নাফাখুম থেকে রেমাক্রির উদ্দেশ্যে রওনা।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৪ শে জুলাই, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি বান্দরবান ভ্রমণের- নাফাখুম থেকে রেমাক্রির উদ্দেশ্যে রওনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমরা নাফাখুম জলপ্রপাতের পাশে বসে বসে সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। আমরা যখন রেমাক্রি থেকে সকালে বের হই তখন সবাই নাফাখুমে স্নান করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বের হয়েছিলাম। কারণ নাফাখুমের এত সুন্দর জায়গাতে যদি স্নান না করি তাহলে আফসোস থেকে যাবে।
আমরা সকালে স্নান করে মিষ্টি রোদে বসে ছিলাম। এই সময়ে হঠাৎ করে দেখি দুইটা বাচ্চা মেয়ে গিরিপথ থেকে বোতলে করে জল নেয়ার জন্য এসেছে। আমরা যে জলে স্নান করলাম এই দল এখানকার মানুষ খাবার জল হিসেবে পান করে থাকে।
গিরিপথের এত সুন্দর স্বচ্ছ জল আসলে সব জায়গাতে দেখা যায় না। পাহাড়ি এসব অঞ্চলে যেহেতু টিউবওয়েল কিংবা মোটরের ব্যবস্থা নেই তাই তারা প্রাকৃতিকভাবেই এসব জল পান করে। আমরা নিজেরা পাহাড়ে দুই দিন কাটিয়েছিলাম এখানকার গিরিপথের জল পান করেই।
যাইহোক আমরা এই বাচ্চা দুইটির গিরিপথ থেকে জল নেওয়া দেখছিলাম। তবে জল নেয়ার সময় একটা বাচ্চা হঠাৎ করে পিচ্ছিল খেয়ে পাথরের উপর পড়ে যায়। তারপর আমরা বাচ্চা দুটিকে ডেকে তাদের সাথে কিছু সময় কথা বলি কথা বলা শেষে তাদেরকে কিছু টাকা দিই।
এই ছোট বাচ্চা দুটি সাথে কথা বলে বেশ ভালই লাগছিল। ওরা দুজনেই প্রাইমারি স্কুলে পড়ে। যাই হোক আমরা এখানে আরো কিছুটা সময় কাটিয়ে তারপর আমরা রেমাক্রির উদ্দেশ্যে রওনা দিই। সকাল গড়িয়ে তখন প্রায় দুপুর হয়ে গেছিল।
আর দুপুরের দিকে নাফাখুম থেকে রেমাক্রির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া আমাদের জন্য একটু কষ্টকর ছিল। তবে আমরা সবাই মিলে সবকিছু উপভোগ করেছিলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


Screenshot:
Comment Link:
https://x.com/aongkonbd/status/1949112587586793864?t=qZ-LOnxKQ7myNUiKPb1k1w&s=19
https://x.com/aongkonbd/status/1949113010636693950?t=r9Ni-TKJM5I-1srFTnlJSg&s=19
Greetings @aongkon!
What a vibrant and engaging post showcasing your trip to Bandarban! The photographs beautifully capture the essence of Nafakhum and Remakri, and your narrative truly brings the experience to life. I especially loved the story about the children collecting water and your interaction with them – it adds a heartwarming touch to your adventure.
It's fantastic to see your dedication to sharing your experiences within the "Amar Bangla Blog" community. Your passion for travel and photography shines through, making this a truly enjoyable read. Thank you for sharing a slice of Bangladesh's natural beauty with us! I am looking forward to reading your next post. Keep up the fantastic work!