ফাইনালে এক বিধ্বংসী ব্যাটিং!

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

दक्षिण अफ़्रीका की विजय उत्सव.png

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনাল খেলা ছিল, যেখানে পাকিস্তান না খেলে ফাইনালে উঠেছিল আর সাউথ আফ্রিকা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ফাইনালে উঠেছিল। ফাইনাল ম্যাচটাও খারাপ হয়নি, বেশ ভালোই হয়েছে জমজমাট। তো ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তান টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তবে এই পিচে যদি পরে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিতো, মনে হয় কেস উল্টো হতো। কারণ ব্যাটিং পিচে সবসময় চেজ এর ক্ষেত্রে চান্স বেশি থাকে। পাকিস্তানের আগের সেই পুরোনো বেশ কিছু খতরনাক ব্যাটার আছে,যা এখনো ব্যাটে সেই হুঙ্কার ছাড়ে। তবে পাকিস্তান আগে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালোই খেলেছিল।

তাদের ওপেনার সার্জিল শুরুটা বেশ ভালো করেছিল। তবে প্রথম দিকে রান রেট একটু কম ছিল তুলনামূলক, কারণ তার সাথে জোট বাধার তেমন কেউ হয়নি। কামরান এসেই আউট হয়ে যায় আর তারপর হাফিজও খুব দ্রুত আউট হয়ে যায়। এদের হাফিজ কিন্তু এক বিপদজনক ব্যাটসম্যান, শুধু ব্যাটসম্যান বললে ভুল হবে, কারণ সে একজন পাক্কা অলরাউন্ডার। একবার সেট হয়ে গেলে আউট করা মুশকিল হয়ে যায় এদের। আসলে এইসব প্লেয়ার একসময় পাকিস্তান টিমে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মহলে বেশ নামকরা ছিল, আর তাদের খেলার ফরম্যাটও ছিল এখনকার টিমের থেকে অন্যরকম, একটা মজবুত টিম ছিল। তো যাইহোক, মাঝখান দিয়ে পরপর আউট হয়ে গেলেও সার্জিল একার দমে রানের ধারাবাহিকতা কিছুটা হলেও ধরে রেখেছিলো।

একেবারে রান রেট পড়ে যেতে দেয়নি। মোটামুটি ভালো ভালো ব্যাটারের ক্ষেত্রে, যেমন- মালিক, হাফিজ এরা কোনো রান তৈরি করতে পারেনি, ইভেন কেউই তেমন রান করতে পারেনি। লাস্টের দিকে ৩-৪ জন মিলে ৭০-৮০ রানের একটা গড় রান তৈরি করে আর বাকি একা সার্জিলের ৭৬ রানের অনুপাতে টোটাল ১৯৫ রানের একটা বড়ো টার্গেট দিতে সক্ষম হয়। তবে এই পিচে এই রানও অনেক সময় ফিকে পড়ে যায়। তবে এই রান আটকানো যায় সেইরকম কড়া ফিল্ডিং আর বোলিং এর জোরে। তবে সত্যি বলতে সাউথ আফ্রিকা এই রান ছেলেখেলার মতো তুলেছে। হাসিম আমলা তো এসেই কয়েকটা রান করে আউট হয়ে যায়। কিন্তু এর পরে আর কোনো উইকেট পড়তে দেয়নি। এক ডি ভিলার্স তাদের সাথে যেন বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছে।

আমি গত পোস্টে বলেছিলাম যে, এই ডি ভিলার্স আর ডুমিনি যদি ব্যাট হাতে একবার সেট হয়, তাহলে সেটা একটা বিধ্বংসী খেলায় পরিণত হয় বিপক্ষ বোলারদের পক্ষে। ডি ভিলার্স এই ম্যাচে যে ব্যাটিং করেছে, তাতে পাকিস্তান বোলারদের কাঁদিয়ে ছেড়েছে এক পর্যায়ে। ডুমিনি বেশি একটা বল খেলিনি, সব একাই ডি ভিলার্স খেলে গেছে। রান উঠেছে ঝড়ের গতিতে, ব্যাটিং দেখে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো যেন, এই রান ১০ ওভারে ফিনিশ হয়ে যাবে। এই গতি দেখে মনে হবে যেন যদি আড়াইশো রানও টার্গেটে থাকতো, তাও চেজ হয়ে যেত।

এই রান আসলে চুটকিতে তুলে ফেলেছে, ডি ভিলার্স তো খেলেছেই, আর সাথে ডুমিনি যতটুকু বল খেলতে পেরেছে, তাতেই ঝড় তুলে দিয়েছে। দুইজনের এই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৭ ওভারে ১৯৫ রান চেজ। ডি ভিলার্স ১২০ রান করে অপরাজিত আর সাথে ডুমিনিও ৫০ করে অপরাজিত থেকে যায়। ফাইনাল ম্যাচ যেন একদম ফাইনালের মতোই হয়েছে, ব্যাটিং দেখে জাস্ট মজা এসে গেছে। আমার গতকালকের প্রেডিকশন তাহলে খেটে গেলো, অবশেষে সাউথ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স হয়ে গেলো।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Wow, @winkles, what a fantastic and engaging sports analysis! I love how you broke down the World Champions League final, especially highlighting the contrasting batting strategies and that nail-biting chase by South Africa. De Villiers' explosive performance sounds like it was truly something to witness!

The way you weave in the context of past performances and player dynamics is excellent, giving readers a real feel for the game's atmosphere. Plus, your prediction coming true just adds to the excitement! 😉

For those who love cricket and want a vibrant recap of a thrilling match, be sure to check out @winkles' post! What were your thoughts on the game, everyone? Did De Villiers' innings impress you as much as it did @winkles? Let's discuss!