রফিকের জীবনের গল্প ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
রফিকের জীবনের গল্প ১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প লিখার চেষ্টা করি। আসলে বাস্তবতা থেকেই গল্পের শুরু। আর গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা। আসলে এমন কিছু গল্প আছে যা বর্তমান মেনে নিতে ও কষ্ট হয়।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
বর্তমান বউ শাশুড়ির মধ্যে চলে দাউমাছ।আর এই ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় হয়রানি হতে হয় স্বামী জাতীয় মানুষ গুলোর।আসলে সবার বুঝা উচিত ছেলেকে বিয়ে করালে বউ আসলে তার জন্য একটা স্হান আমাদের দিতে হবে।তবে এখনকার বেশির ভাগ শাশুড়ি ভাবে ছেলে আগে যেমন মায়ের কথা মতো চলত বিয়ের পরে হয়তো তেমন থাকবে।আসলে আমার মনে হয় বিয়ের পরে যেকোন ছেলে হয়তো একটু চেঞ্জ হলেও হয়।আর চেঞ্জ হওয়া স্বাভাবিক।
যাইহোক আজ এমন একটা মজার গল্প নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে।রফিক তার বাবা মায়ের প্রথম সন্তান তারা চার ভাই। তবে রফিক পড়াশোনা তেমন করতে পারেনি।কিন্তু রফিক এর মায়ের অনেক বুদ্ধি ছিল। সে বিয়ে পরে ঢাকায় অনেক কষ্ট করেছে। তারপর বড় ছেলেটা পড়াশোনা না করে সারাদিন রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। তারপর রফিক এর মা এক লোককে বলে একটা দোকানে রেখে দিল।লোকটা রফিককে শুধু দুপুরে খেতে দিত।তবে রফিক এর মা বলেছে আমার কোন টাকা পয়সার দরকার নেই তবে আপনি আমার ছেলেকে কাজ শিকিয়ে দেবে।
এভাবে দেখতে দেখতে রফিক এর ভাই গুলো রড় হয়ে গেল। তবে সবাই পড়াশোনা করে। এভাবে রফিক কয়েক বছর থাকার পরে এক সময় ব্যবসা বুঝে গেল।তারপর তার মা কিছু টাকা ঋণ নিয়ে একটা ছোট দোকান নিয়ে দিল।আর সেই থেকে রফিক আস্তে আস্তে কয়েক বছরের মধ্যে বড় ব্যবসায়ি হয়ে উঠল।তারপর তার মেজ ভাইকে ও ব্যবসা শিখে দিল।যদিও মেজ জন পড়াশোনা করে আর পাশাপাশি ব্যবসা করে। এখন রফিকের মা তাকে বিয়ে দেবার জন্য মেয়ে দেখতে লাগলাম। আসলে রফিক আবার তার মায়ের কথার বাইরে চলে না।তারপর মোটামুটি পরিবারের মেয়ে দেখে রফিক এর মা তাকে বিয়ে দিয়ে দিল।যদিও বিয়েটা হঠাৎ করেই হয়েছে।আর বিয়ের পরে তাদের জীবন কেমন হবে জানতে হলে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। অ [চলবে]
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1948044870268183036?t=rRXp889oK7-xF80EZtCr5Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1948045423295500753?t=gF4PR6UQwpAARm9Po4UZIw&s=19