গল্প:- অতিরিক্ত আবেগ নিজের জন্য বিপদ। (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


smiley-2979107_1280.jpg

এর আগে আপনাদের মাঝে প্রথম পরব শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবারো দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। ওই সময় সেলিম মিয়ার বাবা বলল রাজি না থাকলে ওই সময় তুমি বলতে। আর তুমি নিজেও রাজি ছিলে তোমার খালাতো বোন বিয়ে করার জন্য। এদিকে সেলিম মিয়ার বাবা এবং তার প্রথম ওয়াইফের শ্বশুর তাকে মন থেকে বদদোয়া দিয়েছেন। এবং সেলিম মিয়ার বাবা ও বলেছে কখনো তুমি দ্বিতীয় ওয়াইফকে নিয়ে সুখী হবে না। কারণ তুমি আমাকে সবার সামনে ছোট করেছ। তবে এইখানে সেলিম মিয়ার প্রথম ওয়াইফের কোন দোষ ছিল না। এরপর সেলিম মিয়ার বাবা মা তার প্রথম ওয়াইফকে বিদায় দিলেন এবং বলেছে তুমি জীবনে সুখী হবে। তারপর সেলিম মিয়া তার দ্বিতীয় ওয়াইফ কে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতে লাগলো। আর সেলিম মিয়ার প্রথম ওয়াইফ তার ছেলেকে নিয়ে চলে গেলেন।

তারপর কিছু বছর পর ছেলে মেয়ের ওয়াইফের অন্য জায়গায় বিয়ে হল। আর ছেলেটি নানা নারীর কাছে বড় হচ্ছে। বর্তমানে সেলিম মিয়ার তিনটি ছেলে দুটো মেয়ে দ্বিতীয় সংসার হয়েছে। আর প্রথম ওয়াইফ অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছে তার ছেলেগুলো পড়ালেখা করে ভালো অবস্থা গেল। এদিকে সেলিম মিয়ার ছেলে তিনটি বড় হয়েছে এবং সবগুলো খারাপ। এরা সন্ত্রাসী করে এবং কথায় কথায় মানুষের সাথে ঝগড়া করে। এদিকে সেলিম মিয়ার কিছু বললে সাথে সাথে তার গায়ে হাত তুলে। এবং বাবাকে তারা সম্মান করে না টাকা-পয়সা দেয় না। আর এদিকে সেলিম মিয়া দ্বিতীয় ওয়াইফ যখন ছেলেদের সাথে ঝগড়া করে তখন তার বাবাকে মারার জন্য বলে।

এবং সেলিম মিয়াকে সব সময় খারাপ কথা বলে কথা বলে তার দ্বিতীয় ওয়াইফ। বর্তমানে ঠিকমত খাওয়া দাওয়া সেলিম মিয়াকে দেয় না। আর সেলিম মিয়া এই কষ্টের কথা কাউকে বলে না। কারণ তার এই পরিস্থিতির কারণে সে নিজেই দায়ী। কারণ আবেগ দিয়ে সে তার দ্বিতীয় ওয়াইফকে বিয়ে করেছে। আর দ্বিতীয় ওয়াইফ সত্যি বলতে মাথা অনেক গরম কথায় কথায় খারাপ ব্যবহার করে। অনেকে বলে তার প্রথম ওয়াইফ এবং তার মা-বাবার অভিশাপের কারণে আজ সেলিম মিয়ার এই অবস্থা। যদিও এখনো সবগুলো মানুষ জীবিত আছে। তবে কিছুদিন আগে সেলিম মিয়া তার বড় ছেলেকে কি বলার কারনে সে তার বাবার গায়ে হাত তুলেছে।

ওই সময় সেলিম মিয়ার ওয়াইফ বারবার বলতে লাগলো তাকে মেরে বাড়ি থেকে বাহির করে দেওয়ার জন্য। সত্যি বলতে সেলিম মিয়া তার দ্বিতীয় ওয়াইফের কারণে তার মা-বাবা এবং প্রথম ওয়াইফের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করেছে। আর তার দ্বিতীয় সে ওয়াইফ বলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য। এদিকে এখন অনেকে বলে তার মা বাবা বলেছে সে জীবনে কখনো সুখী হবে না। কারণ মা-বাবা পছন্দ করে সেলিম মিয়াকে তার প্রথম ওয়াইফকে বিয়ে করালেন। হয়তোবা তাদের মনে অনেক কষ্ট গেল এই কারণে তারা তার ছেলেকে অভিশাপ দিয়েছেন। তাদের এই কষ্টের কথা ওই সময় তারা মুখ দিয়ে বলেছেন। তুমি কখনো সুখী হবে না কারণ তুমি আমাদেরকে ছোট করেছো মানুষের কাছে এই কথা সেলিম মিয়ার বাবা বলল।

আর বর্তমানে সেলিম মিয়ার প্রথম ওয়াইফ আমি যতটুকু জানি অনেক সুখে আছে। আর এদিকে সেলিম মিয়ার জীবনের সুখ নেই বললেই চলে। আর বর্তমানে সেলিম মিয়া নিজেও তার ভুলের কথা সবাইকে বলে। সত্যি আমি আবেগের কারণে জীবনে এত বড় ভুল করেছি। আমি শহরে যাওয়ার পর দেখলাম মেয়েটির পরিবারের করুণ অবস্থা এই কারণে তাকে বিয়ে করলাম। আর বর্তমানে আমি তার কাছে দামে পাই না এই কথা সেলিম মিয়া বলল অনেকের কাছে। এবং বলে আমার জীবনে প্রথম ওয়াইফ খুব ভালো ছিল। এবং সে আমাকে অনেক ইজ্জত করতেন এবং আমার কথার বাইরে যেতেন না। আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবেগ এবং ভালোবাসা দিয়ে চলে না। হয়তোবা ওই সময় সেলিম মিয়া যদি প্রথম বিয়ে না করতেন তাহলে ব্যাপারটা ভিন্ন রকম থাকতো। আর এখন তার কষ্টগুলো দেখলে অনেকে হাসাহাসি করে। আশা করি আমার বাস্তব জীবনের গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 2 months ago 

Screenshot_2025-05-20-21-49-17-612_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-05-20-21-48-08-109_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-05-20-21-46-14-358_com.twitter.android.jpg

 2 months ago 

আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। আজকের পর্বটি পড়ে সেলিম মিয়ার খারাপ লাগলো। আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজের ভুলের কারণে নিজে জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে কষ্ট করা লাগে। আর সেলিম মিয়া সেরকম ভুল করেছে তার জীবনে। যাহোক গল্পের শেষ পর্ব খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।