু বিষয় হলো, এখানে পরের সারির দুইজন আউট হলেও পরের সারির দুইজন আরো বেশি বিপজ্জনক টেস্টে। কারণ এরা হার্ড ডিফেন্স খেলতে পারে খুব। এমনিতে হিসেবে প্রথমে যেভাবে চেপে রেখেছিলো, তাতে রান ২৫০-৩০০ এর বেশি হবে না মনে হয়েছিলো। কিন্তু ওই যে বললাম হার্ড ডিফেন্স, ম্যাচটাকে এরা দুইজন বাঁচিয়ে নিয়ে গিয়েছে অনেকক্ষণ ধরে। রুট একজন ভালো ডিফেন্স এর প্লেয়ার। প্রত্যেকটা ম্যাচে ভাল ডিফেন্স খেলে, এই ম্যাচেও সেই ট্রাজেটি কাজে লাগিয়েছে। তার একার এই সেঞ্চুরি এর জন্য ম্যাচে রানটা বাড়ে। তবে এখানে রুট এর ক্ষেত্রে ভালো হয়েছিলো, কয়েকজন ভালো সাপোর্ট দিয়েছিলো।

তবে তার একার সেঞ্চুরি ছাড়াও বাকি কয়েকজন এর ৪০-৫০ রানের সাপোর্ট এর জন্য এই রানটা সম্ভব হয়েছিলো। তবে যাইহোক, ইন্ডিয়া ব্যাটিং করতে নেমে যাইস্বল এর শুরুটা ভালো ছিল না, যদিও বেশিক্ষণ ব্যাট করতে পারেনি। তবে এখানে রাহুল ভালো একটা ভূমিকা রেখেছিলো রুট এর মতো। করুনও ভালো খেয়েছিল এই ম্যাচে, কিন্তু এখানে গিল এর প্রয়োজন ছিল খুব। গিল এখানে যদি ৫০ টা রানও করে দিয়ে যেতো, তাহলে এক্সট্রা একটা লিড দেওয়ার সম্ভাবনাও থাকতো। পাশে এখানে ঋষভ পন্থ এবং জাডেজার দেড়শো রানের একটা ভালো পার্টনারশিপ ছিল।

তবে লিড না দিতে পারলেও রানটা লেভেলে নিয়ে এসেছিল। এটাও একটা ভালো দিক ছিল যে, দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো এক্সট্রা রান ছিল না। ফলে এই রানটা যদি ২৫০ রান থেকে ৩০০ করলেও চেজ করতে পারবে। কিন্তু পিচ যে এতটা জটিল হবে দ্বিতীয় ইনিংসে সেটা কেউই বুঝতে পারেনি। ইংল্যান্ড টেনেটুনে মোটে ১৯২ রানের টার্গেট দেয়। আমি তো ভেবেছিলাম ইন্ডিয়া এই রান হাফ বেলায় তুলে ফেলবে। কিন্তু প্রথম দিনের কয়েকটা ওভারেই ৪ উইকেট চলে গেলো। পরেরদিন এক জাডেজা ম্যাচটাকে সমতায় ফিরিয়ে এনেছিল। কিন্তু একজন এর বিপরীত প্রান্ত থেকে যদি সাপোর্ট না দেয়, তাহলে সেই রান টেনে নিয়ে যাওয়া মুশকিল।

তারপরেও রান কমিয়ে ২৫ রানে নিয়ে এসেছিল। সিরাজ যদিও একটু সাপোর্ট দিচ্ছিল, কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে যেকোনো বিপদ হতে পারে। সিরাজ এর আউটটাও ছিল অহেতুক, বল অনেক স্লো গিয়ে উইকেটে লাগলো। সিরাজ ওটাকে পা দিয়ে আটকাতে পারতো, কিন্তু এমনভাবে ঘটে গেলো, নিজেও বুঝতে পারেনি। জাডেজা যদি স্ট্রাইক নিয়ে থাকতো, তাহলে হয়তো নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই রান বের করে নিয়ে আসতে পারতো। তবে যাইহোক, অনেক চেষ্টা করেছিলো এই জটিল পরিস্থিতিতে। তবে ম্যাচ অনেক শ্বাসরুদ্ধকর হয়েছে। এইরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে হারলেও তাকে হার বলে না। সিস্টেম এর দিক থেকে হারলেও নিজেদের কাছে বা দর্শকদের হৃদয়ে জিতে গেছে। অনেক সময় এমন কিছু হার থাকে, যেটা হেরেও জিতে যায়। সামগ্রিক ভাবে যদি বলা হয়, তাহলে এটা এক নাটকীয় এবং উত্তেজনাপূর্ণ টেস্ট ছিল।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.