ট্রাভেল পোস্ট- "মাওয়াঘাট ও পদ্মার পাড় ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব" II written by @maksudakawsarII

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। আসলে ভ্রমণ গুলোকে আমি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে ভ্রমণের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।‍

Add a heading (4).png

মাওয়াঘাট ও পদ্মার পাড় ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব

WhatsApp Image 2025-06-13 at 23.43.28_7b72ff30.jpg

WhatsApp Image 2025-06-13 at 23.43.27_4fef72f2.jpg

আজকাল জীবনের ব্যস্ততা এতটাই বেশী যে মানসিকতা একদম ভালো রাখতে পারি না। অফিসের অযথা কাজের চাপ, সাংসারিক, পারিবারিক সব কিছু মিলিয়েই যেন জীবনটা হয়েগেছে দূর্বিসহ। এমন দূর্বিসহ জীবন কে যদি কিছুটা স্বস্থি দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু জীবন ফিরে পায় কিছুটা শান্তি আর নতুন ঠিকানা। আর তেমন একটু স্বস্থি আর শান্তির জন্যই কিছুদিন আগে পরিবারের সকল কে নিয়ে বেড়িয়ে ছিলাম একটি ডে ট্যুরে। মানে ঢাকার কাছেই মাওয়া ঘাট আর পদ্মার পাড়ে সারাটা দিন সবাই মিলে ঘুরে বেডিয়ে ছিলাম কিছুটা আনন্দ নিয়ে। আজ সেই ঘুরে আশার গল্পই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। হয়তো পুরো গল্প শেষ করতে করতে ১০০ পর্ব ও লেগে যেতে পারে। তাতে কিন্তু আমার কোন দোষ নেই। তাহলে চলূন আজ আমরা মাওয়া ঘাট আর পদ্মা নদীর পাড়ে ঘুরে আসার দ্বিতীয় পর্ব দেখে আসি।


WhatsApp Image 2025-06-13 at 23.43.27_76dbe6f4.jpg


WhatsApp Image 2025-06-13 at 23.43.26_110f36c9.jpg

আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ভ্রমন পোস্ট নিয়ে। আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা অনেকই জানেন যে আমি ঘুরতে বেশ পছন্দ করি। আজ এখানে তো কাল সেখানে। আর তা যদি হয় প্রকৃতির মাঝে তাহলে তো কথাই নেই। প্রকৃতি আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আর সেই কারনেই আমি প্রকৃতিকে এত এত বিশ্বাস করি। সে যাই হোক। গত সপ্তাহে আমি আমার মাওয়া ফেরিঘাটে ঘুরতে যাওয়ার প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজ আবার চলে আসলাম মাওয়া ফেরিঘাটে ঘুরতে যাওয়ার দ্বিতীয় পর্ব নিযে।


WhatsApp Image 2025-06-13 at 23.43.28_81a776c6.jpg


WhatsApp Image 2025-06-13 at 23.43.28_6f363a96.jpg

আমরা তো চিনিনা যে সেখান থেকে মাওয়া ঘাট কতটা দূর। যার কারনে আমরা ভাড়াও বলতে পারি না। আমরা যেহেতু ছয়জন ছিলাম তাই একটি বড়সড় অটো রিক্সাই দাম করছিলাম। বাপরে একটি অটোরিক্স্রা তো দেখি এখান থেকে যেতে ৩০০ টাকা চায়। এত টাকা খরচ করলে তো আমরা প্রাইভেট কোন গাড়ীতেই আসতে পারতাম। তাই ভাড়া শুনেও মনটাই যাচ্ছিলো খারাপ হয়ে। কিন্তু কি আর করার আমাদের কে তো যেতেই হবে। তাই একটু অপেক্সা করে কয়েকটি রিক্সা দাম করে একটিতে উঠে পড়লাম ২০০ টাকা ভাড়ায়।


WhatsApp Image 2025-06-13 at 23.43.25_6d4c34c5.jpg

অটোতে বসে চারদিকের পরিবেশ উপলব্দি করতে বেশ ভালোই লাগছিল। কত নামী দামী রেস্টুরেন্ট যে দেখলাম চারপাশে। যেহেতু আমরা প্রকৃতির মাঝে আনন্দ করতে গিয়েছি তাই নামী দামী কোন রেস্টুরেন্টেই আমরা আর নামলাম না। রিক্সা করে সোজা চলে গেলাম মাওয়া ঘাটে। তবে রিকসআ ওযালা মামা কিন্তু বেশ ভালো মানুষ। তিনি আমাদের কে একেবারে মাওয়া ঘাটে নিয়ে গিয়ে নদীর ঘাটে নামিয়ে দিয়েছে।


WhatsApp Image 2025-06-13 at 23.43.26_683f9899.jpg

মাওয়া নদীর ঘাটে নেমে আমরা একটু দাড়িঁয়ে পড়লাম। তারপর উপর থেকে আমরা বিশাল পদ্মার দৃশ্যটাকে একটু উপভোগ করার চেষ্টা করলাম। দেখলাম যে কি সুন্দর প্রকৃতি। নদীর ঘাটে দাঁড়ানো বেশ কিছু রং বে রং এর নৌকা, বোড। যাত্রীরা এসব ভাড়া করে পুরো পদ্মা নদী ঘুরে বেড়ায় আর উপভোগ করে পদ্মার দৃশ্যগুলো। আমরাও ভাবলাম যে আমরাও একটু নদীতে ঘুরবো। কিন্তু কেন জানি সেদিন নদীর পাড়ে গিয়ে বেশ মনটা ভরে গিয়েছিল। তাই ভাবলাম যে আজ সারাটাদিন পদ্মার মাঝে হারিয়ে যাবো। কিন্তু ততক্ষনে সবার মনে ঢুকে গেল একটু চা খেতে হবে। মানে সবার তখন চা খাওয়ার নেশা জেগে উঠেছে। আর সে কারনেই আমরা খুঁজতে লাগলাম মালাইয়ের চাযের দোকান। আমরা কি সেদিন মালাইয়ের চা খুঁজে পেয়েছিলাম পদ্মার পাড়ে? জানার জন্য আমার এই ভ্রমন পোস্টের আগামী পর্বের দিকে চোখ রাখুন।

আশা করি আগামী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারবো যে আমরা কত টাকা ভাড়া দিয়ে কেমন করে সেই স্বপ্নের মাওয়া ঘাটে পৌঁছেছিলাম। আর মাওয়া ঘাটে পৌঁছে সেদিন কি কি করেছিলাম। সে পর্যন্ত আমার সাথেই থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীভ্রমণ
ক্যামেরাVivo y18
পোস্ট তৈরি@maksudakawsar
লোকেশনবাংলাদেশ

আমার পরিচিতি

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।


3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeF5StuMqDPqgYjRhUxqFbXTvH2r2mDgNbWweA4YGBo825oLh4oqEqeynn5EZL11LdCrppngkM (1).gif

VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

1000206266.png

1000206267.png

❤️❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️❤️