ভ্রমণ 🚴 রাত ১২ টায় কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী ১২ মাইলের খাসির কষা মাংস ও রুটি খাওয়ার গল্প।
০৮জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
শুভ রাত্রি ❤️ প্রতিদিনের মতো আজও হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে ছোট্ট একটি ভ্রমণ এবং কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাসির কষা মাংস ও রুটি খাওয়ার গল্প শেয়ার করব। কথায় আছে না অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা তবে মাঝে মাঝে আবার খাওয়ার চিন্তাভাবনাও ভরে কিন্তু। গত ১৫ তারিখে রাতে আমি এবং আমার রুমে বসে নানান ধরনের গল্প করছিলাম। হঠাৎ করে মনে আসলো কুষ্টিয়া ১২ মাইলের ঐতিহ্যবাহী ড্রাইভার হোটেলের খাসির মাংস কষা ও রুটি খাওয়ার গল্প। আগে ম্যাচে থাকতে মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে এখানে এসে এটা খাওয়া হতো। এতটাই স্বাদ এবং মজাদার যে আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে খেয়েছি এখনো ভুলতে পারিনি। মেসে থাকতে বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝে আসা হতো কিন্তু ম্যাচ লাইফ শেষ হওয়ার পরে তেমন কোনো সুযোগ আসেনি। এখন যেহেতু কুষ্টিয়া 12 মাইলের কাছাকাছি থাকি এজন্য গল্প করতে করতে লোভ জেগে গেল মনের মাঝে। তবে রাত বাজে বারোটা। এদিকে আবার লোভেও পড়ে গিয়েছে খাওয়ার জন্য। কি করা যায় চিন্তা-ভাবনা করতে করতে আমি এবং আমার রুমমেট বাইক নিয়ে বের হয়ে পড়লাম এবং রওনা দিলাম খাসির কষা মাংস এবং রুটি খাওয়ার জন্য। অবশ্য আমাদের মেসে আরও অনেকেই ছিল তারা সবাই হাসছিলো যে এত রাত্রে কেউ এত দূরে যায় খাসির মাংস খাওয়ার জন্য। ভাই আসলে আমি যেমন ভজন রসিক আমার রুমমেট আমার থেকে কোন অংশে কম নয়। এজন্য দুইজনেই যেহেতু পেটুক সে তো আর বসে থাকা গেল না। চলে গেলাম কুষ্টিয়ার ১২ মাইলে ঐতিহ্যবাহী খাবার খাওয়ার জন্য। সেখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি এবং কিছু কথা তুলে ধরব আশা করছি ভালো লাগবে।
রাত বারোটার পর পর আমরা রুম থেকে রওনা হলাম। পথিমধ্যে কোন গাড়ি বা মানুষ তো নেই নেই মাঝে মাঝে দু একটা শিয়াল কুকুরের দেখা। কিছুটা পথ গ্রামের রাস্তা দিয়ে যেতে হয় একটু ভয় ভয় লাগছিল তারপরেও খেতে হবে। রুম থেকে বের হওয়ার আগে ভেড়ামারায় আমার এক কলিককে ফোন দিলাম সেও আমাদের সাথে যেতে রাজি হল। আসলে পেটুক হলে যা হয়। খেতে হবে এটাই সবথেকে বড় কথা রাত কটা বাজে কে যাবে কে যাবে না বা কত টাকা খরচ হবে এটা পরের হিসাব। তো যে কথা সেই কাজ মিরপুর থেকে ভেড়ামারা সেখান থেকে আরো একজনকে নিয়ে শেষমেষ চলে গেলাম ১২ মাইল ড্রাইভার হোটেলে। যেতেই হোটেলের আশেপাশে কি সেন্ট মাংস কসার। যে কেউ হোটেলের পাশ দিয়ে গেলে লোভে পড়েই যাবে। তবে দামও নাগালের বাইরে যে যতটুক ইচ্ছা ততটুক নিয়ে খেতে পারবে। আর তাদের আপ্যায়নের কথা কি বলব আপনি নিজে গেলেও ও মুগ্ধ হয়ে যাবেন। আমরা যেতেই আমাদেরকে একটা টেবিল দেখিয়ে দেওয়া হল সেখানে পানির গ্লাস দিয়ে দিল এবং খাবারের অর্ডার নিলো। ওটা নেওয়ার সাথে সাথে গরম গরম রুটি দিয়ে দিল। তারপরে সেই কাঙ্ক্ষিত লোভনীয় খাসির মাংস কষা বাটি ভরে দিয়ে গেল। আর ভাই কি বলবো হোটেলের পাশে যেতেই তো জিভে জল চলে আসছিল। আর খাবার সামনে পেলে কি রকম হবে বুঝেন তাহলে।
খাবার পরিবেশন করা হয়ে গেলে এবার খেতে শুরু করে দিলাম তিনজনে। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল ইচ্ছামতো খাব যত সময় না মন ভরবে। যদিও আগেই রাতের মিল খাওয়া হয়েছিল তারপরেও কিন্তু খাওয়ার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল। এবার খেতে শুরু করে দিলাম খাসির ঝাল ঝাল কষা মাংস এবং রুটি। আমরা একজন করে প্রায় সাতটা থেকে আটটা করে রুটি খেলাম। যেমন স্বাদ তেমন ঝাল। আর এত রাত বড় বড় গাড়ি এসে হোটেলের সামনে থামছিল আর এসেই দেখি ম্যাক্সিমাম লোক এই খাবারগুলো অর্ডার করছিল। আবার অনেকেরই দেখলাম এত রাতে পরিবারসহ চলে এসেছে মজাদার খাবার খেতে। তবে একটা গ্রুপের সাথে কথা হল তারা আমাদের পাশের টেবিলে বসা ছিল। তারা এসেছে ঝিনাইদহ থেকে এখানকার খাবারের মজা নিতে। আসলে খাবার যদি ভাল আপ্যায়ন যদি ভালো হয় পরিবেশ যদি ভালো থাকে তাহলে কিন্তু সেখানে বসে থাকতে এবং খাবার খেতেও তৃপ্তি আসে। রাত বারোটায় গিয়েছি তাতে কি হয়েছে কিন্তু খাবারের স্বাদে কিন্তু সব কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম। খুব মজা করে আমরা খেয়েছি তৃপ্তি করে। অনেক রাতে অনেকদিন পরে একটা ভ্রমণ হয়ে গেল সেই সাথে খাবার তো হলোই। খাবারটা খেয়ে কোমল পানি ওকে তারপরে আমরা প্রায় রাত দুটোর সময় বাসায় ফেরত আসি। যাই হোক এই ছিল সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ এবং কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী বাবা মায়ের খাসির মাংস কষা এবং রুটি খাওয়ার গল্প আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। তবে আমাদের কুষ্টিয়া জেলার আশেপাশে যারা রয়েছেন দাওয়াত রইলো কেউ আসতে চাইলে আমাকে নক করে চলে আসেন এই মজাদার খাবার খাওয়ার জন্য।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5

|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]
VOTE @bangla.witness as witness OR
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
#traveling #photography #traditional-food #amarbanglablog #steemexclusive #krsuccess #bangladesh #kushtia
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মাঝ রাতে বের হলে এমন শিয়াল কুকুর ছাড়া কোন কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। আর মাঝেমধ্যে যদি দু একটা গাড়ি আসে। তবে রাতের এই মুহূর্তে সুন্দর আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার। খুব সুন্দর একটা বিষয় শেয়ার করলেন এইমাত্র দেখে পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।
কলিগের সাথে এই মজার খাবারটি খেতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। রুটি দিয়ে খাসির মাংস খেতে খুবই ভালো লাগে। আর যদি জনপ্রিয় কোন হোটেলের খাবার হয় তাহলে তো একেবারে জমে যায়। দারুন ছিল আপনার এই পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
কুষ্টিয়ার জনপ্রিয় একটি হোটেলে কলিগের সাথে রুটি এবং খাসির মাংস খেতে গিয়েছেন রাত করে বেশ উপভোগ করেছেন আপনারা খাবার এবং সময়।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্ত গুলো পোস্ট আকারে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া মাঝে মাঝে এমন পাগলামী করলে ভালোই লাগে। আপনাদের রাত ১২ টায় কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী ১২ মাইলের খাসির কষা মাংস ও রুটি খাওয়ার অনুভূতি দারুন ছিল। যাওয়ার সময় আমাকে ডেকে নিয়ে যেতেন,তাহলে চারজন মিলে পুথিঁ শুনতে শুনতে রুটি সাবাড় করতাম,হে হে হে। ধন্যবাদ।