গল্প :- অতিরিক্ত রাগ ভালো না।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


scream-4566110_1280.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট করব। অতিরিক্ত রাগ ভালো না। কিছু কিছু মানুষ আছে তাদের কিন্তু অতিরিক্ত রাগ আছে। বর্তমান সময়ে যুব সমাজের ছেলে মেয়েদের রাগ একটু বেশি। কারণ তারা অল্পতে রেগে যায় এবং রাগ করে অনেক বড় ক্ষতি করার চেষ্টা করে। সেরকম একটি মেয়ের জীবন কাহিনী আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করব। আমাদের প্রতিবেশী একটি মেয়ে ছিল তার অতিরিক্ত রাখছিল। অল্পতে সেই অনেক রাগ করতেন এবং রাগ করে পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা করতেন। মেয়েটির নাম হচ্ছে সুমি। সুমি যখন দশম শ্রেণীতে পড়ালেখা করে তখন ক্লাসের একটি ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়।

যদিও সুমি পরিবারের বড় মেয়ে তার একটি ছোট ভাই ও একটি ছোট বোন আছে। বাবা বিদেশ থাকে বিদায় মেয়েটিকে মা এবং পরিবারের সবাই অনেক আদর করে। যদিও সুমির চাচা এবং পরিবারের সবাই আলাদা আলাদা। এদিকে সুমিরা নতুন বাড়িতে থাকে। তার বাবা বিদেশ থাকে বিদায় তারা নতুন বাড়ি করেছে খুব সুন্দর করে। যদিও ওই সময় সুমি ছোট ছিল। যখন সুমি দশম শ্রেণীতে পড়ে তখন সুমির বাবা দেশে আসতে লাগলো। এবং তার পরিচিত এক বন্ধুর ছেলের সাথে সুমিকে বিয়ে দেবে কথাবার্তা ঠিক করেছে তার বাবা বিদেশে। এদিকে সুমির মা বলতে লাগলো দেশে আসলে তার বাবা তাকে বিয়ে দিবে। আর এ কথা শুনে সুমি অনেক বকাঝকা করলো মায়ের সাথে।

এবং সুমির মা মেয়েকে ডাক দিলেন এবং আজেবাজে কথা বলার জন্য মানা করলেন। কারণ তোমার বাবা বিদেশ থেকে আসলে তার পছন্দের ছেলের কাছে তোমাকে বিয়ে দেবে। আর আমি নিজেও চাই তার পছন্দের ছেলের সাথে তোমার বিয়ে দেওয়া হোক। এবং ওই সময় সুমি বলেছে তার পছন্দের ছেলে আছে। যদিও সুমি যে ছেলেকে পছন্দ করে ওই ছেলেটি এখনো ছোট দশম শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। আর সুমির মা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে ছেলেটি এখনো বিয়ে করার বয়স হয়নি। আর ওই ছেলের মা বাবা কখনো তার ছেলেকে এই বয়সে বিয়ে করাবে না। আর এদিকে সুমি বলেছে ও ছেলের কাছে বিয়ে বসবে। কারণ ওই ছেলে ছাড়া সে আর কোন ছেলের কাছে বিয়ে বসবে না।

এই কথা শোনার পর সুমি মা অনেক ভেঙে পড়েছে। কারণ সুমির বাবা অনেক রাগী মানুষ সে একবার যদি কিছু বলে ওই কথা সেই চেঞ্জ করে না। এর কিছুদিন যাওয়ার পর সুমি আবারো বলতে লাগলো সে তার ভালোবাসার মানুষের কাছে বিয়ে বসবে। এদিকে সুমির বাবা দুইদিন পর দেশে আসবে বিদেশ থেকে। আর সুমি উল্টাপাল্টা কথা বলার কারণে তার মা তাকে মারধর করল। এতে করে শুনে অনেক গরম হয়ে গেল। কেন তার মা তার গায়ে হাত তুললেন। তবে ছেলে মেয়ে যতই বড় হোক না কেন মা বাবার কাছে সব সময় ছোট থাকে। তবে সুমি একটি মানতে পারল না কারণ তার মা তাকে মারধর করার সাথে সাথে আরো খারাপ কথা বলেছে।

এরপর সুমি বলতে লাগলো এই জীবন সে আর রাখবে না। হয়তোবা মাথা গরম হয়েছে এই কারণে কথা বলেছে। তবে হঠাৎ করে সকালবেলা যখন ঘুম থেকে উঠলো সবাই তখন একজন লোক দেখতে লাগলো সুমি আত্মহত্যা করেছে। গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থা সুমিকে পাওয়া গেল। এদিকে সুমির মা এবং পরিবারের কেউ জানতো না কখন সুমি গিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সত্যি সুমির আত্মহত্যার কারণে তার মা-বাবা দুজন প্রায় পাগলের মত হয়ে গেল। এদিকে সুমির বাবা যখন দেশে আসলো মেয়ের জন্য সবকিছু নিয়ে আসলে বিয়ে দেওয়ার জন্য। এবং মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে লোকটি একদম পাগলের মত হয়ে গেলেন। আর সুমি জিদ করে তার জীবনটাই নষ্ট করলেন। এই কারণে অতিরিক্ত রাগ ভালো না। নিজের কারণে নিজের জীবন শেষ এবং পরিবারকে কষ্ট দিল। এই হচ্ছে বাস্তব একটি ঘটনা।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

Screenshot_2025-05-25-22-19-29-232_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-05-25-22-17-52-812_com.twitter.android.jpg

 2 months ago 

আসলে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। অতিরিক্ত রাগ থাকলেও নিজের জন্য বিপদ। যেমন অতিরিক্ত রাগের কারণে সুমি নিজের জীবন দিয়ে দিল আত্মহত্যা করে। আর যতদিন পর্যন্ত মা-বাবা বেঁচে থাকবে মেয়ের জন্য আফসোস করবে। তবে আপনার গল্পটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো।