নীলফামারী টু ঢাকা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতালার অশেষ রহমতে ভালো আছি তবে শারীরিক দিক থেকে একটু অসুস্থ রয়েছি। এদিকে আবার আমার মায়ের শরীরের অবস্থা আরো অনেকটাই খারাপ হয়েছে। যার কারণে অনেক কষ্টের মধ্যেই আবার ঢাকায় ফিরতে হলো। এদিকে আম্মুর শরীর খারাপ হওয়াতেই ব্যাপক টেনশন রয়েছি।
বেশ কিছুদিন হয়েছিল আমি গ্রামের বাসায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। যদিও সেখানে আমার ব্যক্তিগত অনেকগুলো কাজ ছিল। এছারাও বাসা বাড়ির ও টুকটা কাজ করাচ্ছি। সব মিলিয়ে অনেকটা ব্যস্ততম সময় পার করলাম। এদিকে আবার আমার ভার্সিটির ফাইনাল পরীক্ষা খুব সামনেই চলে এসেছে এবং এই সেমিস্টারের খুব বেশি পড়াশুনা আমি করতে পারিনি। যার কারণে হাতে কয়েকটা দিন সময় নিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম গতকাল।
গতকাল সারাদিনই অনেক ব্যস্ত ছিলাম এছাড়াও গতকাল আমি নীলফামারী থেকে ঢাকা উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলাম। এর আগেই পরিবারের সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পরবর্তীতে একটি বন্ধুর সাথে কাউন্টার পর্যন্ত আসি। যদিও বাসা থেকে আসতে ইচ্ছা করছিল না, আম্মু বারবার বলছিল আমার শরীর খারাপ এখন না গেলে কি হয় না! সব মিলিয়ে অনেকটা কষ্টের মধ্যেই গতকাল বিদায় নিয়েছিলাম।
পরবর্তীতে কাউন্টারে এসে অনেকক্ষণ ওয়েট করেছিলাম যদিও গতকাল সঠিক সময়ে গাড়ি চলে এসেছিল। পরবর্তীতে গাড়িতে উঠে রওনা দিচ্ছিলাম এবং বাসার কথাই বারবার চিন্তা করছিলাম, যে বাসায় সবকিছু ঠিক থাকবে তো! যদিও গাড়িতে ওঠার পরে বাসায় ফোন দিয়ে কথা বলেছিলাম এই দিকে আবার আমার মায়ের পায়ের ব্যথা মাত্রা অতিরিক্ত বেড়েছে। যদি এতটাই খারাপ অবস্থা জানতাম আমি তাহলে কখনোই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম না।
গতকাল গাড়িতে উঠে আর তেমন কোন কাজ করার চেষ্টা করিনি, গাড়িতে উঠে সোজা একটু ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম। কারণ সবদিকের বিষয়গুলো নিয়ে এতটাই টেনশন কাজ করছিল কোন কিছু চিন্তা-ভাবনা করার শক্তি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। শুধুমাত্র একটু বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আসলে বাসায় থাকাতে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছিল যার কারণে শারীরিক অবস্থাও খুব বেশি একটা ভালো নেই আমার। এইদিকে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর টের পাইনি। পরবর্তীতে গাড়ির সুপারভাইজার এসে আমাকে উঠিয়ে দিল ফুড ভিলেজে, পরবর্তী যে একটু ফ্রেশ হয়ে আবারো গাড়িতে উঠে পড়লাম।
পরবর্তী উঠে আবারো ঘুম দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। যদিও খুব একটা বেশি ঘুম আসেনি। পরবর্তীতে সকাল সাত ঘটিকায় ঢাকার গাবতলী অঞ্চলে আমাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। নেমেই দেখি যে চারিপাশে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পরবর্তীতে একটি সিএনজি করে আমি আমার নিজের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসায় এসে শুনছি আম্মুর শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হয়েছে। এখন কি করব সেটাই ভেবে উঠে পারছি না। যাইহোক আপনারা সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: নীলফামারী টু ঢাকা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
@alsarzilsiam, আপনার "নীলফামারী টু ঢাকা" পোস্টটি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে খুবই আন্তরিক একটি লেখা। আপনার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার জার্নির বর্ণনা এবং মায়ের অসুস্থতার খবরে মনটা খারাপ হয়ে গেল। পথের ছবিগুলো জার্নির একটা স্পষ্ট চিত্র তৈরি করেছে।
আপনার মায়ের দ্রুত সুস্থতার জন্য আমরা সবাই দোয়া করি। আশা করি, তিনি जल्दी সেরে উঠবেন। আপনার ফাইনাল পরীক্ষার জন্য শুভকামনা রইল। এই ব্যস্ততার মাঝেও সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখাগুলো সবসময় সাবলীল হয়, পড়তে ভালো লাগে।
অন্যদেরও অনুরোধ রইল @alsarzilsiam এর পোস্টে লাইক ও কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য। শুভ কামনা রইল!
বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলে বাড়ির স্মৃতি গুলো বেশি মনে পড়ে। তারপরেও যেতে হয়। আপনাকে বেশি অংশ বাস জার্নি করতেই দেখি। ট্রেনে আসা যাওয়া খুবই কম দেখি। আমার তো বাস থেকে ট্রেনই বেশি ভালো লাগে।