গল্প :- বেশিরভাগ সংসারে অশান্তি দেখা যায় কথায় নিয়ে।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বেশিরভাগ সংসারে অশান্তি দেখা যায় কথাই নিয়ে। তবে এই ঝগড়া এমনভাবে চালু হয় সহজে এ ঝগড়া শেষ হয় না। আর যখন পরিবারে দুটি ছেলে থাকে তখন তাদের ওয়াইফ গুলো একজনের নাম একজন শুনতে পারেনা। এই কারণে ভাই ভাই সম্পর্ক পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। আর সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার পিছনে অনেক কারণও থাকতে পারে। আমাদের বাড়ির পাশে একটি পরিবারের দুটি ভাই আছে। যদিও ভাই দুইজন বিবাহর আগে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। আর যখন ভাই দুইজন বিয়ে করেছেন তাদের ওয়াইফ গুলো সারাক্ষণ ঝগড়া করে । অথচ বড় ভাই ছোট ভাইকে লেখা পড়া করিয়ে মানুষ করেছেন।

বড় ভাইয়ের নাম হচ্ছে একরাম আর ছোট ভাইয়ের নাম হচ্ছে লাভলু। তবে বড় ভাই অল্প বয়সে বিদেশ গিয়ে ভাই এবং বোনদেরকে মানুষ করেছেন। এবং একরাম তার বোনগুলোকে বিয়ে পর্যন্ত দিয়েছেন। একরাম যখন বিয়ে করেছে ওই সময়ে পরিবারের শান্তি ছিল। যখন লাভলু বিয়ে করেছে তখন থেকে বাই দুজনের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হল। আর ছেলের ওয়াইফ দুইজন একজনের কথা একজন শুনতে পারেনা। যদিও লাভলু তার বড় ভাইকে প্রথম অনেক ইজ্জত করতেন। আর এখন বর্তমানে ওয়াইফের কারণে বড় ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করে। তবে বড় ভাই চেষ্টা করে ঝগড়া না করে সুন্দরভাবে থাকার জন্য। আর তাদের ঝগড়া দেখে তাদের মা-বাবা দুইজনকে আলাদা করে দিলেন।

তবে ঘর একসাথে বিদায় দুইটি ভাই একই ঘরে বসবাস করে। যদিও বড় ভাইয়ের ছেলেমেয়ে বড় হয়ে গেল। আর ছোট ভাইয়ের ছেলে মেয়ে এখনো ছোট। এবং বড় ভাই এর ওয়াইফ যখন ঝগড়া করে তখন তার ছেলে মেয়ে ও ছোট ভাইয়ের ওয়াইফের সাথে ঝগড়া করে। এই নিয়ে কয়েকবার পরিবারে বিচার পর্যন্ত বসলো। লাস্ট পর্যন্ত বাড়ির লোক গুলো বলল তারা যারা একজনের সাথে একজন কথা না বলে। কিছুদিন আগে দুইজনের ওয়াইফ এমনভাবে ঝগড়া করেছেন। একজনকে একজন আঘাত পর্যন্ত করেছেন। একরাম মিয়ার ওয়াইফ মনে করল সেই বড় হিসেবে তাকে ছোট দেবরের ওয়াইফ ইজ্জত করবে। এই কারণে সেই ব্যবহার খারাপ করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন।

এক পর্যায়ে লাভলুর ওয়াইফ একরাম মিয়ার ওয়াইফের গায়ে হাত তুললেন। এরপর মহিলা দুইজন বাড়ির মধ্যে অনেক ঝগড়া করেছে। আর এই ঝগড়ার কারণে ভাইয়ে পর্যন্ত ঝগড়া হয়েছে। এদিকে বড় ভাইয়ের ছেলে তার চাচাকে মারার জন্য আসলো। এই কারণে পরিবারের মধ্যে এখন অনেক ঝামেলা হচ্ছে তাদের। তবে ছেলে দুইজন এবং ছেলের ওয়াইফ সবসময় তারা একরাম এবং লাভলুর মাকে দোষারোপ করে। তবে মহিলাটি বলে তারা দুইজন সারাক্ষণ ঝগড়া করে। আর আমি যদি তাদেরকে ঝগড়া করার জন্য মানা করি তারা মনে করে আমি কারো পক্ষে নিয়ে সাপোর্ট করেছি। এই কারণে এখন শাশুড়ি কাউকে ডাক দেয় না।

তবে এই ঝগড়ার কারণে তারা থানা পর্যন্ত গেল মামলা করার জন্য। যদিও পরবর্তীতে বাড়ির অন্যান্য লোক বুঝিয়ে বলার কারনে মামলা করে নাই। এখন আমাদের বাড়িতে অনেকে বলে আগে তারা ভাই দুজন খুব ভালো মিল ছিল। আর সাম্প্রতিক সময়ে ছেলের ওয়াইফদের কারণে ঘরের মধ্যে ঝগড়া এবং কোন শান্তি নেই। আর এই ঝগড়ার কারণে ভাইয়ে ভাইয়ে পর্যন্ত সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেল। আর এরকম পরিবেশ গুলো এখন কম বেশি সব জায়গাতে দেখা যায়। বিয়ের পর থেকে ওয়াইফদের কারণে পরিবারে অনেক বড় ধরনের ঝগড়া হয়। এবং কি ভাইয়ের আপদে বিপদে একজনের পাশে একজন সাপোর্ট পর্যন্ত করেনা। যেমনটি একরাম এবং লাভলুর বেলাও তাই হয়েছে। আশা করি আমার বাস্তব পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।