" আজ দিনটি খুব বেশী ব্যস্ততায় কাটলো"
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে ভালো আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ" এর একজন নিয়মিত ও অ্যাক্টিভ ইউজার।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক বেশী ভালো লাগা কাজ করে মনের মাঝে।তাইতো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত মনের নানান অনুভূতি গুলো নিয়ে নানা রকমের পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আজ ও আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিযে।আশাকরি সবাই সঙ্গেই থাকবেন।
আজ দিনটি খুব বেশী ব্যস্ততায় কাটলোঃ
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আজ কিছু অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব।আজ সারাদিন ছিল ঝিরঝিরে বৃষ্টি।এই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আমি নতুন পাসপোর্ট করতে পাসপোর্ট অফিসে যেতে সকাল সাড়ে নয় টায় বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম।সকালে ছেলেকে স্কুলে দিয়ে এসেছি।ছুটি হবে বেলা ১২ টায়।এর মধ্যে আমাকে কাজ সেরে আসতে হবে।বাসায় কেউ নেই যে ওকে স্কুল থেকে নিয়ে আসবে।আম্মু আছে কিন্তু আম্মুর খুব সর্দি জ্বর।যাক আমাকে কাজ সেরে তাড়াতাড়ি আসতে হবে স্কুলে।তাই খুব চিন্তা হচ্ছিল সময়ের মধ্যে আসতে পারবো কিনা।ঢাকার জ্যাম তো সবাই জানেন।
বাসা থেকে বের হয়েই কিছুদূর যেতেই জ্যামে পরলাম।এই জ্যামের কারনে পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছাতে পারলাম সাড়ে দশ টার সময়।প্রথমে গিয়েই লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম।পাসপোর্ট ফর্মটি ভেরিফাইড করে উপরে চলে গেলাম।সেখানে সামান্য ভিড় ছিল।তবে তুলনামূলক ভাবে খুব কম সময়েই কাজ শেষ হয়েছে।অথচ রাস্তায় ই সময় বেশী লেগেছে।এরপর দোতালায় কাজ শেষ করে আমি ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে অন্য রুমে চলে গেলাম।সেখানে ও ভিড় খুব কমই ছিল।সব কাজ সারতে সারতে আমার বেলা ১১.৩০ টা বেজে গেলো।আমি আমার আগের পাসপোর্ট ও সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। ভালো মতোই আমার পাসপোর্ট করার প্রতিটি কাজ আমি সুন্দরভাবে ও স্বল্প সময়ের মধ্যে করতে পেরেছিলাম।তাই খুবই ভালো লাগছিলো আমার।
ছেলের স্কুল ছুটি হবে ১২ টা ০৫ মিনিটে।আমি কি আধা ঘণ্টায় স্কুলে পৌঁছাতে পারবো কিনা তাই ই ভাবছিলাম।এদিকে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছিল।ফেরার পথে হালকা জ্যাম ছিল পথে।তবে স্কুলের খুব কাছে এসে অনেক বেশী জ্যামে আটকে বসে রইলাম।খুব বেশী বিরক্ত লাগছিলো।জ্যামে বসে স্যারকে ফোন দিলাম যাতে ছেলে বাইরে বের হতে না পারে।জ্যামে বসে না থেকে হেঁটে যাব কিন্তু বৃষ্টির জন্য আর তাও পারলাম না।কারন ছাতা না নিয়েই বের হয়েছিলাম।যখন বের হয়েছিলাম বাসা থেকে তখন আকাশ বেশ পরিষ্কার ছিল।কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর ই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল।
এরপর স্কুলে পৌঁছাতে ১২.৩০ মিনিট হয়ে গিয়েছিল ঘড়িতে।কি আর করা এরপর রিকশা থেকে নেমে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে স্কুলে চলে গেলাম।এভাবেই আজ সকাল থেকে দুপুরের সময়টুকু খুব বেশী ব্যস্ততায় কেটেছে।সেই অনুভূতি গুলো আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম। আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।তবে আজ সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে পাসপোর্টের সমস্ত কাজ অল্প সময়ে সম্পন্ন হওয়াতে।বৃষ্টির কারনে মোবাইল বের করে ফটোগ্রাফি করা আমার হয়ে উঠেনি।আর সাথে ছিল হাসবেন্ড তাই আরো বেশী করতে পারিনি।এমনিতে ই ফটোগ্রাফি করতে গেলে রাগ করে।আর বৃষ্টির মধ্যে দেখলে আরো বেশী রাগ করবে তাই আর করা হয়নি।
আজ আর নয়।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | ভ্রমন |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য ডিভাইস | Samsung A20 |
ফটোগ্রাফার | shimulakter |
স্থান | মোহাম্মদপুর |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.