ভ্রমণ-: চিড়িয়াখানায় ভ্রমণ করার মুহূর্ত পর্ব-২।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
গত সপ্তাহে আপনাদের মাঝে চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তের প্রথম পর্বটা শেয়ার করেছিলাম।আজকে হাজির হয়ে গেলাম দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। আসলে চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি করা মানে বিভিন্ন রকম পশু পাখি এবং জীবজন্তু দেখা। যেগুলো বিভিন্ন রকম ভাবে ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। যাতে করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি। আর ঠিক তেমনি আজকে এমন কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব যা দেখে আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে। এই চিড়িয়াখানা ভ্রমন করলে বাচ্চাদের অনেক বেশি জ্ঞান প্রাকৃতিকভাবে অর্জিত হয়।
আসলে বাচ্চাদের বইয়ের মাঝে এই জ্ঞানকে আবদ্ধ না রেখে যদি বাইরের পরিবেশ প্রকৃতি সুন্দর করে প্র্যাকটিক্যাল ভাবে বোঝানো যায় তখন তারা অনেক কিছুই নিজে নিজে রপ্ত করতে পারে। পশুপাখি চেনানোর ক্ষেত্রে বইয়ের থেকে বাস্তবিকভাবে চোখে যা দেখবে তাই অনেক বেশি কার্যকর হবে। যাইহোক আমরা চিড়িয়াখানার ভেতরে ঢুকে বেশ কয়েকটা জায়গা দেখলাম। যেগুলোতে বিভিন্ন রকম পশুপাখি ছিল। এখন শেয়ার করছি কিছু মোরগের মতো দেখতে ছবি। যেগুলো আসলে মোরগ কিনা জানা নেই। তবে প্রত্যেকটা প্রাণীর খাঁচার সামনে খুব সুন্দর করে এর বিবরণী লেখা ছিল।
আরেকটা খাঁচায় দেখলাম ভাল্লুক। যেটা আসলে আমরা চিড়িয়াখানায় না দেখলে বাস্তবে কখনো দেখা সম্ভব নয়। তার পাশাপাশি দেখলাম বাঘের খাঁচা বড় করে করা হয়েছে। সেখানে দুটো বাঘ ছিল। একটা বাঘ বড় একটা পিলারের উপরে উঠে সুন্দর করে বসে গিয়েছিল। যদিও বাঘ একদম শান্ত ছিল। বাঘের কোন গর্জন ছিল না। যাই হোক আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। এই বাঘের খাঁচাটা দুই ধাপে তৈরি করা হয়েছিল। যাতে করে কোনমতেই বাঘগুলো বাইরে যেতে না পারে।
এখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি ঘোড়া, গাধা এবং জেব্রার ছবি। আসলে এই বিভিন্ন রকম জীবজন্তু গুলো আমরা সচরাচর কোথাও দেখতে পাবো না। বন জঙ্গলে তো যাওয়া সম্ভবই নয়। তাই চিড়িয়াখানায় বাচ্চাদের জ্ঞান অর্জন থেকে শুরু করে মানুষের বিনোদনের জন্য এগুলো রাখা হয়ে থাকে। পাশাপাশি কিছু খাঁচায় বিশাল আকারের সাপ ছিল। যেগুলো জন্য অনেক ছোট ছোট করে খাঁচা তৈরি করা হয়েছে। আর এজন্য মূলত ছবিতে খুব বেশি স্পষ্ট করে তুলতে পারিনি।
পাশেই দেখলাম একুরিয়ামের জন্য খুব সুন্দর করে কাচের একটা জায়গা তৈরি করা হয়েছে। যদিও এখনো কোনো মাছ বা কোন কিছুই সেখানে দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র কাজ চলছিল। যাই হোক এদিক ঘোরার পর চলে গেলাম আর একটু দূরে। সেখানে বেশ অনেক রকমের পাখি ছিল। আজকে কিছু ছোট ছোট টিয়া পাখি এবং বড় দুটো পাখি একসাথে বসে আছে এমন ছবি শেয়ার করলাম। আসলে অনেক অনেক ছবি তোলা হয়েছে। তাই ভাবলাম ধাপে ধাপে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। কারণ এত ছবি আসলে একদিন আপনাদের মাঝে শেয়ার করা সম্ভব নয়। তাই আজকে অনেকগুলো ছবি আর মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। আশা করি ভালো লাগবে ।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
পোস্টের বিবরণ
ধরন | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M12 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
🥰❤️
বেশ আনন্দঘন একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম চিড়িয়াখানাতে। তবে অনেক বড় এরিয়া হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম। যাই হোক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
ঠিক বলেছ জায়গাটা বিশাল বড় ঘুরতে ঘুরতে অনেক হাপিয়ে গেছি।
Task 2
https://x.com/bristy110/status/1904149600547807621
Task 3
https://x.com/bristy110/status/1904151166486974938
Task 1
https://x.com/bristy110/status/1904045063300165799
Task 4
https://x.com/bristy110/status/1904152988262043918