" পুরান ঢাকার খাবারগুলো ছোট-বড় সবার কাছেই প্রিয় "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে ভালো আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ" এর একজন নিয়মিত ও অ্যাক্টিভ ইউজার।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক বেশী ভালো লাগা কাজ করে মনের মাঝে।তাইতো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত মনের নানান অনুভূতি গুলো নিয়ে নানা রকমের পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আজ ও আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিযে।আশাকরি সবাই সঙ্গেই থাকবেন।
পুরান ঢাকার খাবারগুলো ছোট-বড় সবার কাছেই প্রিয়ঃ
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকের ব্লগটি ভ্রমন বিষয়ক।সকাল হলেই ভাবনায় আসে আজ কি পোস্ট করবো।প্রতিদিনের রুটিনে থাকে পোস্ট করার চিন্তা।তাই মোবাইলের গ্যালারিতে শীতের সময়কার বেশকিছু ফটোগ্রাফি চোখে পরলো।আর এজন্য ভাবলাম আজকে এই বিষয়টি আপনাদের মাঝে তুলে ধরি।শীতের ঐ সময়টাতে আমার আব্বু বেঁচে ছিলেন।আমি আর আমার বোন বাবার বাড়িতে পুরান ঢাকায় গিয়েছিলাম।তখন বাচ্চারা বাইরে খাবে বলে বায়না করেছিল। আপনারা তো অনেকেই হয়তো জানেন পুরান ঢাকায় নানা রকমের নানা সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। যে খাবার গুলো শুধু ছোটরা নয় বড়রা ও ভীষণ পছন্দ করে থাকেন।আর এজন্য ই বাবার বাড়ি যখন যাওয়া হয় তখন বাচ্চাদের আবদারে মাঝে মাঝে ই তাদের নিয়ে ফুচকা,হালিম,মোমো আরো নানা রকমের মুখরোচক খাবার খাওয়ানোর জন্য তাদেরকে বাইরে নিয়ে যেতে হয়।আর শীতের সময় গরম গরম ও ঝাল ঝাল খাবার সবারই খুব পছন্দ।
আমরা ওয়ারী থেকে ধুপখোলা চলে যাই রিকশা নিয়ে।আমার সাথে বোনের ও ভাইয়ার ছেলেমেয়েও ছিল।তাই একা ওদের সবাইকে নিয়ে যাওয়া আমার জন্য সম্ভব ছিল না।এজন্য আমার বোনকে ও আমার সাথে নিয়ে গেলাম।এরপর আমরা দোকানে বসে হালিম অর্ডার করলাম।রমজান মাসে ইফতারে প্রায় প্রতিদিনই হালিম খাওয়া হয়।তবে শীতের সময়টাতে ও এই হালিম খেতে আরো বেশী ভালো লাগে। যথারীতি কিছু সময় পরেই আমাদের হালিম চলে এলো।সবাই হালিম খেয়ে নিচ্ছিল।আমি পাশের চিকেন বারবিকিউ এর দোকানে গিয়ে চিকেন ও পরোটা অর্ডার করে এলাম।
বাচ্চারা তো চিকেন খুবই পছন্দ করে।আর তা যদি হয় বারবিকিউ তবে তো আরো বেশী শীতের সময়টাতে জমে উঠে খোলা আকাশের নীচে বসে চোখের সামনে বারবিকিউ করতে দেখে খাওয়া আরো বেশী আকর্ষনীয় লাগার কথা।বাচ্চারা বারবিকিউ করতে দেখে খুবই এনজয় করছে।
অর্ডার করে বসে আমরা গল্প করছিলাম।কিছু সময় পরেই চিকেন বারবিকিউ ও পরোটা নিয়ে হাজির। বাচ্চাদের কে এক এক করে প্লেট সাজিয়ে শসা ও সস দিয়ে খেতে দিলাম।সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়ে নিচ্ছিল।যদিও আমি খাওয়ার মাঝে জানতে চাইলাম আর কি কিছু খাবে নাকি?? কিন্তু বাচ্চারা আর কিছুই খেতে পারবে না বলল।ওরা খেতে খেতে অনেক গল্প আর হাসাহাসিতে খুব জমে উঠেছিল সেদিনের শীতের সন্ধ্যাটা।
মাঝে মাঝে বাচ্চাদের নিয়ে তাদের পছন্দের খাবার খেতে নিয়ে যাওয়া,পছন্দ মতো কোন জায়গায় তাদেরকে ঘুরাতে নিয়ে যাওয়া,সব কাজিনদেরকে নিয়ে একসাথে সময় কাটাতে দেয়া, এতে করে তাদের মানসিক বিকাশ খুব সুন্দর ভাবে ঘটে থাকে।একঘেয়েমি জীবন যেমন বড়দের ভালো লাগে না।ঠিক তেমনি ছোটদের কাছে ও বিরক্তির কারন হয়ে থাকে।তাই আমাদের বড়দের উচিত বাচ্চাদের কে একসাথে সময় দেয়া।আমার আর আমার বোনের বাচ্চারা নানাবাড়িতে বেড়াতে এলেই পুরান ঢাকার এই মজার মজার খাবার গুলো খেতে ভীষণ পছন্দ করে।আর এই কারনেই মূলত আমরা ওদের পছন্দের খাবার গুলো খাওয়াতে নিয়ে গিয়ে নিজেরা ও এই খাবারের টেস্ট নিয়ে থাকি।যারা এখনো পুরান ঢাকার নানা রকমের খাবারের স্বাদ এখনো নেননি,তারা সময় সুযোগ করে এসে খেয়ে দেখবেন।খাবার গুলো যেমন সুস্বাদু,তেমনি দামে ও সাশ্রয়ী।বেশকিছু দিন আগের সুন্দর অনুভূতি গুলো আজ শেয়ার করে নিলাম আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
আজ আর নয়।সেদিনের কিছু অনুভূতি আজ শেয়ার করে নিলাম।আশাকরি সবার ভালো লেগেছে। আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | ভ্রমন |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য ডিভাইস | Galaxy A 34 5G |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ধুপখোলা,ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু পুরান ঢাকার খাবারগুলো সবার কাছে পছন্দের। তাদের রান্নার ধরন আর খাবারের টেস্ট সত্যিই অসাধারণ। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট পড়ে।