চন্দ্রহাসি বাংলো ( পর্ব ২ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে "চন্দ্রহাসি বাংলো" গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করে নেবো। তো সুধীর মন্ডল যখন দারোয়ানকে এই বাংলোর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে, তখন বললো-এই বাংলোতে এখান থেকে বছর ২০ আগে এক মেমসাহেব থাকতো আর তার নাম ছিল চন্দ্রা। সেই মেমসাহেব খুব হাসিখুশির মধ্যে থাকতেন এবং দেখতেও খুব সুন্দর ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে এক রাতে কি যেন হয়ে গেলো-সেই হাসি আর শোনা যায় না। তারপর দারোয়ানের কথা যেন আটকে গেলো বলতে গিয়ে। তার চোখে মুখে যেন এক অদ্ভুত ভয়ের ছায়া ভেসে বেড়াচ্ছে। সুধীর মন্ডলের রাতের দিকে আর এই সব কথা সহ্য হচ্ছে না, একটা বিরক্তিবোধ কাজ করছে যেন তার মধ্যে।
শেষে সেখান থেকে উঠে চলে যায়, কারণ দারোয়ান এখন সেই আত্মা এইসবের গল্প জুড়ে দেবে। সুধীর রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে চলে যায়। এরপর সুধীর হঠাৎ করে একটা শব্দ শুনে জেগে যায়, কেউ যেন ফিসফিস করে তার কানে কিছু বলছে। কণ্ঠটা খুব মিষ্টি এবং তা একটি মেয়ের। বেশ কয়েকবার সুধীরের কানে ভেসে আসে-আমার ঘরে থেকো না। সুধীর এর মনে একটু ভয় কাজ করতে লাগলো,কারণ রাত তখন বেজে প্রায় আড়াইটা। আর পাহাড়ি এলাকায় একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আছে, ওই অবস্থায় সুধীর মন্ডল ঘেমে অবস্থা খারাপ। সে উঠে চারিদিক তাকাতে লাগে, কিন্তু সেখানে কেউই ছিল না। ওই অবস্থায় আবার জানালার কাঁচে একটা শব্দ হলো, যেন কেউ টোকা দিয়ে গেলো।
সুধীর জানলাটা আবার আস্তে আস্তে গিয়ে খুললো, কাঁচে কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে এবং তাতে আবার একটা চওড়া হাসি আঁকা। যেন "চন্দ্রহাসি"। সুধীর ভয়ে জানালার পাশ থেকে পিছিয়ে এলো আর মনে মনে ভাবছে যে, দারোয়ান যা বলছিলো, তাহলে কি!...পিছিয়ে এসে খাটে বসার পরে লক্ষ্য করে দরোজার নিচ দিয়ে হাওয়া ঢুকছে আর সমস্ত ঘরে একটা শীতলতা অনুভব হচ্ছে। সুধীর আবারো সাহস নিয়ে উঠে গিয়ে দরজাটা ভালো করে বন্ধ করতে গেলে হঠাৎ দরোজার ওপাশ থেকে কে যেন ধাক্কা দিয়ে দিলো। আবারো সেই মেয়েলি কণ্ঠে মিষ্টি কণ্ঠ ভেসে আসলো তার কানে-আমার ঘরে কে? সুধীর এরপর দরোজার হাতল শক্ত করে ধরে জিজ্ঞাসা করে - বাইরে কে?
কিসের ছায়া ছিল জানালার কাঁচে? কারণ সুধীরের মনে হতে লাগলো যে দরোজার ওপাশে কেউতো দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে। এইভাবে আধা ঘন্টার মতো কেটে গেলো, বাইরে থেকে কোনো শব্দ আসে না। সুধীর বাইরে দরজাটা এইবার আস্তে করে খোলে এবং শুধু ঠান্ডা হাওয়া, তাছাড়া আর কেউ ছিল না। সুধীর পরে ভাবলো, এটা হয়তো আমার মনের ভুল বা মনের ভেতরে উৎপন্ন হওয়া কোনো কল্পনা। তারপরেও যেন সুধীরের কানে শুধু সেই কণ্ঠটা বাজতে লাগে ( আমার ঘরে কে? ). রাতটা এইভাবে কেটে যাওয়ার পরে পরেরদিন সকালে দারোয়ানকে সব খুলে বলে এবং বাকি কথা দারোয়ানের মুখ থেকে শুনতে চায়। দারোয়ান তখন বললো.....
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.