পানির বুকে ভেসে থাকা একটি গ্রাম– উরখুলিয়া ভ্রমণের অনুভূতি।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন।
আজকের দিনটা আমার জন্য অন্যরকম এক শান্তির দিন। সব কাজের ব্যস্ততা আর শহরের কোলাহল পেরিয়ে চলে এসেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার এক বিস্ময়কর গ্রামে, যে গ্রামের নাম উরখুলিয়া। এ গ্রামের বিশেষত্ব হলো, এটি চারপাশে পানিবেষ্টিত। তিতাস নদীর কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা এই গ্রামে যেতে হলে নৌকা ছাড়া উপায় নেই। যাঁরা প্রকৃতিকে ভালোবাসেন, নদীর ধারে বসে বাতাসের স্রোত গায়ে মাখতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই গ্রাম যেন স্বর্গের এক টুকরো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে আমি রওনা দিয়েছিলাম সকাল দশটার দিকে। শহর থেকে নদী ও বিলের মাঝখানে আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে সিএনজি করে প্রথমে কৃষ্ণনগর বাজারে পৌঁছাই। এরপর শুরু হয় মূল রোমাঞ্চ, নৌকাযোগে উরখুলিয়ার পথে যাত্রা। নৌকায় বসে চারদিকে যতদূর চোখ যায় শুধু পানি আর সবুজের সমারোহ। মাঝেমধ্যে দূরে দেখা মেলে একটি দুটি ঘর, ছড়িয়ে থাকা খালবিল, নৌকার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর হালকা ঠান্ডা বাতাস যেন মনটাকে ছুঁয়ে যায় এক অন্য রকম প্রশান্তিতে। সঠিকভাবে বোঝার জন্য আমি গুগল ম্যাপ থেকে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করলাম।
উরখুলিয়া গ্রামে আমার এক বড় ভাইয়ের বাড়িতে এসেছি। দুপুরে এসে খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে পড়ি গ্রামটা ঘুরে দেখার জন্য। চারপাশে শুধু পানি, মাঝে মাঝে গাছপালা, আর দূরে দূরে মানুষের বসতি। এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টা হলো, এই গ্রামের মানুষদের বাইরে যাওয়ার একমাত্র উপায় নৌকা। এটা শুনে যেমন অবাক লেগেছে, তেমনি এই রকম জীবনযাত্রার মধ্যে একটা সরলতা, একধরনের আত্মনির্ভরতা আছে। যা শহরে খুব একটা চোখে পড়ে না।
তিতাস নদীর পাশে দাঁড়িয়ে বাতাসে ভেসে আসা ঠান্ডা হাওয়া যখন গায়ে এসে লাগে, তখন কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত শরীর যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায়। গত তিন চারদিনের গরমে আমি সত্যিই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে এসে প্রকৃতির এই শীতল পরশে মনে হলো, প্রকৃতির চেয়ে বড় আরাম কোথাও নেই।
আসার সময় শহর থেকে তিন ধরনের মিষ্টি, আম, আর লিচু নিয়ে এসেছি ভাইয়ের পরিবারের জন্য। এত দূর গ্রামে পৌঁছে তাদের মুখে হাসি ফুটাতে পেরে ভালো লেগেছে। গ্রামীণ আতিথেয়তা সত্যিই অতুলনীয়, সহজ, আন্তরিক আর মায়াভরা। দুই প্রকারের মাংস, বাসমতি চালের ভাত, কয়েক প্রকারের নদীর মাছ, দই, ডিম দিয়ে ভুড়ি ভোজন করেছি। তাদের আদর আপ্যায়নে আমি খুবই খুশি।
এই ভ্রমণ আমার কাছে শুধুই ঘোরাঘুরি নয়, এক ধরনের আত্মিক প্রশান্তি। প্রযুক্তি আর যান্ত্রিকতার বাইরে প্রকৃতির কোলে এসে কিছু সময় কাটানো যেন মনকে নতুন করে রিচার্জ করে নেয়। উরখুলিয়া আমাকে শিখিয়েছে, যেখানে রাস্তা নেই, সেখানেও জীবনের নিজস্ব পথ আছে। আর সেই পথ হয়তো আরও সুন্দর, আরও শান্তিপূর্ণ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৩.০৬-২০২৫ |
সময় | বিকাল-৫.১০ মিনিট |
স্থান | উরখুলিয়া, নবীনগর ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1933582738600394801?t=AjHxviWGvYHP0Nqa7NbUQQ&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1933583422540427579?t=DdjYdjCb08W-kLj0JGd_6Q&s=19
আসলে ভাইয়া যেহারে গরম পড়েছে তাতে এমন প্রকৃতিক পরিবেশে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আমি তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে তারা আপনাদের দেখে অনেক খুশি হয়েছে। সত্যি জায়গটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। বাস্তব দেখতে কতই না সুন্দর। নিশ্চয় অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
জী এই পরিবেশটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।