রেমাক্রি থেকে ফেরার পথের মুহূর্ত।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৪ ই আগস্ট, সোমবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি বান্দরবান ভ্রমণের- রেমাক্রি থেকে ফেরার পথের মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
রেমাক্রিতে ফিরে এসে আমরা সবাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলাম। ক্লান্ত শরীর একটু বিশ্রামে যেন আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। তারপর রেস্ট হাউসে গিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিলাম। এই ভ্রমণ শেষে আমাদের মন অনেক বেশি আনন্দিত ছিল তবে চলে যাওয়ার সময় একটু খারাপ লেগেছিল।
সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে আমরা রেমাক্রি ওয়াটার ফলসের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সেখানেই খুঁজে পেলাম আমাদের গাইড আর নৌকার ড্রাইভারদের। ওদের সঙ্গে আবার দেখা হয়ে গেল। কিছু কথা হল, হাসি-ঠাট্টা হল, তারপরই শুরু হলো ফেরার নতুন যাত্রা রেমাক্রি থেকে থানচির উদ্দেশ্যে।
ফেরার সময় মনটা খুব খারাপ লাগছিল। এত সুন্দর একটা জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়া একেবারেই ইচ্ছা করছিল না। মনে হচ্ছিল, যদি আরও কিছুদিন থেকে যেতে পারতাম, তাহলে আরও বেশি করে এই জায়গার সৌন্দর্য উপভোগ করা যেত। পাহাড়, ঝরনা আর নদীর মাঝে গড়ে ওঠা এই শান্ত জায়গাটা যেন এক টুকরো স্বর্গ।
নৌকায় উঠে যাওয়ার পর আমরা সবাই চুপচাপ বসে ছিলাম। কেউ ছবি তুলছিল, কেউ প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে ছিল একদৃষ্টে। নদীর জল, দুই পাশে সবুজ পাহাড় আর মাঝে মাঝে পাখির ডাক সব কিছু মিলিয়ে ফেরার পথটাও এক রকমের মুগ্ধতা দিয়ে ভরে রেখেছিল। কিছু সময় পর আবার আমরা গান ধরেছিলাম, যেন বিদায়ের সুরেও কিছু আনন্দ থাকে।
এই জায়গাটার সঙ্গে আমাদের যে একটা গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটা মন থেকেই অনুভব করছিলাম। তাই ঠিক করেছি এই রেমাক্রিতে আবার একদিন ফিরবো। পাহাড়ের ডাক, নদীর শান্ত গতি আর প্রকৃতির নিঃশব্দ ভালোবাসা সবকিছুর জন্যই আবার ফিরে আসা চাই। এই ভ্রমণটা আমাদের স্মৃতিতে চিরদিনের মতো থেকে যাবে।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


Screenshot:
Comment Link:
https://x.com/aongkonbd/status/1952765144934842862?t=vq_tklvuSOZrK7iJHg-W9g&s=19
https://x.com/aongkonbd/status/1952765606182441122?t=PKT_dlSAF5ahMubJL8R4pg&s=19
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
ভ্রমণ করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর এরকম সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করার আনন্দই আলাদা। অসাধারণ মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল।