নীলফামারী টু ঢাকা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো এবং সুস্থ আছি। বর্তমানে আমি ঢাকা শহরে অবস্থান করছি গত দুদিন আগে আমার প্রাণের শহর নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেই বিষয়েই আজকে একটু আলোচনা করব।
বাসায় গিয়েছিলাম বেশকিছু কাজে সেখানেও আনুমানিক আর ৮-১০ দিনের মতো থেকে আবারও কাজের টানে ঢাকা শহরে আসতে হয়েছে। ঢাকা শহরে বর্তমানে আমার বেশ কিছু কাজ রয়েছে এছাড়াও আমার পড়াশুনা রয়েছে যার কারণে আমাকে ঢাকায় আসতেই হত। যদিও বাসায় আমার প্রয়োজন ছিল কিন্তু তারপরও কাজের জন্য আমাকে ঢাকা শহরে আসতে হলো। ঢাকা শহরে আসার এখন তেমন কোন পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু এদিকে ভার্সিটিরও চাপ যাচ্ছে। অনেক সব মিলিয়ে চিন্তাভাবনা করলাম যে ঢাকা শহরে চলে যাই। যেদিন আমি ঢাকা শহরে আসব সেদিন আমার জন্য নানান ধরনের আয়োজন করা হয়েছিল। পোলাও মাংস এছাড়াও আমি আলু রুটি অনেক বেশি পছন্দ করে সেজন্য নানী আলু রুটি বানিয়ে দিয়েছিল।
এছাড়াও আমার ছোট ভাই বর্তমানে ঢাকা শহরেই অবস্থান করছে। তার জন্য বেশি করে খাবার আমাকে প্যাকেট করে দিয়েছিল। যাতে করে আমরা ঢাকা শহরে এসে একদিন খেতে পারি। যেহেতু ঢাকা শহরে বর্তমানে রান্নাবান্না আমাদের নিজেদেরকেই করতে হচ্ছে। তাই এই আয়োজনটা ছিল। আমার ঢাকার গাড়ি ছিল রাত সাড়ে আটটার সময় রাত আটটার সময়। বাসা থেকে বিদায় নিয়ে একটি বন্ধুর বাইকে করে আমি টার্মিনাল পর্যন্ত আসি। সেখানে গিয়ে জানতে পারি আমি যেই বাসে করে ঢাকায় আসবো সেই বাসটি কিছুক্ষণ সময় লেটে চলছে। তাই সেখানে বসে বেশ কিছুক্ষণ সময় আমরা অপেক্ষা করলাম।
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আমার সেই কাঙ্ক্ষিত বাস চলে আসলো। আমার সেই বন্ধুটা আগে বিদায় জানিয়ে আমিও বাসে উঠে পড়লাম। বাসটা বেশ আরামদায় ছিল এবং রাস্তায় তেমন কোন জান জট ছিলো না। তারপরও কেন জানি ঢাকায় আস্তে আস্তে নির্ধারিত সময়ের থেকে এক ঘন্টা পরে আমাকে ঢাকা শহরে নামিয়ে দিয়েছিল। তারপরে সেখান থেকে বাসে করে আমি আমার বাসায় চলে আসি। যদিও আর ঢাকা শহরে আসতে খুব বেশি একটা কষ্ট হয়নি তবে নিজের পরিবারের মানুষজনকে ছেড়ে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছিল।
সব মিলিয়ে পরিবারের সাথে কাটানোর সময় গুলো চমৎকারভাবে অতিবাহিত করা যায়। কিন্তু যখন পরিবারের মানুষজনের কাছ থেকে অনেকটা দূরে সরে আসা যায় তখন এই এর মূল্যটা বুঝতে পারা যায়। এদিকের কাজ শেষ হলে খুব দ্রুতই আবার নীলফামারীতে ফিরে যেতে হবে। কারণ সেখানেও বেশ কিছু কাজ রয়েছে। যেগুলো আমি ছাড়া অন্য কেউ করতে পারবে না। এছাড়াও বাসার আর টুকটাক কাজ করা আছে যেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করছি। তার মধ্যে বিদ্যুতের কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো আসলে আমাকে ছাড়া তেমনভাবে করা সম্ভব হয়ে উঠবে না।
ঢাকার এদিকে সব সমস্ত কাজগুলো তাড়াতাড়ি করে আবার বাসায় ফিরে যেতে হবে। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং আমার এবং আমার পরিবারের জন্য আপনারা দোয়া করবেন ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: নীলফামারী টু ঢাকা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
@alsarzilsiam, what a heartfelt journey back to Dhaka! I really enjoyed reading about your trip from Nilphamari and the mix of emotions it brought. The photos beautifully capture the essence of your experience – from the delicious homemade food prepared by your Naniji to the anticipation at the terminal.
It's so relatable how you describe the tug-of-war between family and responsibilities. That feeling of leaving loved ones behind is universal, and you expressed it so well. The details about your brother's packed food and the late bus added a personal touch that made the post engaging.
Thanks for sharing a glimpse into your life and travels. It's posts like these that make the Steemit community so vibrant. I'm looking forward to hearing more about your experiences and upcoming projects in Nilphamari! What kind of electrical work are you planning to do?
আসলে পরিবার ছেড়ে দূরে থাকতে সবারই কষ্ট হয়। বিশেষ করে যখন তাদেরকে রেখে চলে আসতে হয়,তখন সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে। যাইহোক ঠিকমতো ঢাকাতে পৌঁছাতে পেরেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।