কুয়াশার রাতে হাতিরঝিল ভ্রমনের শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। ভ্রমন করতে আমি বেশ পছন্দ করি। যদিও ব্যস্ততার কারনে সময় হয়ে উঠে না কোথাও বেড়াতে যাওয়ার। তবুও এরই ফাঁকে যতটুকু সময় পাই তখনই চেষ্টা করি কোথাও না কোথা বেড়াতে যাওয়ার। কারন ভ্রমন করলে যেমন মনটা শান্ত হয়ে যায় তেমন করে ভ্রমন করলে আবার প্রকৃতির কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখা যায়। আর এই জন্যই আমাদের সবার উচিত মাঝে মাঝে ভ্রমনে বেড়িয়ে পড়া। আর তাই তো ভাবছি আমার ভ্রমনের ইতিহাস গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।

তারপর আমরা হাতিরঝিলের কুয়াশা ভরা রাতের লেকের দৃশ্য উপভোগ করতে করতে এক সময় অপর প্রান্ত এসে পড়লাম। কিন্তু রাতের কুয়শাভরা লেকের দৃশ্য মনের ভিতরে এমন করে গেথেঁ গেছে যে কোন ভাবেই সেই সুন্দর দৃশ্য মন থেকে দূর করতে পারছিলাম না। কিন্তু তাতে কি। আমরা তো একটু ঘুরতে বের হয়েছি। তাই ভাববলাম এপাশের সব কিছু ঘুরে দেখে তারপর না হয় আমরা আবার চলে যাবো লেকের দৃশ্য দেখতে দেখতে ওপারে। আর এই ভাবনা থেকেই সবার সাথে সাথে আমরাও লঞ্চ থেকে নেমে ঘাট পার হওয়া শুরু করলাম।

ঘাট হতে বের হয়ে দেখলাম আমরা তখন গুলশান পুলিশ প্লাজা। আশে পাশে রতের আলো আর ট্রাফিক। সেই সাথে হাতির ঝিলের লেকের পাশে বেশ নীরব আর নিস্তব্দতা। সব যেন সুশান করছে। তো আমরা ভাবলাম যে এই রাস্তা ধরে আমরাও কিছুদূর হেটে দেখি কি আছে সামনে। আমরা যখন সেই দৃশ্য দেখতে দেখতে সামনের দিকে যাচ্ছিলাম তখন শুধু চোখে পড়ছে জায়গায় জায়গায় কপোত কপতি প্রেম করছে। আমরা ভাবলাম আমরাই সেকেলে। এদের থেকে একটু প্রেম শেখার আগ্রহ জাগলো।

তো যাই হোক আমরা হাটঁছি তো হাটঁছি। শীতের রাত হলেও কিন্তু রাতের বাতাস বেশ ভালো লাগছিল। সমস্ত দেহে যেন এক অন্য রকমের পরশ বুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো প্রকৃতি তার পরশ আমাদের কে সহজেই বুলিয়ে দিয়ে যাচেছ। আচ্ছাম এমন রাস্তা দিয়ে হাটঁবো কিন্তু বাদাম খাবো না সে দিক হয়। তো আমরা কয়েক টাকার বাদাম কিনে খেতে খেতে যেতে লাগলাম। কিন্তু কি বলেন তো বাদামে কি আর পেট ভরে? এতটা সময় হাটঁতে হাটঁতে আমাদের ক্ষুধা লেগে গেল। আর এমন ক্ষুধা কে নিবারন করার জন্যই ঢুকে গেলাম লেকের পাশ ঘেষে গড়ে উঠা একটি খাবারের দোকানে।


শীতের রাত বলে তেমন কাস্টমার নেই সেখানে। তো আমরা একেবারে লেকের পাশ ঘেষে বসে ছিলাম। আর ভাবতে লাগলাম কি খাবো। কারন বাহিরে খেলে আর বাসায় যেয়ে কিছুই খাবো না। তাই একটু ভারী খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। দেখলাম তাদের মেনুকাড আছে টেবিলের উপর রাখা। আর মেনু কাড দেখে আমরা গ্রীল আর নান অর্ডার করার সিদ্ধান্ত নিলাম। এখানে আবার পে ফাস্ট। তাই আমি উঠে গিয়ে পে করে আমাদের খাবার নিয়ে আসলাম।

শীতের রাতে গরম গরম গ্রীল আর নান খেতে কিন্তু খারাপ লাগে না। আমরা লেকের রাতরে দৃশ্য আর শীতের বাতাস উপভোগ করতে করতে আমাদের খাওয়ার শেষ করলাম। এক সময়ে আমাদের খাবার শেষ হলো। আর আমরা আবার সেই লঞ্চে চড়ে চলে আসলাম লেকের এ পাশে। গন্তব্য নিজের নীড়ে ফেরা। তবে এমন সুন্দর সময় কাটানোর সুযোগ কিন্তু জীবনে বেশ কম আসে। তাই আমি মনে করি যে মাঝে মাঝে এমন সুন্দর সময় একটু উপভোগ করাই যায়। সুযোগ পেলে আপনারা কিন্তু মিস করেন না।


জানিনা আমার আজকের ভ্রমন পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমন পোস্ট |
---|---|
ক্যামেরা | Vivo y22s |
পোস্ট তৈরি | @kawsar7731 |
লোকেশন | ঢাকা , বাংলাদেশ |
পরিচিতি
আমি কাউছার আহমেদ। আমার ইউজার নাম @kawsar7731। আমি পেশায় একজন চাকুরী জীবি। ঘুরে বেড়াতে আর প্রিয় মানুষের সাথে হাসি মুখে কথা বলতে আমি বেশ পছন্দ করি। তবে সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে এবং গল্প করতে। নতুন কে আবিস্কার করা এবং নতুন কে নিয়ে এগিয়ে চলতেও আমি বেশ পছন্দ করি।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
