পয়েন্ট তালিকায় স্ট্রং অবস্থানে ভারত!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by AI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ইন্ডিয়া আর ওমান এর মধ্যে এশিয়া কাপ এর একটি ম্যাচ ছিল। খেলাটা তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, কারণ ভারত অলরেডি সুপার ৪ এ পৌঁছে গেছে আর ওমান এলিমিনেটেড হয়ে গেছে আগেই। ফলে এটা উভয় পক্ষের দিক থেকে হারলেও যা, জিতলেও তাই। গতকাল ম্যাচটি আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এই পিচে বরাবরই একটা বড়ো সুবিধা পেয়ে থাকে শেষের দিকে যারা ব্যাট করে থাকে। পিচ আসলে সব ক্ষেত্রেই মোটামুটি প্রথম দিকে ভালো থাকে, কিন্তু যত সময় হতে থাকে, তত পিচ স্লো ডাউন হয়ে যায়। তবে রান করা সম্ভব এক্ষেত্রে প্ল্যান অনুযায়ী খেললে।
তবে এই ম্যাচে ইন্ডিয়ার কোনো প্লানই ছিল না যা দেখলাম খেলার মাঝে। ইন্ডিয়া টস জিতে আগে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তবে এটা দেখে মনে করেছিলাম যে, এশিয়া কাপে এখনো বোর্ডে ২০০ রান কেউ করতে পারেনি, সেক্ষেত্রে একটা সুযোগ আছে এই ম্যাচে। ইন্ডিয়া ব্যাটিং শুরু তো ভালো করেছে, কিন্তু গিল এর আবার টি২০ ফরম্যাটে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে, কারণ এই কয়টা ম্যাচের একটাতেও রান তেমন পাইনি। এই ম্যাচে যে বোল্ড আউটটা হয়েছে, সেটা এমনিতেও অনেকটা ভেতরে লেন্থ ছিল। গিল টেনেছে স্টেট্ সোজা, কিন্তু পেচ বল সোজা অফ স্টাম্পে গিয়ে লাগে।
অভিষেক খেলছিল ভালো, এই ছেলেটার ফরম্যাট মোটামুটি ভালো আছে, টি২০ ফরম্যাটে আইপিএল থেকে টানা খেলে যাচ্ছে। অভিষেক এর আউট এর পরে স্যামসন খেলছিল বেশ, আর অনেক্ষন পর্যন্ত খেলেছে, ভালো একটা ভূমিকা নিভিয়েছে এখানে খেলার মাঝে। তবে হার্দিক এর আউটটা অনাকাঙ্খিত ছিল। ওইভাবে বলটা যে উইকেটে এসে লাগবে, বুঝতেও পারেনি। আসলে অনেক সময় স্টেট্ সোজা বল শর্ট খেললে বোলারের হাতে অনেকসময় লেগে উইকেটে লাগলে কিছুই বলার থাকে না। একদম ঠিক সেম পজিশনে অর্শদীপের আউটটা হয়েছে। তবে ইন্ডিয়া যে একদম গা ভাসিয়ে দিয়ে ব্যাটিং করেছে এখানে, সেটা খেলার ধরণ দেখে বোঝা যায়।
আর সূর্যকুমার তো ব্যাটিংই করিনি। তো তারপরেও ১৮৮ রানের বড়ো টার্গেট দিয়েছে আর এটা ওমান এর কাছে অসাধ্য একটা বিষয়, কারণ ওমান এর এখনো এইরকম রান চেজ করার মতো অভিজ্ঞতা হয়নি। কিন্তু ইন্ডিয়া যে ফিল্ডিং আর বোলিং করেছে, তাতে হাস্যকর একটা পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থাৎ একদম যদি বলা যায়, তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খেলেছে এই ম্যাচ, কোনো গুরুত্ব দেয়নি। নাহলে ওমান এর মতো টিমের উইকেট পড়ছে না। বলও সব মাঝ মাঠে ফেলে করেছে আর রিভিউ ইচ্ছামতো নিয়ে শেষ করেছে।
কিন্তু তারপরেও এই রান তুলতে পারবে না সেটা ওরাও জানতো আর আমাদের মতো সব দর্শকরাও জানতো। এতো ঢিলামি দিয়ে তাই দেড়শো পার করেছে তারা। কালীম আর মির্জা এই দুইজন যাই করুক তাদের যতটুকু ক্ষমতায় পেরেছে বা অভিজ্ঞতায় কুলিয়েছে, তাতেই অনেক বড়ো লড়াই করেছে। এতে ইন্ডিয়ার তেমন কিছু না হলেও ওমান এর কিন্তু এটা গর্ব হচ্ছে যে, ইন্ডিয়ার মতো বড়ো টিমের সাথে ভালো লড়াই সম্পন্ন খেলা খেলেছি।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


ওমান আর ভারত এর খেলা মানে হল বাঘের সাথে ছাগলের লড়াই বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে বাঘা বাঘা টিমরাও ইন্ডিয়ার সাথে লড়তে হিমশিম খায় সেখানে ওমানের 188 রান চেঞ্জ করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামা মানে এক অসাধ্য সাধনের চেষ্টা করা। তবে তারা ভালই খেলেছে এটা মানতে হবে। এরকম ভাবেই তাদের নতুন নতুন এক্সপেরিয়েন্স হবে আশা করি ভবিষ্যতে ভালো করবে। সেই সাথে টিম ইন্ডিয়ার জন্য শুভকামনা রইল। দারুন রিভিউ করেছেন দাদা।