জীবন যেনো দুর্বিষহ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলের ভালোই লাগবে।

আজকে আসলে মন বা শরীর কোনটাই তেমন একটা ভালো নেই বললেই চলে।তার কারণ আসলে অন্য কিছুই নয়। তার কারণ হলো বর্তমান অবস্থা।

আমি বর্তমান অবস্থা বলতে আমি অবশ্যই এই তীব্র গরম কেই বুঝাচ্ছি। গ্রীষ্মকাল এ যে এতো বেশি গরম হতে পারে তা আসলে আমার ধারণারও বাইরে ছিলো। কারণ আজকাল যে কি পরিমান খারাপ অবস্থা তা কারোই অজানা নয়। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার রোজা রেখে এই গরম সহ্য করার সত্যিই খুব কঠিন একটা বিষয়। কারণ রোজার সময় আসলে সারাদিন কোনো কিছুই খাওয়া হয় না,এটা তো সকলেই জানেন।। অর্থাৎ সারাদিনের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।এটা তো আসলে বেশিরভাগ মানুষেরই জানা কথা। যদিও যারা চুরি করে খেয়ে ফেলে তাদের বিষয় অন্য,হাহাহাহা যাই হোক একটু মজা করলাম।আশা করি কেউ আবার মাইন্ড করবেন না।

তবে ছোটবেলায় এটা নিয়ে খুব জ্বালাতন করতো বড় আপু ভাইয়ারা। অর্থাৎ তারা বলতো যে আমি রোজা রাখিনি, আমি খেয়ে ফেলেছি । আসলে কিন্তু কখনোই খাইনি অর্থাৎ চুরি করে কখনোই খাইনি। কিন্তু বড় আপু ভাইয়ারা সব সময় বলতো যে আমি চুরি করে খেয়েছি এবং তারা তা দেখেছে। তো এই নিয়ে আসলে অনেক মজার কাহিনী রয়েছে তা অন্য কোনোদিন বলবো।

তবে যা নিয়ে কথা বলছিলাম। তা হলো আমি বুঝতে পারছি না এত দুর্বিষহ গরম কিভাবে পরছে।আমাদের না হয় মাথার উপরে ফ্যান চলছে ,এসি চলছে। সে কারণেই আমরা আসলটা বুঝতে পারছি না। কিংবা আমাদের বেশিরভাগ মানুষের বাসায় এসি,জেনারেটর সব রয়েছে,ফ্রিজ রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। তাই হয়তো আমরা ততটা বুঝতে পারছি না। তবে এমনটা নয় যে খারাপ লাগছে না। আসলে একেবারে অসহ্য গরম লাগছে বলা যায়। আর সে সাথে লোডশেডিং তো আছেই।

কিন্তু যাদের ঘরে একটা ফ্যান ও নেই। তাদের অবস্থা যে কি হচ্ছে ভাবতেই পারছি না। কারণ আমাদের যদি এতো খারাপ অবস্থা হয়। তবে যাদের একেবারে টপ ফ্লোরে বাসা কিংবা ফ্যান নেই তাদের যে আসলে কি হচ্ছে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।

আসলে প্রকৃতি সব সময় তার বদলা ফিরিয়ে দেয়। আমরা প্রকৃতির উপর এত বেশি নিষ্ঠুর তম আচরণ করি। তাই এজন্যই প্রকৃতি এখন আমাদের উপর তার রিভেঞ্জ নিচ্ছে। অর্থাৎ আমাদের নিজেদের দোষেই আজ আমরা এই ধরনের জলবায়ু সৃষ্টি করেছি।