||ভৌতিক গল্প:-বুড়ি মার চুল||

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago
আসসালামু আলাইকুম:-আদাব
"ভৌতিক গল্প:-বুড়ি মার চুল"
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

1000157513.jpg

Source

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে গল্প:-বুড়ি মার চুল আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু পোস্ট শেয়ার করার। আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে।তো আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি করে গল্প পোস্ট শেয়ার করার।আসলে এমন অনেক গল্প রয়েছে যে গল্প গুলো পড়তে এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে।বিশেষ রোমান্টিক এবং ভৌতিক গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।তো ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে একটি ভৌতিক গল্প শেয়ার করি।কারণ ছোট বেলায় থাকতে এই ধরনের গল্প গুলো আমি আমার দাদা দাদির কাছ থেকে শুনতাম।আমি যে গল্পটি শেয়ার করবো সেটা আমার দাদির থেকে শোনা গল্প।তো হুট করেই গল্পটি আমার মনে পড়লো।আর গল্পটি তেমন খারাপ না,আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

গ্রামের নাম মুন্সিরদিঘি। ছোট, নিরিবিলি, গাছপালা ঘেরা একখানা পুরোনো গ্রাম, যেখানে দিনের আলো যত শান্ত, রাত ঠিক ততটাই রহস্যময়। সেই গ্রামে এক প্রান্তে থাকতো এক বৃদ্ধা, সবাই ডাকতো“বুড়ি মা” নামে।বুড়ি মা’র আসল নাম কেউ জানত না। শুনা যায়, তার জন্ম হয়েছিল ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, গ্রামের বয়স্করাও বলত,“আমরা যখন ছোট, বুড়ি মা তখনো বুড়ি ছিল!”

কারো মনে সন্দেহ ছিল না,তিনি মানুষ নন, কিছু একটা।তবে তার বাড়ির চারপাশে আজও কেউ ঢোকে না।কারণ, যারা রাত ১২টার পর ঐ পথ দিয়ে হেঁটেছে, তারা সবাই বলেছে এক অদ্ভুত কথা“বুড়ি মার চুল দেখা গেছে…”হ্যাঁ, ঘরের ভেতর থেকে বুড়ি মার রুপালি চুল বের হয়ে আসে জানালা দিয়ে,বেয়ে যায় উঠোন, গলিপথ, এমনকি মাটির রাস্তা ধরে গিয়ে মিশে যায় জঙ্গলের দিকে।চুল গুলো যেন বেঁচে থাকে, যেন রাতের অন্ধকারে নিঃশব্দে হাঁটে।

লোকজন বলত, কেউ যদি সেই চুলে পা দেয় বা টান দেয়, তাহলে সে আর সকালে বাড়ি ফেরে না।এমনই এক রাতে, ১৪ বছরের ছেলে"তানভীর"বন্ধুরা মিলে চ্যালেঞ্জ নেয়“কে যাবে বুড়ি মার বাড়ি?”তানভীর সবার সামনে সাহস দেখাতে এগিয়ে যায়।তখন রাত ১টা।চাঁদের আলো ঝাপসা, বাতাস কেমন ভারী।তানভীর চুপিচুপি বুড়ি মার বাড়ির কাছে যায়।
তখনই দেখে চুল গুলো ঠিক যেন নদীর মতো বয়ে যাচ্ছে উঠোন পেরিয়ে রাস্তার দিকে।সে দাঁড়িয়ে পড়ে। হাত কাঁপছে। তবু সে একবার চুলটা ছুঁয়ে দেখল ঠান্ডা।

তবে অদ্ভুতভাবে সেই স্পর্শে এক শীতল শ্বাস যেন তার কানের পাশে এসে পড়ে।কৌতূহল জয় করে ভয়কে তানভীর চুলের রেশ ধরে এগোতে থাকে জঙ্গলের দিকে।১০ মিনিট হাটে। তারপর ২০ মিনিট।হঠাৎ সে দেখে, চুলের রেখা থেমে গেছে একটা পুরোনো শুকনো কূপের পাশে।কূপটা এত পুরনো যে, মনে হয় শত বছর কেউ কাছে যায়নি।তানভীর নিচে ঝুঁকে দেখে অন্ধকার, কিন্তু চুল নিচে নামছে না, বরং নিচ থেকে উঠে আসছে তার দিকে।একটা মুহূর্তে তার মনে হলো, সে উপরের দিক থেকে নয়, বরং কেউ নিচ থেকে তাকে টেনে আনছে চুলের রেশ ধরে।

তানভীর চিৎকার করে ওঠে, কিন্তু গলায় কোনো শব্দ বের হয় না।তারপর সকালে গ্রামের লোকজন দেখে, কূপের চারপাশে পায়ের ছাপ।আর কূপের গায়ে লেখা একটা দাগ,যে চুল ছোঁয়, সে বেঁধে যায়।তানভীর আর ফিরেনি।বুড়ি মার ঘর তখনো বন্ধ, জানালার ফাঁক গলে রুপালি চুল এখনো রাতের পর রাত বয়ে চলে গ্রামের গলি পেরিয়ে জঙ্গলের পথে।কেউ বলে,তানভীর এখন সেই চুলের অংশ একজন নতুন পাহারাদার।বুড়ি মার ঘর এখনো আছে।চুল এখনো দেখা যায় জ্যোৎস্না রাতে।কেউ আর ছুঁতে চায় না।কারণ, সবাই জানে,চুল যদি জীবন্ত হয়, তাহলে আমরা কেউ জীবন্ত থাকবো না।গল্পটি এখানেই শেষ হয়ে যায়।আসলে এই ধরনের গল্প গুলো ছোটবেলায় অনেক শুনতাম এবং অনেক ভয় পেতাম।আজকে হুট করে এই গল্পটি মনে পরলে এবং ভাবলাম আপনাদের মাঝে এই গল্পটি শেয়ার করা যাক।আশা করছি গল্প টি সবার কাছে ভালো লেগেছে।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।



1.png


ছবি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ
ডিভাইসTecno camon 20
ফটোগ্রাফার@polash123
লোকেশনদিনাজপুর

1000001273.gif

4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png

🌸আমার পরিচয়🌸
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।

4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png

You can also vote for @bangla.witness witnesses

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

banner-abb_New.png

standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

standard_Discord_Zip_2-1.gif

banner-abbVD.png

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য 💞"ধন্যবাদ"💞

Sort:  
 9 hours ago 
 2 days ago 

গল্পটি পড়ে সত্যিই গা শিউরে উঠল! দাদির মুখে শোনা সেই ভৌতিক আবহ পুরোটা জুড়ে বজায় ছিল। “বুড়ি মার চুল” গল্পের রহস্য আর পরিবেশ চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। খুব ভালো লেগেছে উপস্থাপনাটি। আরও এমন গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।

 9 hours ago 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।