গল্প:- আজব প্রেম। (প্রথম পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আজব প্রেম এর কাহিনী। আমার শ্বশুর বাড়িতে আমার রিস্তা ভাসুরের ছেলের প্রেমের কাহিনী শেয়ার করবো। ছেলেটির নাম হচ্ছে নিরব। ছেলেটির বর্তমান বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছর হবে। আর নীরব বর্তমানে পড়ালেখা করা অবস্থায় আছে। যদিও নিরব ঠিকমতো পড়ালেখা করে না এবং স্কুলে যেতে চাই না। তবে পরিবারের বড় ছেলে বিদায় তার মা সব সময় তার কথাকে প্রাধান্য দেয়। আর নীরব সুন্দর এবং লম্বা যে কোন কেউ দেখলে তাকে মায়া করবে এবং ভালবাসবে। এবং নিরব খুব শান্ত সৃষ্ট একটি ছেলে। দরকার ছাড়া কারো সাথে তেমন কথা বলে না সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে।
আর মনে হয় মোবাইল তার জীবনের সব। অনেক সময় দেখা যায় নীরবের মা তাকে পরিবারের বাজার করার জন্য বলে। তবে এক কথায় বলে দেই সেই বাজার করতে পারবে না। তার হাতে সময় নেই সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে থাকে। নিরব বর্তমানে দশম শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। কিছু মাস আগে হঠাৎ করে নীরব এসে তার মাকে বলল সে বিয়ে করবে। এবং তার পছন্দের মেয়ে আছে। তার মা শুনে অবাক হয়ে গেল। বলতে লাগলো তোমার বয়স হয় নাই এখনো তুমি পড়ালেখা কর। তুমি বড় হয়ে চাকরি করো তারপর তোমাকে দেখে শুনে বিয়ে করাবো। নিরব কোন কথাই শুনতে চাই না। সেই তার ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করবে। কারণ ভালোবাসার মানুষ ছাড়া সে বাঁচবে না।
তবে নিরবের মা এই কথা তার বাবাকে বলে নাই। তারপর নীরবের মা তার থেকে মেয়ের ঠিকানা জানতে চাইলো। দেখে মেয়েটি তার ক্লাসমেট। এবং নিরবদের এলাকায় মেয়েদের বাড়ি। মূলত মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এবং মেয়েটির আপন ফুফাতো ভাইয়ের কাছে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হচ্ছে। এই কারণে নীরব এই বয়সে বিয়ে করার জন্য বলতে লাগলো। এরপর নীরবের মা একদিন সকালবেলা মেয়েদের বাড়িতে গেলেন। ওই সময় নীরব এবং তার বোন ঘুমিয়ে ছিল। এবং নিরব দের বাড়ি থেকে মেয়েদের বাড়িতে যেতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। এবং মেয়েটির মায়ের সাথে দেখা করলেন।
আর মেয়েটির মায়ের সাথে নিরবের মা সুন্দর করে কথা বলেন। তখন বলতে লাগল ছেলের বয়স কম এবং পড়ালেখা করবে। এবং আমার ছেলে আপনার মেয়েকে পছন্দ করে। এই কারণে সে আমাদের পরিবারের মধ্যে এরকম অশান্তি করতে লাগলো নিরব। এবং নিরবের বাবা তাকে এখন বিয়ে করাবে না। এই কথা যদি আমি বলি হাজব্যান্ডকে তখন আমার নিজের জন্য বিপদ আছে। আর মেয়েটির মা নিরবের মাকে বললেন আমরা আমাদের ভাগিনার কাছে মেয়ে বিয়ে দেবো। আমরা অন্য কোন জায়গাতে আমাদের মেয়েকে বিয়ে দেবো না। আমার মেয়ে যদি আপনার ছেলের সাথে প্রেম করে থাকে হয়তো আবেগের বয়সে করেছে। আমরা ছোটকাল থেকে তাকে তার ফুফাতো ভাইয়ের কাছে বিয়ে দেব ঠিক করে রেখেছি।
আর এই কারণে আমরা ভাগিনাকে লেখাপড়া করালাম। এবং আমার ভাগিনা পড়ালেখা শেষ করে ভালোই অবস্থায় আছে। এবং মেয়েটির মা আরো বলতে লাগলো আপনার ছেলেকে সাবধান করে দেবেন। কারণ এই কথা যদি আমার হাজব্যান্ড এবং আমার ভাগিনা জানে তাহলে আপনার ছেলের জন্য সমস্যা হবে। তারপর নীরবের মা মেয়েটির সাথেও কথা বললেন। এবং বলতে লাগলো তোমার ফুফাতো ভাই যখন তোমাকে বিয়ে করবে। তাহলে তুমি নীরব এর সাথে সম্পর্ক রাখো না। আমার পরিবারের মধ্যে অশান্তি করো না। তারপর মেয়েকে বুঝিয়ে নিরবের মা ঠিক করেছে যেন সম্পর্ক না রাখে। এদিকে মেয়েটির মা গরম ভাষায় বললেন ছেলেটির সাথে যোগাযোগ যেন না রাখে। যাইহোক আজ এই পর্যন্ত পরবর্তীতে পরে পর্ব নিয়ে হাজির হব। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।(চলবে)
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1957810368409198793?t=o9UpyxOMZt78E_nqbixOfQ&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1957810940398977110?t=XXrdC-yqt28f9rKoIHPZ9g&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1957812199457452173?t=Dy0O8Yxroe8YyMd_vX4PdQ&s=19
আসলে সব মায়েরা চাই তার ছেলে মেয়ে যেন ভাল হয়ে চলে। আর নীরব হয়তো অল্প বয়সে প্রেম করেছে। এই কারণে ভালো-মন্দ বুঝতে পারছে না তার জীবনে। আর এই জন্য তার মা মেয়েটির কাছে গেলেন ছেলের এবং পরিবারের ভালোর জন্য। আবার প্রেম করলে মেয়েরাও বুঝতে হবে ছেলেদের কি অবস্থা। যাইহোক আপনার পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।