"সিলেটের জাফলং ভ্রমণ- ৬ ষ্ঠ পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৯ ই অক্টোবর, বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা সিলেটের মায়াবী ঝর্নার পাশেই একটি লকারে আমাদের সব জিনিসপত্র রেখে এসেছিলাম। আমাদের জিনিসপত্র গুলো লটারি রাখতে ৫০ টাকা ঠিক করেছিলাম। আমাদের যেহেতু প্লান ছিল আমরা ঝর্নার জলে স্নান করবো তাই সবকিছু লকারে রেখেছিলাম। যাদের শুধুমাত্র ঝর্ণা দেখার ইচ্ছা থাকে তাদের লকারে জিনিসপত্র না রাখলেও চলে।
এই ঝর্ণাটি বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। আমরা ভেবেছিলাম মায়াবী ঝর্নাতে অনেক পানি পাব কিন্তু দুঃখের বিষয় ছিল কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ঝর্নাতে পানি খুবই কম ছিল। সত্যি বলতে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি যে, ঝর্ণাতে পানি পাবোনা। ইউটিউব ফেসবুকে এখানকার অনেক ভিডিও দেখেছি সত্যিই সেসব ভিডিওগুলো খুবই ভালো লেগেছিল।
আমরা যেহেতু গিয়েছিলাম দুপুরের দিকে তাই ট্রাভেলার অনেক কম ছিল। কারণ প্রচন্ড রোদের ভেতরে ট্রাভেল করাটা সত্যিই অনেক কষ্টের। আমাদের হাতে যেহেতু সময় কম ছিল তাই আমরা এসেছিলাম। তবে মায়াবী ঝর্নার যে অপরূপ সৌন্দর্য সেটা সত্যি মিস করেছিলাম।
যখন এখানকার ঝর্ণায় বেশি পানি থাকে তখন এখানকার সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে যাওয়া লাগে। ঝর্ণার সাদা পানিতে কালো পাথরগুলো দূর থেকে দেখা যায় না কিন্তু আমরা দূর থেকেই কালো পাথরগুলো দেখতে পেয়েছিলাম। আর তখনই বুঝেছিলাম যে আমরা হয়তো ঝর্ণাতে তেমন একটা পানি পাব না।
আর যে কোন ঝর্ণা আর মেইন সৌন্দর্য হলো পানি। যে ঝর্নাতে যত বেশি পানি থাকবে সেই ঝর্ণা দেখতে তত বেশি সুন্দর লাগবে। তারপরেও যে পানি আসছিল সেই পানিতে যারা ট্রাভেল করতে গিয়েছিল তারা অনেকেই গোসল করেছিল। আমরা সবাই অবশ্য গিয়েছিলাম ঝর্ণার পানিতে গোসল করার জন্য।
কিন্তু আমরা কেউই ভালোমতো গোসল করতে পারিনি। আমার কাকা পলাশ আর কনক দাদা ওরা দুজন অল্প পানিতেই বেশ মজা করে গোসল করেছিল। আমিও গোসল করেছিলাম কিন্তু সত্যি বলতে একদম মজা পায়নি। আর আমার বন্ধু রাহুল তো ঝর্নার পানি কম থাকার জন্য গোসল করেছিল না।
যাই হোক আমরা অনেকটা সময় মায়াবী ঝর্নায় ছিলাম। তারপর কোনমত ঝর্ণাতে স্নান করে মায়াবী ঝর্না থেকে প্রস্থান করলাম। তবে আমার ইচ্ছা আছে বৃষ্টির সময়ে মায়াবী ঝর্নার অপরূপ সৌন্দর্য আবার দেখতে যাওয়ার।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে জাফলং ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ চমৎকারভাবে সিলেটের জাফলং ভ্রমণের ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করেছে। সত্যি পাথরের গা বয়ে পাহাড়ের উপর থেকে ঝরনার পানি যখন বয়ে পড়ছিল দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে আমরা যখন গিয়েছিলাম পাথরের গা অনেক পিসলা ছিল উপরে উঠতে বেশ ভয় পেয়েছিলাম তাও আমরা অনেক উপরে উঠেছিলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই পাথরের গা বেয়ে পানি যখন বের করে তখন দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। তাহলে তো বেশ অ্যাডভেঞ্চার ছিলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আপনারা যেহেতু দুপুর বেলায় গিয়েছিলেন তাই ট্রাভেলার অনেক কম ছিল। আসলে ট্রাভেলার অনেক কম থাকলে জায়গাটি ভ্রমণ করেও বেশ মজা পাওয়া যায় এবং প্রকৃতির সান্নিধ্যে গিয়ে অনেক কিছু উপভোগ করা যায়। আমি আজ পর্যন্ত সিলেটে কখনো যায়নি তবে ইনশাল্লাহ যাওয়ার চেষ্টা করব একবার ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রকৃতির সান্নিধ্যে গেলে অনেক কিছু অর্জন করা যায়। যদি সেরকম সময় হয় অবশ্যই সিলেটের এই জায়গাটিতে এসে ভ্রমণ করবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
সিলেটের জাফলং ভ্রমণের সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আপনি আবারো আমাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন। আমি আপনাদের কয়েকজনের ভ্রমণ পোষ্ট পানে লক্ষ্য করে থাকি। আপনারা কয়েকজন মাঝেমধ্যে এমন দেশের বিভিন্ন স্থানের ভ্রমণ নিয়ে আসেন। এজন্য অনেক কিছু দেখার সুযোগ মিলে। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট।
হ্যাঁ আপু আমরা কয়েকজন আছি দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করি আর সে ভ্রমণ পোস্টগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার কাছ থেকে এই ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব দেখে আসছি৷ আজকে এর আরও একটি পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি আজকের এই পর্বের মাধ্যমে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন। একের পর এক সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো যখন দেখছিলাম তখন একেবারে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম৷ একই সাথে এখানে আপনি বর্ণনাও খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন৷
এই জায়গাটিতে ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।