বান্দরবান ভ্রমণ- নীলাচলের নীলাচল থেকে বিন্ন চালের পিঠা খাওয়া।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৪ ই মার্চ, মঙ্গলবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি শেয়ার করবো বান্দরবান ভ্রমণ- নীলাচল থেকে বিন্ন চালের পিঠা খাওয়া।
আমরা সবাই মিলে অনেকটা সময় বসে বসে গল্প গুজব আর পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। আমরা যেখানে বসে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম সেখান থেকে বসে অবশ্য দূর থেকে বান্দরবান শহর দেখা যাচ্ছিল। আমাদের থাকার জন্য বান্দরবান শহরের একটি হোটেল বুকিং করেছিল আগে থেকেই। আমরা সকালে বান্দরবান শহরে এসেই সবার আগে হোটেল বুকিং করে রুমে সবকিছু রেখে তারপর চাঁদের গাড়ি ভাড়া করে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে এসেছিলাম।
আমরা যেখানে বসে সবাই মিলে গল্প করছিলাম তার পাশেই ছিল নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের গেস্ট হাউস। আমার কাছে মনে হল এই গেস্ট হাউস অনেক ব্যয়বহুল। আমাদের মত বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য অবশ্য এগুলো না। কারণ আমরা সব সময় চেষ্টা করি বাজেট ট্যুর দেওয়ার জন্য। আর আমরা যারা একসাথে ঘুরে বেড়ায় তারা কেউই বিলাসিতা একদম পছন্দ করি না।
যাইহোক সবাই মিলে গল্প করার পরে ছবি তোলার জন্য যার যার মত আলাদা আলাদা গ্রুপ হয়ে গিয়েছিলাম। উপরে অনেকটা সময় থাকার পরে আমার বন্ধু রাজুকে বললাম যে, চলো আমি আর তুমি নিচে গিয়ে একটু ঘুরে আসি। আসলে সেই সময়টাতে আমার খুব মাথাব্যথা করছিল এই কারণে নিচে গিয়েছিলাম এক কাপ রঙ চা খাওয়ার জন্য।
আমি আর আমার বন্ধু রাজু নিচে গিয়ে দেখতে পেলাম যে, আচ্ছা দোকানের সামনে পাহাড়িরা বিন্ন চালের ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করছে। এমন সুন্দর পিঠা দেখে কি আর লোভ সামলানো যায় নাকি! জীবনে অনেকবার আমাদের এদিকের চালের ভাপা পিঠা অনেক খেয়েছি। কিন্তু বিন্নি ধানের চাউলের পিঠা খাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। এরপর বন্ধু রাজুকে বললাম যে, বিন্নি চালের পিঠা খেলে কেমন হয়!
বন্ধু রাজুও বিন্নি চাউলের পিঠা খাওয়া সম্মতি জানালো। তারপর যে ব্যক্তি পিটা বিক্রি করছিল তার কাছে বললাম যে, আমাদের জন্য গরম গরম দুইটা পিঠা বানিয়ে দিতে। আমাদেরকে একটু অপেক্ষা করতে বলল। আমরা দুই বন্ধু মিলে কিছু সময় গল্প করার পরেই আমাদের কাঙ্খিত বিন্নি চাউলের পিঠা পেয়ে গেলাম। আহ্ বিন্নি চাউলের পিঠার চমৎকার টেস্ট। আমরা পিঠা খেলাম আর পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম।
তারপর পিঠা খাওয়া শেষ করে একই দোকান থেকে দুই বন্ধু মিলে রং চা খেলাম। আসলে সারাদিন অনেক ঘোরাঘুরি করার কারণে মাথা ব্যথা করছিল তাই রং চা খেয়ে মাথা ব্যাথাটা একটু কমানোর চেষ্টা করছিলাম। তারপর নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল। তখন আমরা সবাই আবার একত্রিত হয়ে চাঁদের গাড়িতে করে বান্দরবান শহরে চলে আসি।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


বান্দরবান ভ্রমণের আরও একটা পর্ব শেয়ার করেছেন। বিন্নি চালের নাম শোনা হয়েছে তবে বিন্নি চালের ভাপা পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি তো বললেন এটা খেতে দারুন। সম্ভব হলে কখনো একদিন ট্রাই করে দেখব। শেষের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ইচ্ছে করছে এখনই সেখানে চলে যায়। সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু বিন্নি চালের ভাপা পিঠা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। যদি কখনো সম্ভব হয় অবশ্যই এটা ট্রাই করে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনারা সবাই মিলে বেশ ভ্রমণ করেন যা দেখে খুবই ভালো লাগে। আসলে আপনারা ছেলে মানুষ বলেই যখন ইচ্ছে তখন চলে যেতে পারেন। কিন্তু ততটা সহজ নয় মেয়েদের জন্য। যদিও মন চায় আমাদেরও এরকম ঘোরাঘুরি করে সময় কাটাতে। আপনাদের গুলো দেখে আনন্দ পায় আর কি। নীলাচল খুব সুন্দর একটি জায়গা আপনি আগেও ভ্রমণ করে শেয়ার করেছিলেন। বিন্নি চাউলের পিঠা খাওয়ার মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু আমরা সবাই মিলে অনেক বেশি ভ্রমণ করি। আসলে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এটাও সত্য ছেলে মানুষ বলেই যখন তখন যেখানে সেখানে চলে যেতে পারি। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আাপনার নীলাচল থেকে বিন্নি চালের পিঠা খাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমি তো এখনো বান্দরবান যায় নি, তবে খুব শীগ্রই যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। বিন্নি চাউলের পিঠা খাবো।
নীলাচল থেকে বিন্নি চালের পিঠা খাওয়ার অনুভূতি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। সবসময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বান্দরবান ভ্রমণের আরও একটি অসাধারণ পর্ব শেয়ার করেছেন। বিন্নি চালের ভাপা পিঠার নাম শুনেছি, কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি তো বললেন, এটি খুবই সুস্বাদু, একদিন অবশ্যই ট্রাই করে দেখব। আর শেষের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি দেখে মন চাইছে এখনই সেখানে চলে যাই। এমন সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অবশ্যই আপু যদি কখনো সুযোগ হয় বিন্নি চালের পিঠা খাবার ট্রাই করে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমি বান্দরবান ভ্রমণ করিনি, চেষ্টা করব সময় সুযোগ করে যাওয়ার জন্য। তবে নীলাচলের নীলাচল থেকে বিন্ন চালের পিঠা খাওয়ার অনুভূতি পরে ভীষণ ভালো লাগলো। পিঠার টেস্ট এবং সুস্বাদুর কথা শুনে নিজেও খেতে ইচ্ছে করছে। পাশাপাশি অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বান্দরবান ভ্রমণ করার জন্য সবথেকে দারুন একটি জায়গা। যদি কখনো সম্ভব হয় অবশ্যই বান্দরবান ভ্রমন করবেন। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
আপনার কাছ থেকে নীলাচলের সৌন্দর্য গত পর্বে হয়তো দেখেছিলাম৷ আজকে এখানে নীলাচলের এই ভিন্ন ধরনের মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালোই লাগছে৷ এখানে আজকে আপনি সবকিছু খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷ আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর এবং সুস্বাদু পিঠা সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ যা কখনো জানা হয়নি৷ অনেক ধন্যবাদ এত অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
আসলে বিন্নি চালের পিঠা আমাদের এদিকে পাওয়া যায়না। পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে এই পিঠা পাওয়া যায়। আমার তো খেতে ভীষণ ভালো লেগেছে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।