ট্রাফিক পুলিশদের নিজ কাজের প্রতি দায়িত্ববোধ( লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ থাকল ১০%)
বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এ দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বড় বড় শহরগুলোতে লোকজনের যাতায়াত অনেক বেশি। শহর গুলোতে লোকসমাগম বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো, সেখানে উন্নত জীবন ব্যবস্থা রয়েছে। জীবন-জীবিকা,শিক্ষা-দিক্ষা থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল দিক দিয়ে শহরের লোকজন এগিয়ে থাকে গ্রামের লোকজনের তুলনায়।
আর শহরাঞ্চলে লোকসমাগম বেশি হওয়ায় সেখানে যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। এক সময় এদেশের রাস্তাঘাটগুলো এমন একটা উন্নত না থাকার কারণে রাস্তায় তেমন একটা বেশি যানবাহন দেখা যেত না। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটগুলোর ব্যাপক উন্নয়ন ঘটায় গাড়ি-ঘোরার সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।প্রতিনিয়ত এক শহর থেকে অন্য শহরে ছুটে চলেছে অসংখ্য যানবাহন। এখন ছোট ছোট যানবাহন গুলোই হোক কিংবা বড় যানবাহনগুলো হোক না কেন সকল প্রকার যানবাহন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন ট্রাফিক পুলিশ।
ট্রাফিক পুলিশরা প্রতিনিয়ত পথচারীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম বাধলে কিংবা লোকজনরা রাস্তা পার হতে না পারলে ট্রাফিক পুলিশ আমাদের অনেক ধরনের সাহায্য করে থাকেন। ট্রাফিক পুলিশ যে শুধু রাস্তা চলাচলের সমস্যার সমাধান করে থাকেন না,বরং রাস্তাঘাটে দুর্বৃত্ত- কারীদের কবলে পড়লেও তারা আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। আবার অচেনা শহর গুলোতে গিয়ে রাস্তাঘাট চিনতে অসুবিধা হলে কিংবা কোন ঠিকানা চিনতে না পারলেও ট্রাফিক পুলিশ আমাদের সাহায্য করে থাকেন। কোন গাড়ির বৈধতা ঠিকঠাক না থাকলে কিংবা ড্রাইভার এর লাইসেন্স না থাকলে তাও জব্দ করে থাকেন ট্রাফিক পুলিশ। অর্থাৎ রাস্তায় চলাচলের যাবতীয় সকল সাহায্য-সহযোগিতায় একজন ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা অপরিহার্য।
অন্যান্য পেশার মানুষরা অসুস্থ থাকলে কিংবা পারিবারিক সমস্যা দেখা দিলে কর্মক্ষেত্র থেকে সাময়িক ছুটি নিতে পারেন। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশরা ঝড়, বৃষ্টি কিংবা যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাদের কাজ থেকে খুব একটা ছুটি নিতে পারেন না। সমাজের উঁচু শ্রেণীর কিছু কিছু লোকজন ট্রাফিক পুলিশদের ভিন্ন চোখে দেখেন। তাদের পেশাকে ছোট মনে করেন। ট্রাফিক পুলিশদের আজকে তো সম্মানের চোখে দেখেনই না, বরং তাদের নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তি করে থাকেন। যা একটি সভ্য সমাজের কাছে কখনোই কাম্য নয়। তারা তাদের বাসার লোকজনদের সঙ্গে তেমন একটা সময় কাটাতে পারেন না তাদের কর্ম ব্যস্ততার জন্য। ট্রাফিক পুলিশদের সময় গুলো মানুষের সেবায় নিয়োজিত। আমাদের উচিত রাস্তার সকল ট্রাফিক আইন মান্য করে, ট্রাফিক পুলিশদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
তবে ভাই বর্তমান খুব খারাপ অবস্থা।দুইদিন আগে একটা ঘটনা ঘটছে শুনেছেন? একজন গাড়ি চালক অতিষ্ঠ হয়ে নিজের গাড়ীটায় পুরিয়ে দিলো।অবশ্য সবাই এক না।
ঘটনা সম্পর্কে আমি এখনও কিছু জানি না।তবে যে কোনো পেশায় ভালো খারাপ দুটিই বিদ্যমান রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ট্রাফিক পুলিশদের নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট করেছেন,আপনার পোষ্ট টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। রাস্তা যানযট এড়াতে ট্রাফিক পুলিশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এর ফলে আমরা সাধারন মানুষ সুন্দর ভাবে চলাচল করতে পারি,আপনার লিখনি খুবই সুন্দর ছিলো,শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
নিজের স্থান সবার কাছে রাজ্যের মত। রাজ্যের সিদ্ধান্ত রাজাই নিবে। এই আর কি
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামণা রইল।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি দেখেছি অন্যান্য পুলিশরা আরামে কাটালে ও ট্রাফিক পুলিশেরা আরামে কাটাতে পারেন না।কারণ তাদের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়।সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।