"বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার ভ্রমণ-১ম পর্ব"

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১০ ই জানুয়ারি, বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ভ্রমণবিলাসী একজন মানুষ সবসময় ভ্রমন করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে কোন জায়গায় ভ্রমন করার মাঝে আলাদা একটি আনন্দ খুঁজে পায়। আমার ইচ্ছার রয়েছে এ জীবনে যতটা দিন বেঁচে থাকব ততদিন ভ্রমন করে যাবো। আমার কাছে মনে হয় সমগ্র মানব জীবনেই ভ্রমণ। গত বছরে এর আগের বার যখন আমি বাড়িতে এসেছিলাম তখন বাউল সম্রাট লালন সাঁইজির মাজারে আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমি আজকে বাউল সম্রাট ফকির লালনের সাঁইজির মাজার ভ্রমণ-১ম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো

আমি বাড়িতে থাকি কিংবা ঢাকায় থাকি সবসময় ঘুরে বেড়াতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আমি যখনই বাড়িতে আসি তখনই কুষ্টিয়ার মেইন শহরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করি। কারণ এই জায়গাটিতে থেকে আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর মত থেকে লেখাপড়া করেছি। ‌ তাই কুষ্টিয়ার মেইন টাউনের সাথে আমার আলাদা একটি স্মৃতি জড়িত হয়ে গেছে। কুষ্টিয়ার শহরের অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াতেও আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি কুষ্টিয়া গেলে যেখানেই যায় না কেন আমার ভাই অর্ঘ্যকে সাথে করে নিয়ে যাই।

গতবার কুষ্টিয়াতে যাওয়ার পরে বেশ কিছু জায়গায় ঘুরেছিলাম তার ভিতরে ছিল বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার। এই জায়গাটিতে আসলে লালন সাঁইজের আবির্ভাব এবং তিরোধান দিবসেই সব থেকে বেশি যাওয়া পড়তো কুষ্টিয়া থাকাকালীন সময়ে। এবার আমাদের এবারে যাওয়ার আসলে কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না অনেকদিন ধরে এ জায়গাটিতে যায় না, তাই আর কি মন টানছিল লালন সাঁইজির মাজারে গিয়ে ঘুরে আসি।

আমরা সন্ধ্যার পরেই কুষ্টিয়া মেইন শহর থেকে একটা রিক্সা ভাড়া করে আমরা বাউল সম্রাট পক্ষে লালন সাজির মাজারের চলে গেলাম। কুষ্টিয়ার মেইন শহর থেকে মাজার একটু সাইডে রিকশায় করে যেতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মতো সময় লাগে। কুষ্টিয়া শহরের ভেতরের যেকোনো প্রান্ত থেকে রিকশাতে করে লালন সাঁইজির মাজারে যেতে মোটামুটি ৩০ থেকে ৫০ টাকার মতো লাগে।

আমরা বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁজির মাজারে গিয়েছিলাম সন্ধ্যার একটু পরপরই। এ জায়গাটিতে এগিয়ে দেখলাম যে, খুব একটা মানুষের আনাগোনা নেই সামান্য কিছু পর্যটকেরা এসে ঘোরাফেরা করছে। এরকম হালকা কিছু পর্যটকের আনাগোনা এখানে সারাদিনই থাকে। লালন সাঁইজির আবির্ভাব এবং তিরোধান দিবসেই সবথেকে বেশি লোকের সমাগম ঘটে এই জায়গাটিতে।

আমাদের যেহেতু এই জায়গাটিতে যাওয়ার কোন উদ্দেশ্য ছিল না, তাই মাজারের চারপাশে ফ্রি মাইন্ডে শুধুই ঘোরাফেরা করছিলাম। আর আমি যেহেতু স্টিমিট প্লাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে পোস্ট শেয়ার করি তাই মাঝেমধ্যে দুই একটা ফটোগ্রাফি করছিলাম। আমি যেখানেই ভ্রমন করতে যাই না কেন সব সময় চেষ্টা করি কিছু ফটোগ্রাফি করে রাখার জন্য যাতে পরবর্তীতে আপনাদের সাথে আমি সেগুলো সুন্দরভাবে শেয়ার করতে পারি।

এটা হলো বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির একতারা স্তম্ভ। এই স্তম্ভটি ফকির লালন সাঁইজির মেইন মাজারের পাশেই তৈরি করা হয়েছে। আমি যখন কুষ্টিয়াতে থাকতাম তখন আসলে এই স্তবটি ছিল না, পরবর্তীতে তৈরি করা হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে আসলে সবকিছুই পরিবর্তন হতে থাকে। সবাই এসে একতারা স্তম্ভের পাশে দাঁড়িয়ে বেশ ছবি ওঠে।

তাই আমি আর আমার ভাইও এই একতারা স্তম্ভের পাশে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ছবি উঠলাম। কিন্তু ছবিগুলো আমার ভাইয়ের মোবাইল দিয়ে উঠেছিলাম বলে আমার কাছে সেই ছবিগুলো এখন আর নেই। তারপরও আমার কাছে যেসব ছবিগুলো ছিল সেগুলো আপনি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য কোনো দিন "বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার ভ্রমণ- ২য় পর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ৩ রা নভেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 2 years ago 

১৮-১৯ সালের দিকে লালনের মাজারে ভ্রমণ করতে গেছিলাম। দেখতে দেখতে বেশ কয়েকটা বছর পার হয়ে গেছে। খুব সুন্দর একটি জায়গা। এখন দেখছি আরো পরিবর্তন এসে গেছে। আপনার মাধ্যমে আপডেট দেখতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাই এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অবশ্যই আবার এসে দেখে যাবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার ভ্রমণের প্রথম পর্ব। আসলে আমি যখন কুষ্টিয়াতে ছিলাম প্রায় প্রত্যেকদিন বিকেল বেলায় এখানে হাটাহাটি করতে যেতাম ম্যাচের বড় ভাইদের সাথে। আসলে জায়গাটি বেশ নিরিবিলি পরিবেশ। আসলে এখানে লালন সাঁইজির বিভিন্ন স্মৃতিচারণ রয়েছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

আপনিও এক সময় কুষ্টিয়া তে থাকতে না বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে গিয়ে ঘোরাফেরা করতেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

রাতের বেলায় লালন শাহের মাজার বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছিলেন ভাইয়া।আমরা যাওয়ার জন্য কয়েকবার প্ল্যান করেও যাওয়া হয়নি কাজিনরা মিলে এখানে।আপনার পোস্টটি দেখে তো আমার এখনি যেতে ইচ্ছে করছে।আপনার ভাই এর ফোন দিয়ে ছবি তোলার জন্য সব ছবি এখানে শেয়ার করতে পারেন নি। তাও সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপু তেমন সময় হলে অবশ্যই এসে ঘুরে যাবেন। আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়ে বেশ ভালো মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আসলে বন্ধু ঘোরাঘুরি আমাদের রক্তে মিশে গেছে। ঘোরাঘুরি করার মাধ্যমে অন্যরকম একটা প্রশান্তি কাজ করে। পৃথিবীকে জানতেও দেখতে হলে ঘোরাঘুরি গুরুত্ব অনেক বেশি। আর একটা কথা মাথায় ঢুকছেনা আমি বাড়ি থেকে আসার পর যত ঘুরাঘুরি তোমরা এখন করছো না। তোমার পোস্টের মাধ্যমে প্রিয় জায়গাটি দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। লালন সাঁইজির মাজারে অনেক স্মৃতি আছে আমাদের। তোমাকে ধন্যবাদ বন্ধু প্রিয় জায়গাটি নিয়ে সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।

 2 years ago 

হ্যাঁ বন্ধু ঘোরাঘুরি করার মাঝে প্রশান্তি কাজ করে। পৃথিবীকে জানতে হলে ঘোরাঘুরি অবশ্যই করতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু তোমার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আসলে এই বয়সে ভ্রমণ করার আগ্রহটা সবার ক্ষেত্রেই বেশি থাকে। লালন সাঁইজির মাজার ভ্রমণ করেছো সেই সাথে রাতের বেলায় সেখানকার সৌন্দর্যটা তুলে ধরেছো। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

সেজন্যই তো তুমিও অনেক ঘোরাঘুরি করো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।