গল্প :- এই পৃথিবীতে মানুষ চেনা বড় কষ্টকর।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব এই পৃথিবীতে মানুষ চেনা বড় কষ্টকর। কারণ মানুষ চিনতে হলে প্রথমে মানুষকে ভালোভাবে জানতে হয়। আর এখনকার মানুষগুলোকে জানতে হলে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করতে হয়। কারণ সহজে মানুষ চেনা যায় না। আর মানুষ এতই স্বার্থপর হয় নিজের স্বার্থের কারণে বিশ্বাসঘাতকতা করে। আমার নানার বাড়ির ঘটনা আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করব। আমার নানার বাড়িতে আমার মামারা বসবাস করে পাশাপাশি তার বাড়ির চাচাতো ভাই চাচাতো ভাই বসবাস করে। তবে কিছু কিছু মানুষ আছে স্বার্থের কারণে একজনের সাথে একজন চলাফেরা করে।

আর আমার মামা এবং তার চাচাতো ভাই ভালো সম্পর্ক। একসাথে চলাফেরা করে একসাথে যে কোন জায়গাতে যাই। এবং একই প্রতিষ্ঠানে তারা চাকরি করে। আর আমার মামাতো বোন আছে একজন। আর তার নাম হচ্ছে চুমকি। চুমকি এক বাবার এক মেয়ে হিসেবে সবাই তাকে আদর করে। আর আমার মামা চাচাতো ভাই এর ছেলে আছে দুইটি। এবং এক পরিবারের লোক এক পরিবারের সবসময় আসা-যাওয়া করে। আসা যাওয়া করতে করতে আমার মামাতো বোনের সাথে তার জ্যাঠাতো ভাইয়ের ছেলের প্রেম হয়েছে। প্রথমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক তেমন কেউ বুঝতে পারে নাই। যখন প্রেমের সম্পর্ক বুঝতে পারল তখন ভালো সম্পর্কের কারণে ছেলেটিকে কিছুই বলতে পারল না।

আর মামাতো বোন চুমকি মনে করলো তার বাবার সাথে যখন চুমকির বাবার ভালো সম্পর্ক। তাহলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক পরিবার ভাবে মেনে নেবে। আর প্রেমের সম্পর্ক গুলো এমনিতে অনেকে মানতে রাজি হয় না। যখন চুমকির বাবা জানতে পারলো তার জ্যাঠাতো ভাইয়ের ছেলের সাথে তার মেয়ের সম্পর্ক। আর ছেলেটির নাম হচ্ছে আজাদ। যদিও আজাদ লেখাপড়া করে সেই হিসেবে আজাদকে সবাই ভালো পায়। আর চুমকি ও লেখাপড়া করে সেই হিসেবে দুই পরিবারের মনে হয় রাজি আছে। তখন চুমকির বাবা বলল ব্যাটা তো ভাইকে তার মেয়ের বিয়ের কথা। তখন সাথে সাথে আমার মামার চাচাতো ভাই মানা করলেন। সে কখনো চুমকিকে তার ছেলেকে বিবাহ করাবে না।

আর আমার মামাও তাকে কিছু বলতে পারে নাই। এরপরে চুমকির বাবা তাকে অন্য জায়গা বিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করলেন। যদিও চুমকি চেষ্টা করতে লাগল আজাদের কাছে বিয়ে বসার জন্য। আর ভালোবাসার মানুষগুলো এমনিতে চাই প্রিয় মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে। আর যখন আজাদকে ব্যাপারটি বললেন চুমকি। তখন আজাদ সাথে সাথে মানা করলেন চুমকিকে সে বিয়ে করবে না। কারণ আজাদের বাবার পছন্দের মেয়েকে সে বিয়ে করবে। আর চুমকিকে বলল ভালবাসলে বিয়ে হওয়া করতে হয় নাকি। এবং আজাদ বলতে লাগলো আমি সময় পাস করেছি। তোমার সাথে প্রেম করে আমার টাইম পাস করলাম।

আর জীবনে আমি কখনো তোমাকে বিয়ে করব না। এবং পরবর্তী জানতে পারল তাদের বাবা দুইজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক হলেও চাকরির কারণে দ্বন্দ্ব ছিল। হয়তোবা এই দন্দ কেউ জানতো না। এবং পরিবারের লোক গুলো জানতো। আর এই কারণে আজাদ চুমকির সাথে প্রেম করে তার বাবাকে ছোট করেছে। আর এই কারণে আজাদ তার ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে রাজি না। আর এই কারণে চুমকি একবার বিষ পান করেছে আজাদের জন্য। পরবর্তীতে পরিবারের লোকদের কারণে চুমকি আবার স্বাভাবিক হলেন। আর এই কারণে ভালোবাসা মানুষকে চিনতে কষ্ট হয়। এই হচ্ছে বাস্তব একটি কাহিনী। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।