" প্রয়োজনের যেনো কোন শেষ নেই "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে ভালো আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ" এর একজন নিয়মিত ও অ্যাক্টিভ ইউজার।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক বেশী ভালো লাগা কাজ করে মনের মাঝে।তাইতো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত মনের নানান অনুভূতি গুলো নিয়ে নানা রকমের পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আজ ও আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিযে।আশাকরি সবাই সঙ্গেই থাকবেন।
প্রয়োজনের যেনো কোন শেষ নেইঃ
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। প্রতিনিয়ত আমি চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করতে।মানুষের প্রয়োজনের যেনো কোন শেষ নেই।প্রয়োজনের তাগিদে কেনাকাটা করতে আমাদের যেতে হয়।আর বাচ্চাদের প্রয়োজনটা একটু বেশীই হয়।তাইতো প্রয়োজনের কারনে কিছুদিন আগে আমি জুতা কেনার জন্য বাটার দোকানে গিয়েছিলাম।বাচ্চারা খুব দ্রুত বাড়ে তাই বাচ্চাদের জুতা ও খুব তাড়াতাড়ি ই ছোট হয়ে যায়।তাইতো ছেলের জুতা একসাথে বেশী আমার আনা হয়না। আর এই কারনে ই জুতা কেনার জন্য বের হয়েছিলাম বাটার দোকানে।
আমরা বিকেলে বের হয়ে ছিলাম সেদিন।আগে আমরা নিউ এলিফ্যান্ট রোড গিয়েছিলাম। এলিফ্যান্ট রোড তো জুতা বেশ ভালো ই পাওয়া যায়। সেখানে ঘুরে দেখে শুনে পরে বাটার দোকানে গিয়ে ছেলের জন্য কেডস পছন্দ করি।ছেলে নিজেই তার জুতা পছন্দ করে নেয়।বেশ কয়েক কালারের কেডস দেখালে ও ছেলে কালো কেডস পছন্দ করে নিলো।আজকালকার বাচ্চারা কেন যে কালো জিনিস পছন্দ করে বুঝি না।
মেয়েদের জুতার সুন্দর কিছু কালেকশন ছিল।জুতা নেবো করেও নেয়া হলো না আমার।কারন আমি এখন নরমাল জুতা পায়ে পরি ই না।সব সময় কেডস পায়ে দেই তাই নরমাল জুতা আমার এখন আর কেনা হয়না।
এরপর বাটার দোকানের লোক এসে ছেলেকে জুতা পরিয়ে দিল।ব্যক্তিগত ভাবে এই বিষয়টি আমার খুব অপছন্দ।অন্য কেউ এসে পায়ে জুতা পরিয়ে দেয়া।ওনাদের না করলেও পরাবে।ছেলে নিজেই পরে নিচ্ছিল কেডস আর আমি ফটোগ্রাফি করছিলাম।কিন্তু উনি এসে জুতা পরাতে ফটোগ্রাফিটি হয়েই গেলো তোলা।যাই হোক এটা ওনাদের ডিউটি মনে করেই করে।
জুতা কেনা হলেও কেনার কিন্তু শেষ নেই।বাটার দোকানের পাশে ই খাবারের দোকান রয়েছে।বাইরে বের হলে ওকে ওর পছন্দের বার্গার কিনে দিতে ই হয়।কি আর করা বার্গার নিয়ে বাসায় চলে আসি এরপর।এই ছিল আমার আজকের ভ্রমন বিষয়ক পোস্ট। আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
আজ আর নয়।সেদিনের কিছু অনুভূতি আজ শেয়ার করে নিলাম।আশাকরি সবার ভালো লেগেছে। আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | ভ্রমন |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য ডিভাইস | samsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঝিগাতলা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।