"শীতের সন্ধ্যায় সবাই মিলে মেলায় ঘুরতে যাওয়া"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।শীতের সময় এখন সব জায়গায় কম বেশি বিভিন্ন ধরনের মেলা বসে। মিলন মেলা থেকে শুরু করে অনেক ধরনের মেলা। গত দুই বছর করোনার জন্য মেলা বসেনি।তাই এ বছর মেলার পরিমান ও বেশি।আমার মেলায় যেতে খুব ভালো লাগে। বেশ কিছুদিন আগে স্বাগতা আমাকে বললো মেলায় যাবে। আমাদের বাড়ির কাছে অনেক বড় মেলা হচ্ছে। স্বাগতা আবার আমাকে না নিয়ে মেলায় যায় না। বেশ কয়েকবার আমি বলছি আমার সময় হবে না। তোমরা যাও। কিন্তু ও আমার কোন কথাই শুনেনা। শুধু বলবে যেতে হলে আমরা একসাথে যাবো না হয় যাবো না।
আর আমার ও মেলার কথা শুনলে না যেতে পারলে ভালো লাগে না। আমরা সকাল সকাল সকল কাজ সেরে বিকালের দিকে রওয়ানা দিলাম। মেলায় যেতে জ্যামের জন্য একটু সময় লাগলেও মেলার ভিতরে প্রবেশ করে অনেক বড় মেলা।খুব সম্ভব এটা ছিল মিলন মেলা। প্রায় এক মাস জুড়ে এই মেলা ছিলো। ভিতরে ঢুকতেই দেখি অনেক কিছুর স্টল বসছে। এবার পিঠা পুলির স্টল ও রয়েছে।
কিছুদূর যেতেই দেখি মাটির তৈরি সুন্দর সুন্দর কাপ সেট।দেখেই আমার কিনতে ইচ্ছা হলো। আমার প্রিয় মানুষটি জানে আমি কি পছন্দ করতে পারি। তাই দেরি না করে এক সেট কাপ প্লেট কিনে দিলো। এরপর বাবুর জন্য কিছু নতুন বই কিনলাম। আসলে টিনটিন বাবু নতুন বই খুব পছন্দ করে। ও আজ পর্যন্ত কোথাও গিয়ে খেলনা কিনতে চায় শুধু পড়াশুনার জন্য বই, রং পেন্সিল, খাতা কিনতে চায়। এমন কি একদিন শপিং করতে গিয়ে ওর জিজ্ঞেস করলো স্বাগতা তুমি কি কিনতে চাও। বাবু উত্তর দিল রং পেন্সিল। এত খেলনা থাকতে সে শুধু দুই রকমের রং পেন্সিল কিনলো।
তবে একটা মজার ব্যাপার কি ওই দিন মেলায় যাওয়ার সময় আমার টাকা নেওয়ার কথা মনেই ছিলো না।আমার তারা হুড়ার জন্য টাকাই নেওয়ার কথা ভুলে গেছি। মেলায় গিয়ে মনে পড়ছে যে টাকা আনা হয় নি। কিন্তু তখন কি আর করা।মেলার ভিতরে প্রায়ই স্টলে ক্যাশ টাকার কেনা বেচা হয়। কার্ড বা গুগল পে খুব কম, নেই বললেই চলে। সে দিন মেলায় গিয়ে ঘুরতে ঘুরতে আমার অনেক কিছু পছন্দ হয়েছিলো কিন্তু কিছু করার নেই। পরে বাধ্য হয়ে অল্প কিছু কেনা কাটা করলাম। কিছু ঘর সাজানোর জন্য প্লাস্টিকের ফুল নিলাম। আমার প্রিয় মানুষটি আমার জন্য রেশম সুতার একটা শাড়ি কিনলো। এরপর আমরা একটু হালকা খাওয়া দাওয়া করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।
স্বাগতা দিদি খুব অল্প সময়ে আপনার মনে এতটা জায়গা করে নিয়েছে যা সত্যি খুবই ভালো লাগে। আপনাকে না নিয়ে মেলায় যাবেই না, তবে একসাথে মিলন মেলা কিংবা মেলাতে ঘুরতে যাওয়া অনেক আনন্দের। মেলাতে গেলে মনে পড়ে হাজার স্মৃতি অতীতের কথা। দারুন ছিল আপনাদের মেলা ভ্রমণ এবং মেলার ফটোগ্রাফি গুলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতকালে মেলা দেখতে অনেকেই অনেক বেশি পছন্দ করে যদিও এ বছর আমাদের এদিকে শীতের সময় মেলা হচ্ছে না। আর গ্রাম বাংলার মেলা গুলো সত্যিই অনেক বেশি সুন্দর হয় শীতের সময়ে চাদর মুড়ি দিয়ে মেলার মধ্যে সময় অতিবাহিত করার মজাই আলাদা। আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন মেলার মধ্যে, মেলার মধ্যে ঘোরাঘুরির মুহূর্তের ফটোগ্রাফি টা অসাধারণ ছিল।
মেলা ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে বিশেষ করে নিত্যনতুন জিনিস দেখা। মজার মজার খাবার খাওয়া। সব থেকে বেশি ভালো লাগে যখন নাগরদোলায় উঠে দোল খেতে থাকি।
আপনারা খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন মেলায় ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা করে বোঝা যাচ্ছে। তাহলে শীতের আমেজটা মনে হয় ভালোভাবেই উপভোগ করছেন মেলায় গিয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি আনন্দ মুখর সময় আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
কাল ছোট দাদার পোস্টে জেনেছিলাম মেলা সম্পর্কে। আসলে মেলা মানেই আনন্দ।আসলে মাঝে মাঝে আমারও এমন হয় টাকা না নিয়ে বেরিয়ে যাই😉,এমন কি গাড়ি ভাড়া ও থাকে না।যাই হোক অল্প কিছু হলেও কিনতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। এর আগেও শুনেছিলাম টিনটিন সোনা বই, রং পেন্সিল কিনতে বেশি পছন্দ করে।যাই হোক সব মিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। মাটির জিনিস পএ গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
শীতকালে শীতের সন্ধ্যায় মেলা দেখতে কিংবা ঘুরতে কার না ভালো লাগে। সেই সাথে মেলায় গরম গরম জিলিপি খেতেও কিন্তু অসাধারণ লাগে।সবাই মিলে অনেক বেশি মজা করেছেন শুনে ভালো লাগলো।তাড়াহুড়ার জন্য টাকা আনতে ভুলে গিয়েছিলেন বলে,, তেমন কেনাকাটা করতে পারেননি। তাই মন খারাপ করবেন না দিদিমণি।ঢাকাই জামদানি শাড়ির স্টল দেখে খুবই ভালো লাগলো।♥♥
বৌদি আপনারা পরিবার নিয়ে মেলায় অনেক ভালো ঘুরেছেন।সত্যি বৌদি করোনার জন্য কয়েক বছর মেনা না হওয়ায়, এবার সব জায়গায় মেলা বেশি হচ্ছে। দাদা আপনার পছন্দের কাপ সেট কিনে দিল, আর রেশমি সুতার শাড়ি অসাধারণ ছিল। আপনার যেহেতু অনেক কিছু পছন্দ হয়েছিল কিন্তু তারাহুরা করার জন্য টাকা নিতে ভুলে গেছেন, তাই তেমন কিছু কিনতে পারেন নি। যাইহোক বৌদি সুন্দর মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দিদি ভাই মেলায় গেলেন সবাই খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভাল লাগলো। মেলায় গেলে মাটির জিনিসগুলো খুব বেশি ভাল লাগে আসলে। মেলায় গরম গরম জিলিপি খাওয়ার মজাই অন্যরকম।অনেক কিছু পছন্দ হলেও কিনতে পারেন নি। কারন তাড়াহুরায় টাকা নিতে ভুলে গেলেন।যাই হোক মুহুর্ত তো সুন্দর কেটেছে, তাই বা কম কিসের। ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার এবং স্বাগতা দিদির এই মেলবন্ধন দেখে খুবই ভালো লাগে। একজন আরেকজনকে ছাড়া কোথাও ঘুরতে যান না। টিনটিন তো এখন থেকেই দাদার পর অনুসরণ করা শুরু করছে। টিনটিনের শুধু বই রং পেন্সিল এসব পছন্দ। বিষয়টি বেশ দারুণ। মেলায় বেশ দারুণ উপভোগ করেছেন দুজন। আর টাকা টা নিতে ভুল করছেন এটা বেশ খারাপ। পছন্দের জিনিসগুলো না কিনে ফিরে আসতে হলো।
আশা করি বৌদি ভালো আছেন? মেলাতে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মেলা মানেই হাসি আনন্দ সবাইকে নিয়ে ঘুরাঘুরি পছন্দের জিনিস ক্রয় করা। শীতকালে সন্ধ্যা মেলা দেখার আনন্দটা অন্যরকম কারণ হাতে অনেক সময় থাকে পুরো মেলা সুন্দরভাবে ঘুরে দেখা যায়। মেলাতে কাটানো এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন বৌদি।