বাবু কে নিয়ে খেলার মাঠে।
এমনিতেই এই গরমে কোনরকমে বাবু কে দিনের বেলা ঘরের ভিতরে স্থির রাখা যায়, তবে বিকেলের পরে যখন সূর্যের তাপ কিছুটা কমে যায় তখন যেন কোন অবস্থাতেই বাবু আর ঘরের ভিতরে থাকতে চায় না। এটা শুধু বাবুর ক্ষেত্রেই না বরং আমাদের নিজেদের ক্ষেত্রেও।
কয়েকদিন ধরে একটা রুটিন করেছি, বিশেষ করে বিকেল বেলার দিকে আমি আর বাবুর মা বাবুকে নিয়ে ছুটে যাই খেলার মাঠে। মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের মত আরো অনেকেই সেখানে ছুটে আসে, খেলাধুলা করে কিংবা নিজেদের মতো করে সময় কাটায় ।
ভিডিও লিংক
যেহেতু অনেক বড় খেলার মাঠ, তাই বাবু খুব স্বাচ্ছন্দে খেলাধুলা করতে পারে এবং আমরা নিজেরাও এদিক সেদিক একটু পায়চারি করতে পারি।
যেহেতু এটা আমাদের রুটিন হয়ে গিয়েছে, তাই প্রতিদিনই আশেপাশের কোন না কোন খেলার মাঠে যাই। সেদিন গিয়েছিলাম মূলত হীরার শৈশবের স্কুল মাঠে। হীরা নিজেই অনেকটা আবেগ প্রবণ হয়ে গিয়েছিল।
ও তো অনায়াসে বলেই ফেলল, এই স্কুলে এক সময় আমি নিজে পড়াশুনা করেছি এবং এই মাঠে সহপাঠীদের সঙ্গে অনেক খেলেছি, আজ আবার সেই মাঠে আমার নিজের সন্তান খেলাধুলা করছে, এটা সত্যিই আনন্দের ব্যাপার।
ইচ্ছা আছে পুরো গরমের সময়টা বিকেল বেলা করে এভাবে উন্মুক্ত পরিবেশে প্রতিনিয়ত ঘোরাঘুরি করার, তাতে আর যাইহোক সারাদিনের ক্লান্তিটা অন্তত কিছুটা হলেও কমে যায়।
আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে, একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আশা করি যারা প্রতিনিয়ত আমার ভিডিও দেখে, তাদের কাছে এই ভিডিওটা ভালো লাগতে পারে। আর একটা পরামর্শ দেই, ইট পাথরের দেয়ালে আপাতত বন্দি না থেকে একটু উন্মুক্ত পরিবেশে ঘোরাফেরা করুন, শান্তি পাবেন।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকে বাবুকে নিয়ে হীরা ভাবির স্মৃতিময় একটি জায়গায় ঘুরে আসলেন। শায়ন বাবুও বল নিয়ে ভালোই আনন্দ করছে। আসলে সারাদিন কাজ করে বিকেলের দিকে একটু ঘোরাঘুরি করলে মনটা রিফ্রেশ হয়। ধন্যবাদ।
মানসিক প্রশান্তির জন্যই এই ঘোরাঘুরি ভাই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
গরমে বাচ্চাদের ঘরে থাকতে আসলেই কষ্ট হয়।তাই খোলা পরিবেশ তাদের জন্য খুবই জরুরি।আপনি ও ভাবি দুজনের স্কুল একই ছিল বুঝলাম আর আপনার বাচ্চা সেখানে খেলাও করছে এটা আসলেই অত্যন্ত আনন্দের।মনে হয় যেন নিজেদের শৈশবে ফিরে যাওয়ার আরেক রাস্তা।ভালো লাগলো জেনে আপনার বাবুকে নিয়ে লেখা অনুভূতিগুলি পড়ে, ধন্যবাদ ভাইয়া।