তবুও মনে পড়ে ( প্রথম পর্ব )!!

in আমার বাংলা ব্লগ10 days ago (edited)


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ সোমবার, ৪ ঠা আগষ্ট ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000584668.png

source


যদিও তেমনটা করার কোন ইচ্ছা আমার কোনদিনই ছিল না। কিন্তু পরিবারের চাপে পড়ে আমাকে করতে হয়েছিল। না চাইতেও ফিরিয়ে দিতে হয়েছিল অদিতি কে। যদিও এতে ওর কোন অভিযোগ আমার উপরে কোনদিনই ছিল না। যেদিন আমি ওকে বলি আমাদের যোগাযোগ বন্ধ করা লাগবে সেদিন ও সেটা স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিয়েছিল। ও হয়তো জানতো এমনটা তো হওয়ারই ছিল। অদিতি প্রতিবাদ করতে পারতো যদি ও নিজে থেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ হতো। কিন্তু ও সেটা ছিল না। অরিএ কে ছেড়ে তো প্রথমে অদিতি গিয়েছিল। অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিল। কিন্তু যখন বুঝতে পারলো সে ভুল করেছে। তখন ফিরে এসেছিল। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।

সবকিছুর পরে একবছর পরে যখন অদিতি আবার অরিএের সাথে যোগাযোগ করে অরিএ সেটা স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছিল। অরিএ ওর ভালোবাসা কে কোনদিনই ফিরিয়ে দিতে পারেনি। অদিতির উপর সবসময়ই গভীর এক মায়া কাজ করতো। অদিতি ফিরে আসার পর সবকিছু মেনে নিয়ে অদিতি কে বিয়ের কথাটা প্রথমে অরিএ নিজেই বলেছিল। অরিএের থেকে এমন কথা শুনে প্রথমে সেটা স্বপ্নের মতো মনে হয়েছিল অদিতির কাছে। সবকিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু হঠাৎ এরমধ্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় অরিএের পরিবার। তারা কখনোই চাইতো না ঐ একই ভুল অরিএ দ্বিতীয়বার করুক। তার পরিবারের ভয় ছিল যে মেয়ে একবার ধোঁকা দিতে পারে সে দ্বিতীয়বারও দিতে পারে। তাকে কোন দিন ভরসা করা যায় না।

অনেক চেষ্টা করেও অরিএ তার পরিবারকে বোঝাতে পারেনি। অরিএ একবার ভেবেছিল পরিবারের কারো কথা না ভেবে অদিতি কে বিয়ে করে নিতে। কিন্তু কোন এক অনিশ্চিত ভয়ের বশবর্তী হয়ে তেমনটা করার সাহস অরিএ তখন পাইনি। কিন্তু এখন ও সেজন্যই আফসোস করে। অদিতি এবং অরিএের যেদিন শেষ কথা হয়েছিল সেটা ছিল অরিএের বিয়ের কয়েকদিন আগে। সেটার প্রায় ৪ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে।

শেষ পযর্ন্ত বিয়েটা অরিএ নিজের পরিবারের পছন্দের মেয়ের সাথেই করেছিল। সেটাও একপ্রকার বাধ‍্য হয়ে। নিজের পরিবারের মানুষের কাছে হার মানতে হয় তাকে। তখন অদিতি কে বিয়ে করলে এক অনেক বড় পথ থাকে সংগ্রাম করে পাড়ি দেওয়া লাগত সেই সাহস তার কখনোই ছিল না। যদিও সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা সে করেছিল কিন্তু ওর কিছু বন্ধুদের কথা শুনে সেই চেষ্টা করাও থামিয়ে দেয়।

অরিএের বিয়ে হয় নিপার সাথে। নিপাকে পছন্দ করছিল অরিএের মা। মেয়েটাকে অপছন্দ করার মতো কোন কারণ তখন ছিল না। বিয়ের এতদিনে অদিতি কে ভুলে যাওয়ার কথা ছিল অরিএের। কিন্তু সেটা সে মোটেই পারেনি। এখনও সে অদিতি কে মিস করে। হারানো ভালোবাসার জন্য এখনও সে আফসোস করে। এখন তার মনে হয় ঐসময় পরিবারের মানুষের কথা না শুনলেই হতো। অন্তত নিজের পছন্দের মানুষের সাথে তো থাকতে পারতাম। বাসার ছাদে বসে এসব কিছুই ভাবছিল অরিএ। আজ নিপার সাথে ওর অনেক বড় ঝামেলা হয়েছে। যদিও এটা নতুন না। ইদানিং নিপা বেশ অবাধ‍্য হয়ে উঠেছে। কোন কথায় ও আর স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে না।

চলবে......



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png