গল্প :-ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলে সবাই সুখী হয় না। (শেষ পর্ব)
আর সাইফা মনে করল ভালবাসার মানুষ যদি পাশে থাকে দুনিয়ার সবকিছু সুন্দর হবে। আর এদিকে সাইমুন নিজের দরকারে সাইফার কাছে টাকা চাইতেন। এবং সাইফা যদি তাকে টাকা না দিতে পারে সে আজেবাজে কথা বলে। আর সাইফা কোথাও এক টাকা পেলে সে চেষ্টা করে সাইমুন কে দিতে। আর সাইমুন কলেজে যাওয়ার পর অন্যান্য বন্ধু-বান্ধবের সাথে মিশতেন বেশি। এই কারণে সাইমুন এবং সাইফার মধ্যে ঝগড়া শুরু হতে লাগলো। যদিও সাইমুন সাইফাকে তেমন পাত্তা দিতেন না। তবে ওই সময় মনে হয় সাইমুন বুঝতে পারলো সেই বিয়ে করে ভুল করেছে। হঠাৎ করে সাইমুন একবার সাইফাকে বলতে লাগলো সেই ব্যবসা করবে। এবং তার টাকা পয়সা লাগবে।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আর সাইফা যেভাবে হোক তাকে টাকা ব্যবস্থা করে দিতে। কারণ সাইমুন এর বাবা থেকে সে এক টাকা পাবে না কখনো। আর সাইমুন সবসময় সাইফাকে তার ভালোবাসার কথা বলে টাকার নেওয়ার চেষ্টা করতেন। আর সাইফা ভালোবাসার মানুষকে সুখী করার জন্য চেষ্টা করতে টাকা দিতে। এবং সাইফা তার ভালোবাসার মানুষের জন্য টাকা দেওয়ার জন্য সে না বলে তার মায়ের স্বর্ণ গুলো সাইমুনকে দিয়ে দিলেন। আর সাইমুন ওই স্বর্ণ গুলো মনে হয় দুনিয়ার সবকিছু পেয়ে গেলেন। পরে যখন সাইফার মা তার স্বর্ণ গুলো খুঁজতে লাগলো পেলেন না। পরবর্তীতে যখন পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে তখন সাইফা বলে দিলেন সেই সাইমুন কে দিলেন ব্যবসা করার জন্য। আর সাইমুন ওইগুলো বিক্রি করে সে নিজের মতো করে চলার চেষ্টা করতে লাগলো।
যদিও সাইফার বাবা তাকে অনেক আদর করতেন। এই কারণে মেয়ের আবদার সব সময় পূরণ করার চেষ্টা করবেন। আর সাইফার বাবা ঐ সময় বলল যদি সাইমুন ভালো হয়ে চলে তাকে বিদেশ নেবে এবং ছেলের মত করে দেখবে। আর সাইফার মা সবসময় মেয়েকে বাজে কথা বলতেন। এবং অনেক সময় মেয়ের গায়ে হাত তুলতেন। এবং স্বর্ণ গুলো নিয়ে মেয়েকে আজেবাজে কথা বলল। একদিন রাত্রেবেলা সাইফা গলায় পাশ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। সকালবেলা দেখে সাইফা ঘরের মধ্যে ফাঁস দিয়ে মরে রইলো। এই দিকে সবাই দেখে অবাক হয়ে গেল। কারণ যে মেয়ে এত হাসি খুশি ছিলেন। আর সে মেয়ে বিয়ের পর থেকে সারাক্ষণ টেনশন করতেন। একদিকে তার ভালোবাসার মানুষটি সঠিক ছিল না।
অন্যদিকে সাইফার মা সবসময় আজেবাজে কথা বলতেন এই কারণে মেয়েটি সহ্য করতে পারে নাই। আর এই কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। এবং মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে বাবা বিদেশ থেকে তাড়াতাড়ি চলে আসলেন। আর এদিকে সাইমুন এর পরিবারকে কিছু বলতেই পারল না কেউ। কারণ বিয়ের পর থেকে সাইফাকে তারা তাদের বাড়িতে নেই নাই। এবং তাদের ছেলের সাথেও তাদের তেমন সম্পর্ক নাই। আর সাইফা ছিল বাবার বাড়িতে এই কারণে কিছুই বলতে পারল না। আর ভালবাসার মানুষ সাইফা সঠিকভাবে চিনতে পারে নাই। এবং সাইফা মৃত্যুর খবর শুনে সাইমুন পালিয়ে গেলেন। এদিকে থানা থেকে পুলিশ এসে সাইফাকে থানা নিয়ে গেলেন।
আর থানা থেকে এনে সাইফাকে দাফন করলো। সত্যি বলতে সাইফা তার জীবনের মানুষটিকে বেশি আবেগ দেখালেন। আর এই আবেগের কারণে লাস্ট পর্যন্ত সে তার জীবন দিলেন। আর মায়ের অতিরিক্ত শাসনের কারণে অকালে সাইফার জীবনটা চলে গেল। আর এই কারণে যে কোন কিছুতে আবেগ বেশি দেখানোর দরকার নেই। স্কুল জীবনের পড়ালেখা করা ভালো। এবং প্রেম ভালোবাসা নিয়ে অতিরিক্ত কিছু করা ভালো না। আর আমাদের এলাকায় এখন অনেকে বলে মেয়েটির আবেগের কারণে সেই জীবন দিতে হলো। তবে এইখানে ভুল মানুষকে সাইফা ভালোবেসে তার জীবন দিয়ে দিলেন। আর ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করলে সবাই সুখী হতে পারে না। আশাকরি আমার আজকের টপিক পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1956949385159594120?t=sD-vI7Rs7Q4L9CdDtOcZhw&s=19
Congratulations!
Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀
This is an automated message.
If you wish to stop receiving these replies, simply reply to this comment with turn-off
Visit here.
https://www.steempro.com
SteemPro Official Discord Server
https://discord.gg/Bsf98vMg6U
💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!
🟩 Vote for witness faisalamin
https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin
গল্পটা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে গেলো । সাইফার মতো অনেকেই ভুল মানুষকে ভালোবেসে জীবনে কষ্ট পায়। ভালোবাসা কখনোই শুধু টাকা বা স্বার্থের জন্য হওয়া উচিত না। তোমার লেখাটা আমাদের একটা বড় শিক্ষা দিলো—জীবনে আবেগের পাশাপাশি বুদ্ধি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্যি ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করে সবাই সুখী হতে পারে না। গল্পটি পড়ে সত্যি সাইফার জন্য অনেক খারাপ লাগলো। আসলে আবেগে মানুষ অনেক কিছু করে।ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর লিখেছেন।
হ্যাঁ আবেগের কারণে মানুষ অনেক কিছু করে। আপনি সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো।আসলে আমিও এটা মানি যে ভালো বেসে বিয়ে করে সবাই সুখী থাকে না।আসলে একটা মেয়ের উপর এত অত্যাচার এবং এত নির্যাতন চলছে এই কাজটি না করা পর্যন্ত সে শান্তি পায়নি।তবে আত্মহত্যা করা মহাপাপ এটা আমরা সবাই জানি।যাইহোক খুব শিক্ষানীয় মূলক একটি পোস্ট আমাদের মধ্যে শেয়ার করছেন আপনি।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আত্মহত্যা করা কিন্তু মহাপাপ আমরা সবাই জানি। সাইফা নিজের জীবনের উপর অতিষ্ঠ হয়ে গেল ভালোবাসা এবং পরিবারের কারনে।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1957325969494020524?t=uV_83bHJgynBT6RQEVWYyw&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1957326608685306095?t=Z1CCBadx9Bxv0R9PN8KzwA&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1957327307355595252?t=Njr6_JBr4uq-VVYx-M0VIQ&s=19
আপনার সাথে আমি যোগাযোগ করতে চাই।