গল্প :- রাগ অভিমান ভালো না। (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


strength-1148029_1280.jpg

এর আগেও আমি আপনাদের মাঝে প্রথম পর্বে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবারো দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম।এদিকে সুইটির বাবা ওই ছেলের কাছে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি আছে। এবং ইউরোপের ছেলেটি সুইটিকে দেখার পর তাকে পছন্দ করলেন। ওই সময় সজিব অনেক চেষ্টা করেছে সুইটিকে ওই বিয়েতে রাজি না হওয়ার জন্য। ওই সময় সুইটি বলেছে তার মা-বাবা তাকে যেখানে বিয়ে দিবে সে সেখানে বিয়ে করবে। কারণ সে তার মা-বাবার মুখের উপর কোন কথাই বলতে পারবে না। এদিকে আকাশের মা ও তার বাবার মুখের উপর কোন কথা বলতে পারবে না। আর আকাশ নিজেও ইউরোপে থাকে সেই কারণে ওই ছেলের কাছে বিয়ে দিতে রাজি আছে। ওই সময় আকাশের মা সজীব কে বলেছে তাদের বাড়িতে না যেতে।

আর এ কথা সজিবের কাছে ভালো লাগলো না। একথা শুনে সজীবের মন একদম খারাপ হয়ে গেল। তখন সজীব আকাশদের বাড়িতে একদিন বলেছে আমি কি হয় আপনাদের চিনেন না। তখন আকাশের মা বলেছে সজীব নামে একটি ছেলে আমাদের ঘরের কাজের ছেলে আছে। এই কথা শোনার পর সজিবের মন আরো খারাপ হয়ে গেল। তখন সজীব আকাশদের ঘরের মূল্যবান কিছু জিনিসপত্র ভেঙ্গে ফেলেছে। এরপর আকাশের মা-বাবা সজীবকে তাদের ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখে তার মা-বাবাকে খবর দিল। এরপর তার মা-বাবা এলাকার লোক গুলো গিয়ে সজীবকে নিয়ে আসলো। এবং মা-বাবা ও অন্যান্য লোকগুলো সজীবকে বাজে কথা বললেন।

এইদিকে আকাশের বোনের ওই ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। তখন সজিব একদম পাগলের মত হয়ে গেলেন। চেষ্টা করেছেন সজীব সুইটির সাথে কথা বলে তারা কোথাও গিয়ে চুরি করে বিয়ে করবেন। আকাশের মা-বাবা অপমান করার পরও সজীব তেমন কিছুই মনে করলেন না। এরপর যখন সুইটি সজীবকে আজে বাজে কথা বলে অপমান করলে তখন সজীব ভেঙে পড়েছেন। ওই সময় সুইটি আরো বলেছে তোমার মত ছেলের মুখ দেখাও ভালো না। এই কথা শুনে সজীবের একদম ভেঙে পড়েছে। এবং যেইদিন সুইটির গায়ে হলুদ ছিল। সেদিন সজীব এক বুক কষ্ট নিয়ে বিষ পান করেছেন। এবং বিষ পান করে ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়েছিলেন। পরিবারের লোকগুলো দরজা খুলতে খুলতে শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে গেল।

তাড়াহুড়া করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। আর আমার শ্বশুর এলাকা থেকে হাসপাতাল অনেক দূরে। হাসপাতালে যাওয়ার পথে সজীব মারা গেলেন। আর সজীব মারা যাওয়ার খবর শুনে আকাশের মা বাবা বোন সবাই কোথায় যেন পালিয়ে গেলেন। এদিকে থানার পুলিশ আসলো আকাশের পরিবারকে আর পেলেন না। আর সজীবকে হাসপাতালে নিয়ে টেস্ট করে পরীক্ষা করল সেই বিষ পান করে মারা গেল। তারপর সজীব কে বাড়িতে এনে দাফন করেছেন। এদিকে সজীব রাগ অভিমান করে নিজের জীবন নষ্ট করে ফেলেছে। আর সজীবের মা-বাবা তাদের সন্তান হারিয়েছেন। হয়তো আকাশের মা-বাবা কিছুদিন একটু চিন্তিত ছিল। তাদের আর কোন ক্ষতি হলো না।

তারা তাদের মেয়েকে ওই ছেলের কাছে বিয়ে দিয়ে দিলেন। আর তাদের একটু ভুলের কারণে সজিবের মত ছেলের জীবন এই পৃথিবী থেকে চলে গেল। সজীবকে সুন্দর করে কথা বলে বুঝাতে পারতো। আজেবাজে কথা বলে ছেলেটির মন খারাপ করে দিলেন। আর পরিবার এবং সুইটির পরিবারের কারনে আজ সজীব রাগ অভিমান করে বিষ পান করে তার জীবন দিয়ে দিল। আর সজীবের মা-বাবা যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন ছেলের কথা বলে আফসোস করবে। কারণ মায়ের কাছে ছেলেমেয়েগুলো সব সময় আদরে থাকে। সজীব পড়ালেখা এবং আচার ব্যবহার খুব ভাল ছিল। আর সামান্য ভুলের কারণে তার জীবন নষ্ট হয়ে গেল। এবং সজীব রাগ অভিমান করে বিষ পান করে তার জীবনটাই শেষ করে দিল। এই হচ্ছে বাস্তবাতি ঘটনা।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 3 months ago 

Screenshot_2025-04-25-20-05-40-425_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-04-25-20-02-11-595_com.android.chrome.jpg

 3 months ago 

আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। তবে আজকের পর্বটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো। আসলে সজীব তার ভালোবাসার মানুষের কারণে তার জীবনটি দিয়ে দিলেন। তবে এরকম যারা ভালোবাসার মূল্য দিতে পারে না এদের কারণে অনেক ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। আর আকাশের মায়ের কথাগুলো সজীব বেশি কষ্ট পেয়েছে। যাই হোক শেষ পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।