গল্প :- প্রেমে চিনে না জাত।

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব প্রেমে চিনে না যাক গল্প। যদিও এই গল্পটি আমি আমার শাশুড়ির মুখ থেকে শুনেছি। আমার শ্বশুর বাড়ির পাশে মধ্যে একটি বাড়ির ছেলে-মেয়ে দুইজন প্রেম করে বিয়ে করেছেন। আর ছেলে এবং মেয়ে দুইজন ফ্যামিলি গত ভাবে অনেক দূরত্ব । দূরত্ব বলতে ছেলেদের অবস্থা খুব ভালো আর মেয়েদের পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ। ছেলের বাবা বিদেশ থাকে এবং তাদের টাকা-পয়সা অনেক। আর মেয়ের বাবা দেশে গাড়ি চালাই। এই কারণে ফ্যামিলি গত দূরত্ব বেশি। একটি কথা আছে প্রেম কখনো জাত এবং বন্য এবং ধর্ম এগুলো মানে না। আর সেরকমই ঘটনা হলো এই দুইটি লোকের প্রেমের কাহিনী।

ছেলেটার নাম হতে নীরব আর মেয়েটির নাম হচ্ছে অহনা। অহনার বাবা নীরবদের কাজও করে। আর অহনা দেখতে কিন্তু খুব সুন্দর। তবে নিরব অহনাকে এমনিতে অনেক বেশি ভালোবাসে। যখন কিছুদিন আগে তাদের বিয়ের কথা জানাজানি হল। তখন তাদের বিয়ে নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলতে লাগলো। কেউ বলতে লাগলো অহনা নিরবকে হাত করে বিয়ে করেছে টাকা পয়সার জন্য। আবার অনেকে বলতে লাগলো নিরব নিজের ভালোবাসা দিয়ে অহনাকে বিয়ে করেছেন। আবার অনেক মহিলা বাড়িতে আছে তারা এ নিয়ে মজা করে কথা বলে। তবে আমার শাশুড়ি ঐদিন বলতে লাগলো প্রেমে চিনে না জাত।

তখন আমার শাশুড়ি আরো সুন্দর করে বলতে লাগলো ঘুমে কখনো চিনে না ভাঙ্গা খাট। আর ফেটে চিনে না পান্তা ভাত। কারণ যখন ক্ষুধা লাগে তখন গরম ভাত নাকি পান্তা ভাত সেটাই খেয়াল করে না। আর প্রেমে চিনে না জাত। তখন আমার শাশুড়ি যখন বলল প্রেম চিনে না জাত। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম প্রেমে কিভাবে জাত চিনে না। তখন আমার শাশুড়ি বলতে লাগলো যখন প্রেম করে তখন রিস্তা কি হয়। এবং দুই পরিবারের মধ্যে পার্থক্য আছে তাও খেয়াল করে না। এবং বংশগত দীর্ঘ খেয়াল করে না। শুধু ভালোবাসার মানুষের রুপ দেখে প্রেম করে। আর ওই সময় ভালোবাসার মানুষের মুখটাই বড়।

যেমনটি এই দুটি ছেলে-মেয়ে করেছে। কারণ নীরব আর অহনা চিন্তা করে নাই তাদের জাত এবং পরিবারের তফাৎ। তারা প্রেম করেছে এবং বিয়ে করেছে সুখে থাকার জন্য। আর প্রিয় মানুষ জীবনে পাওয়া সেটাও কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার। তবে নীরব এবং অহনা কতটুকু সুখি হতে পারে সেটাও কিন্তু দেখার বিষয়। কারণ নীরব এর ফ্যামিলি অহনাকে কখনো মেনে নেবে না। বাড়ির আরো মহিলা গুলো বলতে লাগলো নিরবের মা-বাবা খুব জেদি। কারণ তারা সহজে অহনার ভালোবাসা মানবে না। এই কারণে প্রেমে জাত চিনে না। তবে কথাগুলো শুনে সত্যিই আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। আর প্রতিটি কথার মধ্যে টপিক আছে।

কারণ ঘুমে চিনে না ভাঙ্গা খাট। কারণ যখন ঘুম আসে তখন কোথায় ঘুমাবে সেটাই খেয়াল করেনা। জলদি করে ঘুমানোর জন্য চেষ্টা করে। আর পেটে কিন্তু গরম ভাত নাকি পান্তা ভাত সেটা খেয়াল করে না। যে মানুষগুলো ক্ষুধার্ত তারা ক্ষুধা মিটানোর জন্য খাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। আর প্রেম তো কখনো জাত চিনে না। তবে বয়স্ক মহিলাদের সাথে বসলে মজার মজার কথাগুলো শোনা যায়। আর তাদের কথা গুলোর মধ্যে সুন্দর টপিক আছে। আর ঐদিন আমার শাশুড়ি ও বাড়ির লোকদের সাথে বসে কথাগুলো শুনে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। সত্যি প্রেমে চিনে না জাত। আমার কাছে কথাটি বাস্তব মনে হল। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ধন্যবাদ সবাইকে

_{Posted using SteemPro}