২০২৫ সালের রংপুর গ্রামীণ ও কুটির শিল্প মেলার দ্বিতীয় পর্বটি আবারও আপনাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে, বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য কতটা সমৃদ্ধ এবং প্রাণবন্ত। এই মেলা শুধু একটি প্রদর্শনীই নয়, বরং এটি গ্রামীণ শিল্পীদের স্বপ্ন, পরিশ্রম এবং সৃজনশীলতার একটি জীবন্ত উদাহরণ। রংপুরের ঐতিহ্যবাহী এই মেলাটি এবারও হাজারো দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের আকর্ষণ করেছে, যারা গ্রামীণ শিল্পের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য উপভোগ করতে এসেছিলেন।রংপুর গ্রামীণ ও কুটির শিল্প মেলা ২০২৫-এর দ্বিতীয় পর্বটি শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে এবং চলে গেল প্রায় রোজার আগে আগে।

মেলাটি রংপুর শহরের কেন্দ্রীয় মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়, যা স্থানীয় ও দূরদূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্য সহজেই প্রবেশযোগ্য।এবারের মেলার থিম ছিল গ্রামীণ শিল্পের ঐতিহ্য, আধুনিকতার ছোঁয়া, যা গ্রামীণ শিল্পকে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজাইনের সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করেছে।এই মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এর বৈচিত্র্য। এখানে গ্রামীণ শিল্পীদের হাতে তৈরি নানা ধরনের পণ্য প্রদর্শিত ও বিক্রি হয়।

এই মেলায় অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন স্থানীয় গ্রামীণ নারী ও পুরুষ, যাঁরা তাঁদের পারিবারিক ঐতিহ্যকে ধরে রেখে শিল্পকর্ম তৈরি করেন। তাঁদের অনেকেই এই মেলাকে তাঁদের পণ্য বিক্রির একটি বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করেন। মেলার মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের শিল্পকর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে সক্ষম হন, যা তাঁদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে সাহায্য করে।মেলায় আসা দর্শনার্থীরা শুধু পণ্য কিনতেই আসেননি, তাঁরা এসেছিলেন গ্রামীণ সংস্কৃতির সাথে সরাসরি পরিচিত হতে।

অনেকেই তাঁদের সন্তানদের সাথে এখানে এসে গ্রামীণ শিল্পের সৌন্দর্য দেখিয়েছেন এবং তাঁদেরকে ঐতিহ্য সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন। মেলার পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর, যেখানে সব বয়সের মানুষ একসাথে মিলে মিশে উপভোগ করেছেন এই আয়োজন।রংপুর গ্রামীণ ও কুটির শিল্প মেলা শুধু একটি বাণিজ্যিক ইভেন্ট নয়, এটি গ্রামীণ শিল্পীদের জন্য একটি বড় মঞ্চ। এটি তাদেরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের কাজ তুলে ধরার সুযোগ দেয়। এছাড়াও, মেলাটি স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করে এবং গ্রামীণ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

রংপুর গ্রামীণ ও কুটির শিল্প মেলা ২০২৫ আবারও প্রমাণ করেছে যে, আমাদের গ্রামীণ শিল্প ও সংস্কৃতি কতটা মূল্যবান এবং প্রাণবন্ত। এই মেলা শুধু একটি প্রদর্শনীই নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। আগামী বছরেও আমরা এমন আয়োজনের প্রত্যাশা করছি, যা আমাদের গ্রামীণ শিল্প ও সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।