ভ্রমণ: জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক (১ম পর্ব)
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে মোটামুটি ভালো এবং সুস্থ রয়েছি। গত দুদিন আগে আমি আমার পরিবারকে নিয়ে জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম এবং সেখানকার অভিজ্ঞতা গুলো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তবে চলুন শুরু করা যাক।
গত কয়েকদিন ধরে এই আম্মু বলছিল কোথাও ঘুরতে যাবে। যেহেতু আম্মু নিজেও অনেক অসুস্থ এবং প্রায় এক মাস ধরে আমাদের ঢাকার এই ফ্ল্যাটের মধ্যেই প্রায় বন্দি অবস্থায় রয়েছে। তাই আম্মুর কথা মতোই আম্মুকে আমাদের এলাকার পাশের একটি জায়গা নিয়ে গেলাম। যেখানে যেতে খুব বেশি একটা পরিশ্রম করতে হবে না বেশি সময় লাগবে না। তাই জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্কে বেছে নিলাম এবং আমিও সেখানে আগে কখনোই যাইনি। জায়গাটা আমাদের এলাকা থেকে খুব বেশি একটা তুলনায় বরং আমাদের এখান থেকে যেতে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট সময় লাগে এবং আমি এর আগের দূর থেকে এই পার্ক দেখেছিলাম এবং দেখে আমার কাছে বেশ ভালো মনে হয়েছে এবং বেশি নিরিবিলি মনে হয়েছে।
এইবার ৩০০ ফিট এবং ১০০ ফিটের মাঝামাঝি অবস্থানে পড়েছে। আমার ছোট ভাইয়ের যে ভার্সিটি রয়েছে তাই সেই ভার্সিটি অতিক্রম করে যেতে হয় এবং সেই জায়গাটাকে এখনো শহরের রূপান্তরিত হয়নি বরঞ্চ গ্রামের একটি জায়গাকে শহরের রূপান্তরিত হচ্ছে এবং সম্পূর্ণ জায়গায় জুড়ে বর্তমানে আর্মি কন্ট্রোল করছে। এর আগে কয়েকটা ভিডিওতে সেই পার্কের রিভিউ দেখেছিলাম এবং দেখে বেশ ভালই মনে হয়েছে। যেহেতু সেই পার্কে তেমন কিছুই কিন্তু দেখার মত নেই কিন্তু সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সেই জায়গার পরিবেশ ঢাকার মাঝামাঝিতে যে এ ধরনের গ্রামীণ পরিবেশ খুঁজে পাওয়া সম্ভব সেটা আসলে জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্কে না গেলে বোঝা যেত না।
আমরা বিকেল তিনটার দিকে রওনা দেই এবং যেতে যেতে আধা ঘন্টার মত সময় লেগে যায়। বাহিরে বেশ কিছু সময় আমরা কাটিয়েছি। যেহেতু জল সিড়ির জায়গাটা যেখানে অবস্থিত সেই জায়গাগুলো দেখতে অপরূপ সুন্দর তাই সেসব জায়গাগুলোতো আগে আমরা একটু ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। সত্যি অনেক চমৎকার ছিল এবং দেখতে অনেকটা গ্রামের মতোই লাগছিল। বিশেষ করে সেই জায়গার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে খোলামেলা মাঠ এবং প্রাকৃতিক বাতাস এবং সেই সাথে প্রাকৃতিক নদী ও রয়েছে। যার কারণে পরিবেশটা একদম অন্যরকম হয়ে গিয়েছে।
যাইহোক আশেপাশে একটু ঘুরাঘুরি করে আমরা পার্কের সামনে আসলাম। প্রতি জন টিকিট হিসাব করলে দেখা যায় ২৩০ টাকা করে টিকিট। যেহেতু আমরা চারজন ছিলাম আমরা চারটা টিকিট কিনেই যখন ভিতরে প্রবেশ করলাম। মনে হচ্ছে এক নতুন জগতে আমরা চলে এসেছি এবং সেই সাথে অনেক বিশাল একটি জায়গা আমরা এক্সপ্লোর করা শুরু করলাম। চলবে.....
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: পরিবারের সাথে কিছু মুহূর্ত
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
ধন্যবাদ @alsarzilsiam, চমৎকার একটি ভ্রমণ পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্কের গ্রামীণ পরিবেশের বর্ণনা এবং আপনার পরিবারের সাথে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্তের ছবিগুলো দেখে মনটা ভরে গেল। বিশেষ করে অসুস্থ মায়ের আবদার রাখতে পার্কে ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে স্পর্শ করেছে। ঢাকার কাছাকাছি এমন নিরিবিলি একটি জায়গা আছে, যা এখনো শহরের কোলাহল থেকে দূরে, সত্যিই অসাধারণ।
আপনার বর্ণনায় পার্কটির পরিবেশ এবং চারপাশের প্রকৃতির যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা যেন নিজের চোখে দেখছি। টিকিটের দাম এবং পার্কের ভেতরের পরিবেশ সম্পর্কে জেনে যারা সেখানে যেতে চান, তাদের জন্য এটি খুবই উপযোগী হবে। "চলবে....." লেখার মাধ্যমে আগ্রহ ধরে রাখলেন, তাই পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম! আপনার ভ্রমণ আরও আনন্দময় হোক, সেই কামনা করি।
আসলে ভাইয়া এভাবে অসুস্থ হয়ে ঘরে বসে থাকলে আরও বেশি খারাপ লাগে। তবে আপনারা সবাই মিলে এভাবে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। নিশ্চয় অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন।