নড়াইল ভ্রমণ পর্ব-৪
আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। ইতিমধ্যে আপনাদের মাঝে আমি আমার নড়াইল ভ্রমণের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছি। আজ চলে এসেছি চতুর্থ পর্ব শেয়ার করতে। আশা করি আপনাদের কাছে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্বটি খুবই ভালো লেগেছে। তাহলে দেরি না করে। চলুন শুরু করা যাক চতুর্থ পর্বের গল্প।
নড়াইল জেলার প্রবেশমুখেই চোখে পড়লো পরিবর্তন। রাস্তা যেন আরও মসৃণ চারপাশ আরও সবুজ। কিছু জায়গায় নারকেল গাছের সারি রাস্তার পাশে ছায়া ফেলেছে। ধানক্ষেতের মাঝে ছোট ঘর তার পাশে গরু ছাগল চরে বেড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে নদী বা খাল পেরোতে হয়েছে ছোট ব্রিজ দিয়ে। এই দৃশ্যগুলোই তো বাংলার প্রকৃত সৌন্দর্য যেখানে শহরের কংক্রিট দেয়াল হার মেনে যায় গ্রামের প্রকৃতির রঙে। পুরো যাত্রাপথে বাইকের সঙ্গে যেন বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। একসময় মনে হচ্ছিল বাইকটা নিজেই জানে কোন দিকে যেতে হবে। বাতাসের সঙ্গে মিশে আমরা উড়ে যাচ্ছিলাম পেছনে পড়ে থাকছিল গ্রামের দোকান তালগাছ রাস্তার মোড়। মাঝে মাঝে পেছনের তাকিয়ে দেখে ছিলাম আকাশের মেঘেরা আমাদের পিছু নিচ্ছে। বন্ধুটি মাঝেমধ্যে বলে উঠছিল দোস্ত দেখ এই রাস্তাটা কত সুন্দর আমি তখন শুধু মাথা নাড়িয়েছি কারণ ভাষায় বোঝানো সম্ভব না এমন মুহূর্ত।বিকেলের দিকে যখন নড়াইল শহরে প্রবেশ করলাম তখন সূর্যের আলো হালকা হলুদ হয়ে এসেছে। শহরের প্রবেশমুখে ব্যস্ততা কিছুটা বাড়লেও তবুও এখানে এক ধরনের প্রশান্তি আছে। নড়াইল শহরের রাস্তা পরিষ্কার মানুষের মুখে হাসি। রাস্তার ধারে ছোট দোকান খাবার হোটেল। দীর্ঘ পথের শেষে নড়াইল পৌঁছানোর আনন্দ ছিল ভাষায় প্রকাশের বাইরে। মনে হচ্ছিল একটা ছোট্ট স্বপ্ন পূরণ হলো। শহরে পৌঁছে আমরা একটি ছোট চায়ের দোকানে বসে গরম চা খেলাম। তখন শরীর ক্লান্ত কিন্তু মন ছিল ভীষণ তৃপ্ত। কেউ আবার আমাদের বাইক দেখে জিজ্ঞেস করছিল দূর থেকে এসেছেন। চায়ের কাপ হাতে বসে আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললাম কারণ এই পুরো যাত্রা আমাদের জন্য শুধু এক ভ্রমণ নয় বরং জীবনের এক অসাধারণ স্মৃতি হয়ে রইল।
বাসা থেকে নড়াইল শহর পর্যন্ত এই বাইক ভ্রমণ আমাদের শিখিয়েছে ভ্রমণ মানে শুধু দূরত্ব মাপা নয় বরং পথের প্রতিটি দৃশ্য প্রতিটি হাওয়া প্রতিটি হাসি উপভোগ করা। নড়াইলের পথে যে প্রকৃতির সৌন্দর্য আমরা দেখেছি তা হয়তো ছবিতে ধরা যায় কিন্তু হৃদয়ে যে শান্তি এনে দিয়েছে তা কোনো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যদি কখনো সময় পান ব্যস্ত জীবনের মাঝেও একটু সময় বের করে এমন এক যাত্রায় বেরিয়ে পরবেন। হয়তো আপনিও খুঁজে পাবেন সেই হারিয়ে যাওয়া প্রশান্তি যেটা কেবল গ্রামের পথে বাইকের চাকার নিচে আর বাংলার নীল আকাশের তলায় পাওয়া যায়। এটাই ছিল আমার নড়াইল ভ্রমণের চতুর্থ পর্বের গল্প। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। তাহলে দেখা হবে আবার নড়াইল ভ্রমণের পঞ্চম পর্বে। তাহলে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই রইল।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Wow, @rex-sumon, this fourth installment of your Nড়াইল travelogue is absolutely captivating! The way you describe the changing landscapes, the friendly locals, and the simple beauty of rural Bangladesh is truly engaging. The photos perfectly complement your words, making me feel like I'm right there with you on your বাইক journey.
I especially loved your reflection on how travel is about more than just distance – it's about embracing every moment. I appreciate you sharing this unique experience and insight with the community. Looking forward to the fifth installment! What sights await us next?
নড়াইল ভ্রমন করে আপনারা প্রকৃতির সান্নিধ্যে ছিলেন।আর তাই ভ্রমনটা ছিল ভীষণ আনন্দের।শহর ছেড়ে এমন প্রকৃতির মাঝে গেলে মনটা উদাস হয়ে উঠে। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি শেয়ার করার জন্য।